পশ্চিমবঙ্গে এই সমস্ত ভূমি আইন সম্পর্কে জেনে রাখা জরুরি

পশ্চিমবঙ্গের জমি সংক্রান্ত আইন: ভূমি আইন নিয়ে আমাদের সবার মাঝেই কৌতুহল আছে। আমরা সবাই অন্য অনেক আইন নিয়ে কথা বললেও ভূমি আইন নিয়ে কথা উঠলেই মুখে কলুপ এটে থাকে।

কারণ আমাদের সবারই ভূমি আইন নিয়ে অনেক কিছুই অজানা রয়েছে। আমাদের দেশের ভূমি আইন অনেক পুরোনো হওয়ায় অনেক সময় এই ভূমি আইন নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়ে থাকে। 

আমাদের দেশে সেই বৃটিশ শাষন থেকেই ভূমি নিয়ে নানা আইন হয়ে আসছে, আর নানাবিধ পরিবর্তন হলেও ভূমি আইনের ক্ষেত্রে এখনও অনেক সময় সেই ব্রিটিশ আমলের আইন অনুসরন করা হয়ে থাকে। ভূমি নিয়ে কোন জটিলতা দেখা দিলে আমাদের আইনজীবির শরণাপন্ন হতে হয়।

পশ্চিমবঙ্গে ভূমি আইন
পশ্চিমবঙ্গে ভূমি আইন

অনেক সময় ভূমি আইন সম্পর্কে ধারনা না থাকায় আমরা অনেক প্রতারক চক্রের পাল্লায় পড়ে অর্থহানী ঘটে। তাই আমাদের সবারই ভূমি আইন জানা উচিত। তা না হলে আমরা বিভিন্ন সময় ভূমি সংক্রান্ত জটিলতায় পড়তে হবে। এজন্য আমরা ভূমি আইন সম্পর্কে জানবো।

বাংলাভূমি সাইটে আমরা নিয়মিতভাবে পশ্চিমবঙ্গের ভূমি নিয়ে নানা আইন নিয়ে আলোচনা করে থাকি। এর ফলে আপনারা ভূমি কেনা বেচা নিয়ে অনেক বিষয় জানতে পারেন।

শুধু তাই নয়, আমরা আমাদের এই সাইটে ভূমির উত্তরাধিকার আইন নিয়েও অনেক আলোচনা করে থাকি, যা আপনাদের উত্তরাধিকার আইন নিয়ে অনেক ধারনা দিয়ে থাকে। 

আজ আমরা আপনাদের সাথে পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত ভূমি আইন নিয়ে আলোচনা করবো। এর ফলে আপনারা পশ্চিমবঙ্গের ভূমি আইন নিয়ে সবকিছু জানতে পারবেন, সেই সাথে ভূমি আইন নিয়ে না জানার কারনে প্রতারক চক্র আপনার সাথে প্রতারনা করতে পারবে না। 

আসুন জেনে নিই, পশ্চিমবঙ্গের ভূমি আইন নিয়ে কিছু তথ্য।

আইনের ভাষায় স্থানীয় কাদের বলা হয়? 

পশ্চিমবঙ্গের আইন অনুযায়ী কোন ব্যক্তির মালিকানাধীন জমির উত্তর পশ্চিম কর্নার হতে ৮ (আট) বর্গ কিলোমিটার এলাকায় ঐ ব্যক্তিকে স্থানীয় হিসেবে গন্য করা হবে। 

শুধু তাই নয়, কোন জমি থেকে ব্যক্তির বাড়ি ৮ কিলোমিটারের চাইতে বেশি দূরে হলেও, ঐ মৌজার কোন অংশ তার বাড়ির ৮ কিলোমিটারের দূরুত্বে হলে সেই ব্যক্তি স্থানীয় হিসেবে গন্য হবে। 

ভূমি থেকে মাটি, বালি, পাথর উত্তোলন আইন

কোন ব্যক্তি তার মালিকানাধীন জমির ভূগর্ভস্থ হতে মাটি, বালি, কাদা, পাথর ইত্যাদি সরকারের লিখিত অনুমতি ছাড়া উত্তোলন করতে পারবে না।

এই ক্ষেত্রে বালি, মাটি, পাথর উত্তোলন করতে হলে জেলা ভূমি কর্মকর্তার নিকট আবেদন করতে হবে। জেলা ভূমি অফিস থেকে লিখিত অনুমতি পেলেই কেবল জমির ভূগর্ভস্থ হতে বালু, পাথর উত্তোলন করা যাবে। 

কৃষি জমি বানিজ্যিকভাবে ব্যবহার করন আইন

কোন কৃষি জমিতে বছরে ২ বার ফসল ফলন হলে সেই কৃষি জমিতে মাটি ভরাট করে বানিজ্যিকভাবে ব্যবহার করা যাবে না। বানিজ্যিকভাবে ব্যবহার করলে ঐ জমি ব্যবহারের জন্য কৃষি অধিদপ্তর থেকে অনুমতি নিতে হবে। 

রাস্তা, রেলওয়ে লাইনের পাশের জমির ক্ষেত্রে আইন

কোন জমি রাস্তা হতে ৪৫ মিটার দূরুত্বে হলে অথবা রেল লাইনের নিকটবর্তী হলে ঐ জমিতে কোন স্থাপনা তৈরি করতে নির্ধারিত কতৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে।

অনুমতি না নিয়ে স্থাপনা তৈরি করলে, কর্তৃপক্ষ ঐ স্থাপনার ব্যপারে যে কোন ব্যবস্থা নিতে পারে। তাই জমিতে স্থাপনা করার আগেই রাস্তা থেকে কত দূরে আছে তা দেখে নিতে হবে। 

জমিতে গর্ত করার ক্ষেত্রে আইন

জমিতে কোন গর্ত করতে চাইলেই আপনি তা করতে পারবেন না। আপনি জমি ২.৫ মিটারের চাইতে বেশী গর্ত করতে চাইলে অবশ্যই কমপক্ষে ৩ মিটার জায়গা খালি থাকতে হবে। তাই আপনি আপনার জমির সীমানা থেকে কমপক্ষে ৩ মিটার জায়গা খালি রেখে গর্ত করতে হবে। 

এভাবে আজ আমরা পশ্চিমবঙ্গের ভূমি আইন নিয়ে জানতে পারলাম। এতে করে আমরা সহজেই ভূমি সংক্রান্ত কিছু বিষয় জেনে নিলাম। পরবর্তীতে এ সংক্রান্ত সমস্যায় পড়লে আমাদের আর হয়রানীর স্বীকার হতে হবে না।

আমাদের সাইটের পরবর্তী লেখায় আপনাদের জন্য এই বিষয়ের উপর আরো বিস্তারিত লেখা থাকবে। তাই আমাদের পেজে নিয়মিত চোখ রাখুন। এই লেখাটি অনেকের কাজে লাগতে পারে তাই লেখাটি যতটুকু সম্ভব শেয়ার করুন, যাতে করে অনেকে এই লেখা থেকে শিক্ষা নিয়ে জমি সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারবেন।  

5 thoughts on “পশ্চিমবঙ্গে এই সমস্ত ভূমি আইন সম্পর্কে জেনে রাখা জরুরি”

  1. Amar dadu mara gechhen ta uni onar jomi amar baba ebong kakar name korleo record kore janni. R ekhon amar kaka sei sob jomir kagoj amader dichchhen na amra kivabe amar dadur naam jomi theke katabo r amra kivabe sei sob jomir kagoj notin kore korte parbo?

  2. আমার বাবা জীবিত থাকাকালীন আমার দাদার নামে সমস্ত জমি দান করে দিচ্ছেন। সমস্ত জমি দেওয়াতে আমাদের সমস্যা না হয়েও থাকলে আমাদের তিন বোনের শুধু একটাই দাবি যে আমার মাকে প্রাপ্য জমি লিখে দিতে হবে কিন্তু তা দিচ্ছেন না। এইসব জমি দেওয়ার থেকে আটকানোর কি কোনো উপায় নেই ? যদি কেউ জেনে থাকেন দয়া করে জানাবেন ???? হাতে খুব কম সময় তাই একটু তাড়াতাড়ি করে জানাবেন। বি:দ্র:- বাবাকে ভুল বুঝিয়ে, নানান ভাবে হেনস্তা করে নিচ্ছে আর মাকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে খুব অত্যাচার করে বাবা ও দাদা দুই জনেই ।

  3. সহিদুল ইসলাম

    99 নম্বর হাদিপুর চুপড়িঝাড়া মৌজা হাড়োয়া রোডের ধারে একটি দাগের সাত ভাইয়ের অংশের মধ্যে দুই ভাইয়ের অংশ শংকর পাল ক্রয় করেছেন এবং পাকা রাস্তার ধারে অবস্থান করছেন ,আমি বাকি পাঁচ ভাইয়ের অংশ অনেক দেরিতে কিনেছি,ফলে তিনি তার জমি জুড়ে গাছ বসিয়েছেন , অর্ধেক অংশে বাড়ি করেছেন,,এখন তিনি আমার জমিতে আসার কোন পথ দিতে চাইছে না , এমনকি আলপথ দিয়েও আসা যাচ্ছে না গাছ থাকার কারণে অথচ একই দাগ ভুক্ত জমি , এবিষয়ে পশ্চিমবঙ্গের ভূমি আইন কি বলে পরামর্শ চাই।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top