আবাসিক সম্পত্তিতে বিনিয়োগ করার সময় কী বিবেচনা করা উচিত?

আবাসিক এলাকায় একখন্ড জমি কিনে বাড়ি করা আমাদের অনেকেরই স্বপ্ন আছে। পরিচিত অনেকেই আবাসিক এলাকায় জমি কিনে স্থায়ী নিবাস গড়েছে। সাধারণত দিন দিন আবাসিক সম্পত্তির দাম বাড়তে থাকে।  তাই আবাসিক সম্পত্তিতে বিনিয়োগ করতে অনেকেই চাই।

 

কিন্তু জমি কিনলেই হলোনা, অনেকেই অনেকদিন আগে জমি কিনেও সেখানে বাড়ি করতে পারে নাই বিভিন্ন সমস্যার কারণে। এজন্য আমাদের আবাসিক কাজে বাড়ি করার জন্য বিনিয়োগ করার সময় অনেক কিছু বিবেচনা করে বিনিয়োগ করতে হয়। তা নাহলে আমাদের কষ্টে করা সঞ্চয়ের বিনিয়োগ থেকে পরবর্তীতে খুব একটা লাভবান হওয়া যায় না। 

 

আমরা আমাদের সাইটে নিয়মিতভাবে জমির বিভিন্ন তথ্য নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করে থাকি। এরই ধারাবাহিকতায় আজ আমরা আবাসিক এলাকায় জমি কেনার সময় কি কি দেখে নিতে হবে তা নিয়ে আলোচনা করবো। এতে করে আপনারা সহজেই বুঝতে পারবেন কি কি বিষয় দেখে জমি কিনলে আপনি ভবিষ্যতে ভালো সুবিধা পেয়ে থাকবেন। সেই সাথে জমিতে বিনিয়োগ করে আপনি লাভবান হতে পারবেন। আসুন দেখে নিই আবাসিক সম্পত্তিতে বিনিয়োগ করার সময় কি কি বিষয় বিবেচনা করা উচিত। 

 

আবাসিক সম্পত্তিতে বিনিয়োগের বিবেচ্য বিষয়

নিচে আবাসিক সম্পত্তিতে বিনিয়োগের কিছু বিবেচ্য বিষয় আপনাদের সামনে তুলে ধরা হলো। 

 

জমির অবস্থান কোথায় ? 

আবাসিক সম্পত্তিতে জমি কিনতে সবার আগে দেখতে হবে জমিটির অবস্থান কোথায়। জমিটির অবস্থান যদি শহরের আশেপাশে হয় এবং যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো হয়,  তাহলে ঐ জমি খুবই ভালো জমি হিসেবে  বিবেচিত হয়ে থাকে। আর জমিটি যদি গ্রামের প্রত্যন্ত এলাকায় হয়ে থাকে তাহলে আবাসিক বাড়ি করার জন্য খুব একটা লাভজনক হবে না। তাই আবাসিক সম্পত্তিতে বিনিয়োগে জমির অবস্থান খুবই গুরুত্বপূর্ন হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। 

 

জমির মূল্য কেমন 

জমি কেনার আগে ঐ এলাকায় জমির মূল্য কেমন তার খোঁজ খবর নিতে হবে। ঐ এলাকায় বর্তমানে জমির ক্রয় মূল্যের সাথে বিবেচনা করে জমির দাম ঠিক করতে হবে। তাই জমি কেনার আগে চারপাশের জমি কি দামে বিক্রি হয় তা দেখে কেনা অত্যন্ত জরুরী বিষয়। 

 

কি উদ্দেশ্যে জমি কিনবেন? 

আপনার জমি কেনার উদ্দেশ্য কি সেটাও একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয় হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। আপনি সম্পত্তিতে বাড়ী করে ভাড়া দিতে পারেন, সম্পত্তি লিজ দিতে পারেন, কিছুদিন পর বিক্রির জন্য কিনতে পারেন, অথবা দীর্ঘদিন পর বিক্রির জন্য কিনতে পারেন। আপনার উদ্দেশ্যের উপর নির্ভর করে জমি কেনার জন্য বিবেচিত হবে।

 

যেমনঃ আপনি যদি অল্প কিছুদিন পর বিক্রি করে দিতে চান তাহলে যে স্থানে এখনো যোগাযোগ ব্যবস্থা এখনো উন্নত নয় সেখানে জমি কিনে লাভবান হওয়া যাবে না। ঠিক তেমনি নির্মানাধীন কোন রাস্তা বা শিল্প কারখানার আশেপাশের জমিতে বিনিয়োগ করলে অল্প সময়েই ভালো মুনাফা উঠে আসার সম্ভাবনা থাকে।

 

সম্ভব্য মুনাফা ও বিনিয়োগের পরিমান

জমিতে বিনিয়োগ করার সময় আমাদের বড় অংকের বিনিয়োগ করতে হয়। তাই জমি কেনার আগে হিসেব করতে হবে কত টাকা মুনাফা আসবে এবং এর জন্য কত টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। বিনিয়োগ আর মুনাফার হার বিবেচনা করে জমি কেনার সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তাই এই বিষয়টি মাথায় রেখে আবাসিক সম্পত্তিতে বিনিয়োগ করতে হবে। 

পুরোনো ভবন বনাম নতুন ভবন 

অনেক সময় পুরোনো আবাসিক সম্পত্তি কিনে সেখানে নতুন করে আধুনিক বাড়ি বানানো হয়। তাই নতুন বাড়ি বানানোর জন্য কেমন খরচ আসবে এবং সেই টাকায় কত টাকা বাড়ি ভাড়া পাওয়া যাবে তার হিসেব বিবেচনা করতে হবে। দেখতে হবে যে, নতুন বাড়ি বানালে বাড়ি ভাড়া বার্ষিক কত আসবে এবং নতুন বাড়ি বানাতে কত টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। 

 

আপনার ব্যাংক ঋন নেয়ার লিমিট কত

নতুন করে আবাসিক সম্পত্তি কেনার সময় অনেকেই ব্যাংক ঋন নিয়ে থাকেন। আপনার পূর্বে ঋন নেয়া থাকলে সে ঋন পরিশোধ কিভাবে করেছেন তা নতুন ঋন নেয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ন বিষয়। তাই আপনাকে ব্যাংক কত টাকা ঋন দেবে সেটা জমি কেনার আগেই আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে। 

 

আজ আমরা আবাসিক সম্পত্তিতে বিনিয়োগ করার সময় কি কি বিষয় দেখতে হবে তা নিয়ে আলোচনা করলাম।  আগামীতে আরো কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো, তাই আমাদের পেজে নিয়মিত চোখ রাখুন। এই লেখাটি অনেকের কাজে লাগতে পারে তাই লেখাটি যতটুকু সম্ভব শেয়ার করুন, যাতে করে অনেকে এই লেখা থেকে শিক্ষা নিয়ে জমি থেকে আয় করার ব্যবস্থা করতে পারে। 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top