West Bengal Information Technology and Electronics Department: তথ্যপ্রযুক্তি এখন সমস্ত কাজে ব্যবহৃত হয়। আজকাল সব কাজে কম্পিউটার ইন্টারনেট না হলে সেই কাজটা সম্পন্ন হয় না। এ
ক সময় যেটা ছিল একটা জলা জমি, সেখানেই এখন চরম ব্যর্থতা সারাদিন সারারাত ৪৩০ একর জমি নিয়ে গড়ে ওঠা পূর্ব ভারতের সবথেকে বড় তথ্যপ্রযুক্তি কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক নাম নব দিগন্ত।
কলকাতা লাগোয়া বিধান নগর সল্টলেক এর ৫ নম্বর সেক্টরের নাম দেশ-বিদেশে তথ্যপ্রযুক্তি কেন্দ্র সংস্থাগুলোর কাছে পরিচিত নাম হয়ে উঠছে।
Information Technology and Electronics Department:
শুধু মাত্র বড় বড় সংস্থা, যেখানে তাদের দপ্তর খুলেছে তা নয়, কলকাতা তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে উন্নত। অন্যদিকে এই বিপুল সংখ্যায় নতুন ইঞ্জিনিয়ার নেওয়ার জন্য এখনকার তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প উপযুক্ত হয়েছে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে অনেকের।
সফটওয়্যার প্রস্তুতকারক সংস্থা প্রাক্সিস গোষ্ঠীর প্রধান পার্থ চ্যাটার্জি বলেন যে ওই সংখ্যক নতুন ইঞ্জিনিয়ার কে পরিচালনা করার জন্য দরকার আরও প্রায় ৫ থেকে ৬ হাজারের কিছুটা অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ম্যানেজারের।
-
West Bengal Student Credit Card Scheme: অনলাইন আবেদন পক্রিয়া
-
PM Kisan অনলাইন রেজিস্ট্রেশন প্রসেস জানুন, মাত্র করেক মিনিটে
-
-
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নামের তালিকা: দেখুন আপনার নাম আছে কি নেই
-
Information Technology and Electronics Department এর কাজ:
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে রাজ্য সরকার তথ্য-প্রযুক্তির ক্ষেত্রকে এক অনন্য মাত্রা দিয়েছে। এই মুহূর্তে রাজ্যের প্রতিটি সরকারি দপ্তরে কম্পিউটার সংযোগের কাজ সম্পন্ন, নয় তো নয়। সরকারের তরফে ছাত্র – ছাত্রীদের উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে এবং অন্যান্য উদ্ভাবনী প্রযুক্তি তৈরি করার জন্য।
আজকাল সরকারি কাজ এখন অনলাইন পদ্ধতিতে হচ্ছে। এর ফলে দ্রুততার সাথে কাজ সম্পন্ন করা যাচ্ছে। রাজ্য সরকারের সমস্ত প্রযুক্তি ভিত্তিক কাজের তত্ত্বাবধান করে তথ্যপ্রযুক্তি ও ইলেকট্রনিক্স দপ্তর। তাই এই দপ্তর নিঃসন্দেহে এক মুখ্য ভূমিকা পালন করছে।
এছাড়া ম্যাকেঞ্জি গ্লোবাল ইনস্টিটিউট (Mackenzie Global Institute) এর সাম্প্রতিক রিপোর্টে বলা হয়েছে ২০৩০ সালের মধ্যে কলকাতা বিশ্ব অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র হতে চলেছে। সিঙ্গাপুর, হংকং এর সংযোগের ফলে কলকাতা আইটি শিল্প সম্ভাবনা আছে বিপুল।
নিত্য নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার ও তৈরি করতে ইতিমধ্যেই উদ্যোগী দপ্তর। এর জন্য গঠন করা হয়েছে একটি কমিটি, কিভাবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর মাধ্যমে কিভাবে সরকারি কাজ আরও দক্ষতার সাথে করা যায়, সেই বিষয়টি দেখবে এই কমিটি।
তথ্যপ্রযুক্তি দপ্তর বানতলা একটি সেন্টার অফ ইনোভেশন (WB Center of Innovation) তৈরি করছে এই কেন্দ্রের ব্লু প্রিন্ট ইতিমধ্যেই তৈরি হয়ে গেছে। আগামী অর্থবছর থেকে যাত্রা শুরু করবে কেন্দ্রটি।
এখানে শীর্ষস্থানীয় শিক্ষাবিজ্ঞানে শিল্পপতিরা পরামর্শদাতা হিসেবে থাকবেন প্রযুক্তিবিদ্যায় স্নাতকদের এই কেন্দ্রে নিঃশুল্ক জায়গা দেবে রাজ্য সরকার যেসব উদ্ভাবনের মাধ্যমে নিজেদের প্রতিভাকে তুলে ধরতে চায় তাদের জন্য স্কলারশিপের ব্যবস্থাও থাকছে।
Information Technology and Electronics ডিপার্টমেন্ট এর ওয়েসাইট:
এই ডিপার্টমেন্টের ওয়েবসাইটটি হল: https://www.itewb.gov.in এই ওয়েবসাইটের মধ্যে দিয়ে এই ডিপার্টমেন্টের সমস্ত রকমের কার্যকারিতা বিস্তারিত ভাবে জানা যায়।
Information Technology and Electronics ডিপার্টমেন্ট এর ওয়েবসাইটের কাজ:
ইনফরমেশন টেকনোলজি এন্ড ইলেকট্রনিক্স এই ডিপার্টমেন্টের বিভিন্ন রকমের কাজ সম্পর্কে জানার জন্য অনলাইনে ঘরে বসেই আপনি https://www.itewb.gov.in এই ওয়েবসাইটের মধ্যে দিয়ে সার্চের মাধ্যমে সমস্ত তথ্য জানতে পারবেন।
নতুন প্রজন্মের হাতে যে দেশের ভবিষ্যৎ, তা কিন্তু অনস্বীকার্য। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে তারা দ্রুত এগিয়ে চলেছে। বিশেষ করে প্রযুক্তিগত দিক থেকে তাদের জ্ঞান অনেকাংশেই বেশি। এবার নয়া প্রজন্মের তথ্যপ্রযুক্তি পড়ুয়াদের উপরেই ভরসা করতে চলেছে রাজ্য সরকার। এই পড়ুয়াদের দিয়ে তৈরি করানো হবে বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ।
এ ভাবনা থেকেই তথ্যপ্রযুক্তি দপ্তর আয়োজন করেছে “বেঙ্গলাথন” প্রতিযোগিতা। ওলা উবের মত টোটো অ্যাপ, আধার কার্ডের সঙ্গে প্যান কার্ড সংযোগ করার অ্যাপ, সাম্প্রতিক কর প্রদান সহ বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা হবে, রাজ্যের বিভিন্ন জেলা ও তথ্যপ্রযুক্তি পড়ুয়ারা অ্যাপ তৈরির মধ্যে দিয়ে নিজেদের ক্ষমতা এবং দক্ষতা প্রমাণ করতে পারবেন।
এছাড়াও রাজ্য সরকার জোর দিচ্ছে ফিনটেক এর উপর। ফিনটেক হলো একটি নতুন ইন্ডাস্ট্রি অন্তর্গত কোম্পানিগুলি ডিজিটাল পদ্ধতিতে অর্থনৈতিক পরিষেবা দিয়ে থাকে।
এই কোম্পানী গুলির ডিজিটাল পেমেন্ট, অটোমেটিক ডিজিটাল ব্যাংকিং, শেয়ার মার্কেট অ্যানালিটিকস, পেডিকসন, অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট, নিয়ে কাজ করে থাকে। আর এইসব কাজে জোর দিচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তি দপ্তর (Department of Information Technology West Bengal)।
অর্থনীতি ও প্রযুক্তির মেলবন্ধন ঘটিয়ে ফিনটেক এর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে নিজেকে ইতিমধ্যেই তুলে ধরেছে বাংলা। তার সাথে আগামী দিনে যেসব প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়তে চলেছে সেগুলির প্রচার করে এই দপ্তর।
সাইবার সিকিউরিটি, ব্লকচেইন, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, অ্যানিমেশন, আই ও টি ইন্ডাস্ট্রি ৪.০ অ্যানালিটিক্স, ই-স্পোর্টস, ইত্যাদি নিয়ে পরিকল্পনা চলছে।
আবার ঠিক হয়েছে নতুন প্রযুক্তি নিয়ে সারা বছর ধরে সম্মেলন আয়োজিত হবে। ইতিমধ্যেই সাইবার সিকিউরিটি, ব্লকচেইন, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে সম্মেলন হয়ে গেছে।
Information Technology and Electronics Department এর বিশেষ কিছু তথ্য:
এই ডিপার্টমেন্টের Minister-in-charge:
ডঃ পার্থ চ্যাটার্জি ঠিকানা: Monibhandar, 6th floor, webel Bhaban Complex, block- EP & GP, sector-v, Salt Lake City, Kolkata- 700091 ফোন নাম্বার: 2357 5533 /2544 ফ্যাক্স: 2357 2534 ইমেইল এড্রেস: [email protected] |
এই ডিপার্টমেন্টের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি:
শ্রী রাজীব কুমার, IPS ঠিকানা: Monibhandar, 6th floor, webel Bhaban Complex, block-EP & GP, sector- v, Salt Lake City, Kolkata- 700091 ফোন নাম্বার: 2357 2533 ফ্যাক্স: 2357 2534 ইমেইল এড্রেস: [email protected] |
এই ডিপার্টমেন্টের Nodal অফিসার:
শ্রী সঞ্জয় কুমার দাস, WBCS (Exe), Joint Secretary ঠিকানা: Monibhandar,5th floor & 6th floor,webel Bhaban Complex, block-EP & GP, sector- v, Salt Lake City, Kolkata-700091 ফোন নাম্বার: 2357 4525 ফ্যাক্স: 2357 4525 ইমেইল এড্রেস: [email protected] |
টেকনোলজির উপর এখন সমস্ত কিছু নির্ভর করে। রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই সাইবার সিকিউরিটি সেন্টার অব এক্সেসেলেন্স (West Bengal Cyber Security Center of Excellence) গড়ে তুলেছে। এই কেন্দ্রে সাইবারক্রাইম সম্বন্ধিত ঘটনার তথ্যাদি সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করা হবে।
কোনো কোনো ক্ষেত্রে জরুরি ব্যবস্থা নিতে হলে সেটি ও এখান থেকে করা হবে। সাইবার ক্রাইম সম্বন্ধে গাইডলাইনও তৈরি করবে এই কেন্দ্র। সাইবারক্রাইম সম্বন্ধে গবেষণার কাজ হবে এখানে।
Official Website | Click Here |
Home | Click here |