পশ্চিমবঙ্গের ফরেস্ট ডিপার্টমেন্ট অর্থাৎ বন দপ্তর রাজ্যের ১১৮৭৯ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে অবস্থিত। মোট ভৌগোলিক এলাকার ১৩.৩৮ শতাংশ দেখাশোনা করে।
২০১১ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বনাঞ্চল অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এই বৃদ্ধির পরিমাণ ৩৮১০ বর্গ কিলোমিটার অর্থাৎ ৪.২৯ শতাংশ যা কিনা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ।
West Bengal Forest Department:
ফরেস্ট অথবা বন জঙ্গল এর মধ্যে ও অনেক রকম প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র থেকে শুরু করে দরকারি গাছপালা, পশুপাখি, সবকিছুই প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখে যার ফলে জঙ্গল সংরক্ষণ আজকে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এছাড়া পশ্চিমবঙ্গ সরকার হল মা মাটি মানুষের সরকার।
২০১১ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে এই ডিপার্টমেন্ট অরণ্য এলাকার মধ্যে ৭২,৬৯৭ হেক্টর বনাঞ্চল বৃদ্ধি করেছে। এছাড়াও তার পাশাপাশি ব্যবহারের মৃত্তিকা ও আদ্রতা সংরক্ষণের কাজও হয়েছে।
নার্সারি গুলির মজুত ক্ষমতার পরিবর্তে এই ডিপার্টমেন্ট দু’কোটি চারা গাছ রোপন করার জন্য চারা উৎপাদনের ক্ষমতা সম্পন্ন আধুনিক নার্সারি নির্মাণ করেছে।
Forest Department এর কাজ:
এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় ২০১১ সালের ২৭ শে মে থেকে সবুজশ্রী (Sabujshree Scheme) প্রকল্প চালু হয়েছে। এই প্রকল্পে রাজ্যের সমস্ত নবজাতককে গাছের চারা উপহার হিসেবে দেওয়া হয়।
আর এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো শিশুর সাথে পরিবেশ প্রকৃতির একটা আবেগঘন বন্ধন তৈরি করা এবং ভবিষ্যতে এই গাছটি থেকেই আর্থিক সাহায্য পাওয়ার পথ প্রশস্ত হয়।
বন অধিকারের অধীনে বন্যপ্রাণ-বিভাগ রাজ্যের ৪,৬৯২ বর্গ কিলোমিটার সংরক্ষিত এলাকা দেখাশোনা করে। যাকিনা রাজ্যের মোট ভৌগোলিক এলাকার ৫.২৮ শতাংশ। ২০১৩ সালেই সংরক্ষিত এলাকার পরিমাণ ছিল ৪.৫৬ শতাংশ।
ওয়েস্ট সুন্দরবন ডব্লু এল এস:
সুন্দরবনের মূল প্রজাতির বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের জন্য দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৫৫৬ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ২০১৩ সালে তৈরি হয়। সংরক্ষণের গুরুত্ব এর কথা চিন্তা ভাবনা করে দুটি নতুন বন্যপ্রাণ সংরক্ষন অভয়ারণ্য তৈরি করা হয়েছে।
পাখি বিতান বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্য:
উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ির গজলডোবায় জলচর ও পরিযায়ী পাখিদের জন্য ১৪.০৯ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে তৈরি হয়েছে।
২০১৪ সালে রাজ্য বন উন্নয়ন এজেন্সি তৈরি হয়েছে। অন্য সমস্ত কাজের সঙ্গে এটি রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ সাংসদ এবং পর্ষদ তহবিলের অর্থে বনাঞ্চলে চারা লাগানোর কাজ করছে।
২০১৫ সালের মে মাস থেকে রাজ্যের কুড়িটি ইকো ট্যুরিজম (Eco tourism in West Bengal) কেন্দ্রের অনলাইন সংরক্ষণ এবং অর্থ প্রদানের কাজ চালু হয়েছে। তাকদা, পোখরিয়াতার, চিমনি তে ইকোটুরজম ইউনিট চালু হয়েছে।
রাজ্যে বেড়েছে বাঘের সংখ্যা:
বনদপ্তর এর তৎপরতায় অথবা ফরেস্ট ডিপার্টমেন্ট (Forest Department) এর কার্যকারিতায় রাজ্যে বনাঞ্চলের বাঘের সংখ্যা বেড়েছে, এমনটাই জানা যাচ্ছে বনদপ্তর এর সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষায়।
Forest Department এর ওয়েবসাইট:
এই ডিপার্টমেন্টের ওয়েবসাইটটি হল: www.westbengalforest.gov.in
এই ওয়েবসাইটের মধ্যে দিয়ে ফরেস্ট ডিপার্টমেন্ট অথবা বনাঞ্চলের বিভিন্ন রকমের কার্যাবলী জানতে পারা যায়।
এই ডিপার্টমেন্টের ওয়েবসাইটের কাজ:
ফরেস্ট ডিপার্টমেন্টের বিভিন্ন রকমের ওয়েবসাইটের মধ্যে দিয়ে আপনি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ এবং বনাঞ্চল সংরক্ষণ সম্পর্কে বিশদে তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন।
যেমন ধরুন www.westbengalforest.gov.in এই ওয়েবসাইটের মধ্যে দিয়ে ফরেস্ট ডিপার্টমেন্ট এর বিষয়ে জানা ছাড়াও আরো অনেক ওয়েবসাইটের মধ্যে দিয়ে আপনি বনাঞ্চল সম্পর্কে বিশদে জানতে পারেন সেগুলি হল:
WB Forest Dev. crop. Ltd: www.wbfdc.com
WB Zoo Authority: www.wbza.co.in
WB Forest and Biodiversity conservation projects: www.wbfbcp.org
WB Wasteland Development Corporation Ltd: www.wbwdcl.com
WB Ecotourism Board: www.wbetab.in
Forest Department এর বিশেষ কিছু তথ্য:
এই ডিপার্টমেন্টের Minister-in-charge:
শ্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ঠিকানা: অরণ্য ভবন, ব্লক LA- 10A, Sector- lll, Salt Lake City, Kolkata- 700106 ফোন নাম্বার: 23 35 40 40 ফ্যাক্স: 2335 4028 ইমেইল এড্রেস: [email protected] |
এই ডিপার্টমেন্টের মিনিস্টার অফ স্টেট:
Birbaha Hansda ঠিকানা: অরণ্য ভবন ব্লক- LA- 10A, sector lll, Salt Lake City, Kolkata- 700106 ফোন নাম্বার: 23 35 40 40 ফ্যাক্স: 2335 4028 ইমেইল এড্রেস: [email protected] |
এই ডিপার্টমেন্টের অ্যাডিশনাল চিফ সেক্রেটারি:
শ্রী বিবেককুমার, IAS ঠিকানা: অরণ্য ভবন, ব্লক- LA- 10A, sector lll, Salt Lake City, Kolkata-700106 ফোন নাম্বার: 2335 4030 ফ্যাক্স: 23 35-4020 ইমেইল এড্রেস: [email protected] |
এই ডিপার্টমেন্টের Nodal অফিসার:
শ্রীমতি সঙ্গীতা দুবে, IFS, CCF, MIS and e-Governance ফোন নাম্বার: 2335 8756/ 23 3577 51 ফ্যাক্স: 2335 8756 |
অরন্যের উপরেও কিন্তু অনেক মানুষের জীবিকা নির্বাহ হয় ফুল ফল এবং মধু ভাঙ্গা প্রয়োজনীয় শুকনো কাঠ সবকিছু অর্থনৈতিক উন্নতির দিকে নিয়ে যায় এই বনাঞ্চল। তাই দেখাশোনার দায়িত্বে এই ডিপার্টমেন্ট বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ জঙ্গলের গাছপালা সংরক্ষণ এবং তা থেকে অর্থনৈতিক ব্যবস্থার উন্নতি সাধনের জন্য বিভিন্ন রকমের প্রকল্প ও সহযোগিতা করে থাকে।
প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য জঙ্গল সংরক্ষণ, এর পাশাপাশি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ যেমন বাঘ, হাতি, হরিণ, বিভিন্ন বন্যপ্রাণী ও তার সাথে বিভিন্ন রকমের পাখি, পরিযায়ী পাখি, তাদেরকে সংরক্ষণের পাশাপাশি তাদের জন্য আলাদা করে অভয়ারণ্য তৈরি করা।
সবকিছুই প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখার পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নতি সাধন হয়। আগে যে পরিমাণ বনাঞ্চল ছিল, এখন তা সকলের তৎপরতায় বনাঞ্চলের পরিমাণ অনকটাই বিস্তৃত হয়েছে।
তাছাড়া পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার জনসাধারণের মধ্যে চারাগাছ বিতরণের মধ্য দিয়ে পরিবেশ কে আরো বেশি সবুজায়ন করে তোলার জন্য অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।
পঞ্চায়েত এর মাধ্যমে সকলের মধ্যে চারাগাছ বিতরণ করার ফলে সেই চারা গাছ বড় হয়, ফুল, ফল ও আর্থিক সহযোগিতা করতে পারে সাধারণ মানুষের। গাছ লাগান প্রাণ বাঁচান কথাটা আজ সকলের মধ্যে বেশ প্রযোজ্য। পৃথিবীকে রক্ষা করার জন্য বনাঞ্চল কে রক্ষা করাটা জরুরী।
আর্থিক সহযোগিতার পাশাপাশি সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যার জন্য আমরা বেঁচে আছি, অক্সিজেন সেটাও কিন্তু গাছপালা অর্থাৎ বনাঞ্চল থেকেই পাওয়া যায়। সব দিক থেকে বিচার করে ফরেস্ট ডিপার্টমেন্ট (West Bengal Forest Department) বনাঞ্চল ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে একের পর এক পদক্ষেপ গ্রহণ করে চলেছে।
Official Website | Click Here |
Home | Click Here |