wbfisheries.in 2024 Fisheries Department of West Bengal

West Bengal Fisheries Department: সমস্ত দেশের সাথে সাথে রাজ্যে মাছের চাহিদা পূরণ করার জন্য মৎস্য নীতির পথে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার। রাজ্যে মাছ চাষের বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থাকে যুক্ত করার চেষ্টা চলছে। ওই সমস্ত সংস্থাকে উৎসাহ দিতে, যে কি কি ছাড় দেওয়া সম্ভব তা খতিয়ে দেখছে রাজ্য সরকার।

অল্প সময়ে কি করে বড় সাইজের মাছের চাষ করা যায় তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বাংলার হারিয়ে যাওয়া মাছ সংরক্ষণ ও সেই সমস্ত মাছের ফিরিয়ে আনা ও চাষের গুরুত্ব দিয়েছে রাজ্য সরকার।

মাছের উৎপাদন বৃদ্ধিতে আধুনিক পদ্ধতির প্রয়োগ এর উপর জোর দেয়া হচ্ছে। এই জন্য জার্মানির মতো মাছ চাষে উন্নত দেশের প্রযুক্তি গ্রহণ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার জার্মান সমস্ত প্রযুক্তি দিয়ে সাহায্য করছে।

Fisheries Department of West Bengal:

অনেকেই এই মাছ চাষ কে কেন্দ্র করে নিজেদের জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। আগের থেকে অনেক উন্নত প্রযুক্তি, উন্নত মাছের খাদ্য প্রদান করা হয় রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে।

Fisheries Department of West Bengal
Fisheries Department of West Bengal Government

যার ফলে আরও ভালোভাবে জেলে অথবা যারা মাছ চাষ করেন তারা অল্প সময়ের মধ্যে বিভিন্ন রকমের মাছ উৎপাদন ও বড় করতে পারে। তার পাশাপাশি ব্যবসায়িক দিকেও খেয়াল রাখাটাও জরুরী।

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার মাছ উৎপাদনের এমন একটি টেকসই ব্যবস্থা তৈরি করতে চায় যা কিনা পরিবেশ বান্ধব। এই জন্য সরকার আধুনিক উপকূলীয় ফিশারি গ্রামগুলির উন্নয়ন করবে এবং করছে। এই প্রকল্পের জন্য সরকার ৭৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে।

এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হল নীল অর্থনীতির প্রচারের মাধ্যমে উপকূলীয় জেলেদের সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী করা। তাছাড়া মৎস্যজীবীদের প্রায়ই দূরের কোন জেলা থেকে মাছ নিয়ে আসতে হয়। রাস্তাতেই যানবাহনে কিছু মাছ মারা যায় অনেক সময়। তাছাড়া গাড়ি ভাড়া বাবদ অনেক টাকা চলে যায়।

আবার নতুন জায়গায় আসার পর অনেক মাছ পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে না। তার পরেও তারা মারা যায়। মৎস্যজীবীরা চিন্তায় পড়ে, মুশকিল আসান করতে এবার অন্যরকম এক ব্যবস্থা শুরু করল রাজ্য মৎস্য দপ্তর

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের ফিশারি ডিপার্টমেন্ট এর কাজ:

তার জন্য পশ্চিমবঙ্গের ফিশারি ডিপার্টমেন্ট (Fisheries Department of West Bengal) এর থেকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। আধুনিক প্রযুক্তিতে কিভাবে মাছ চাষ করা যায়, ছোট চারা পোনা মাছ কিভাবে তৈরি করতে হয়, ধানি পোনা মাছ কিভাবে উৎপন্ন হয়, তার লালন-পালন কিভাবে করতে হয়, ইত্যাদি সম্পর্কে বিশেষ জ্ঞান প্রদান করা হয়, অথবা শিবিরের মাধ্যমে এবং তার সাথে সাথে হাতে কলমে ও দেখানো হয় মৎস্যজীবী ও জেলেদের।

Fisheries Department of West Bengal Services
Fisheries Department of West Bengal Services

বিগত ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে আমাদের রাজ্য অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গ মাছ উৎপাদনে প্রথম স্থান অধিকার করে আসছে। কিন্তু তার পাশাপাশি আমাদের রাজ্যে জনসংখ্যার চাপও পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে, তাই মাছ উৎপাদন বাড়ানোর চাহিদা রয়েছে।

শুধুমাত্র মাছ উৎপাদনের ক্ষেত্রে নয়, আমাদের রাজ্য মাছের চারা উৎপাদনের ক্ষেত্রে এগিয়ে আছে। রাজ্যের মোট মৎস্য উৎপাদনের ৭৫% পশ্চিমবঙ্গ থেকেই আসে। তাহলে বোঝাই যাচ্ছে যে, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার মাছ চাষের বিষয়ে কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আর এই বিষয়ে দায়িত্বে রয়েছে ফিশারি ডিপার্টমেন্ট।

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের ফিশারি ডিপার্টমেন্ট এর ওয়েবসাইট:

এই ডিপার্টমেন্টের ওয়েবসাইটটি হল: www.wbfisheries.in এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে মাছ চাষ সম্পর্কে এবং এই ডিপার্টমেন্ট মাছ চাষে কি কি সহযোগিতা করে থাকে তা কিন্তু জানতে পারবেন।

ফিশারি ডিপার্টমেন্ট এর ওয়েবসাইট এর কাজ:

www.wbfisheries.in ফিশারি ডিপার্টমেন্ট (Fisheries Department) এর এই ওয়েবসাইট এর ভিতরে সার্চের মাধ্যমে মাছ চাষের খুঁটিনাটি বিষয় সম্পর্কে সাধারণ এবং সঠিক ধারণা আপনি পেতে পারেন।

মাছ চাষের জন্য কি কি ধারণা প্রয়োজন:

ফিশারি ডিপার্টমেন্ট (Fisheries Department) এর ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনি এই ধারণাগুলো পেতে পারেন অথবা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার (West Bengal Government) মৎস্য চাষে কিভাবে সহযোগিতা করছে সে সম্পর্কেও আপনি অবগত থাকতে পারবেন।

#১) পুকুরের জল ও মাটি সম্পর্কে সঠিক ধারণা

#২) চাষের মাছ গুলোর খাদ্য বাসস্থান সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান

#৩) পুকুরে প্রাকৃতিক খাদ্যের সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান

#৪) পুকুরে পরিপূরক খাদ্য সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান

#৫) চুনের ব্যবহার

#৬) পুকুরে সারের ব্যবহার ইত্যাদি।

মাছ চাষের অর্থনৈতিক সুবিধা:

রাজ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণ মাছের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি মাছের চারা উৎপাদনের জন্য কর্মসংস্থানের প্রয়োজনীয়তা দেখা যায়। তার ফলে অনেক মানুষ এখানে তাদের কর্মসংস্থান পেয়ে যেতে পারেন।

তাছাড়া মাছের চারা বাজারে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজন হয় অধিক সংখ্যক লোকের। মাছের রক্ষণ ও সংরক্ষণের জন্য প্রচুর লোক নিযুক্ত করা হয়, ফলে কাজের ব্যবস্থা হয়। বিদেশে রপ্তানী করার জন্য দরকার হয় কর্মীদের, সেটাও কিন্তু এর মাধ্যমে সম্ভব হয়।

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের Fisheries Department এর বেশ কিছু তথ্য:

এই ডিপার্টমেন্টের মিনিস্টার অফ স্টেট (ইন্ডিপেন্ডেন্ট চার্জ):

শ্রী অখিল গিরি

ঠিকানা: Benfish Tower, 8th floor, 31 GN block, salt lake, sector-v, Kolkata- 700091

ফোন নাম্বার: 033-2357-0099/78

ফ্যাক্স: 033-2357-0086

ইমেইল এড্রেস: micpsfish@gmail.com

এই ডিপার্টমেন্টের অ্যাডিশনাল চিফ সেক্রেটারি:

শ্রী অত্রি ভট্টাচার্য্য, IAS

ঠিকানা: বেনফিশ টাওয়ার, 31 জি এন ব্লক, 8th floor, IT building, Salt Lake, Sector-v, Kolkata- 700091

ফোন নাম্বার:  2357 0077

ফ্যাক্স: 2357 0072

ইমেইল এড্রেস: prsecy.fisheries@gmail.com

এই ডিপার্টমেন্টের  Nodal অফিসার:

শ্রীমতি অরুন্ধতী ভৌমিক, জয়েন্ট সেক্রেটারি

ঠিকানা: Benfish tower, 31 GN block, Salt Lake, Sector-v, Kolkata- 700091

ফোন নাম্বার: 2357 0043

ফ্যাক্স: 2357 0013

ইমেইল এড্রেস: nodalfish@gmail.com

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার প্রথম থেকেই মাছ চাষে গুরুত্ব প্রদান করে আসছে। আজও তার উন্নতি সাধন করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মাছ চাষের অর্থনৈতিক উন্নতি সাধনের জন্য বিভিন্ন রকমের পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। এর ফলে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার বেকার মানুষের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি রাজ্যের অর্থনৈতিক দিক দিয়েও উন্নতিসাধন করছে।

# মাছ চাষ জল নির্ভর হওয়ার জন্য এর উৎপাদন ক্ষমতা কৃষিকাজের থেকে অনেকগুণ বেশি। মাছ প্রোটিন জাতীয় সহজপাচ্য খাবারের উৎস।

# তাই সকলের প্রোটিন এর ঘাটতি পূরণ হওয়ার পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নতি সাধন হয়। মাছ ভিটামিন সরবরাহের অন্যতম একটি মাধ্যম।

# মাছের যকৃৎ নিঃসৃত তেল এবং ভিটামিন এ ও ডি খুব ভালো উৎস হিসেবে কাজ করে।

# এছাড়া সৌখিন জুতো এবং হাত ব্যাগ তৈরিতে মাছের চামড়ার অপরিহার্য ব্যবহার দেখা যায়।

# আবার তার পাশাপাশি রঙিন মাছের রপ্তানি থেকে প্রচুর পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা যায়।

Official Website Click Here
Home Click here

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top