লোন নেবার আগে এই কথাগুলি মাথায় রাখবেন

যদি আপনি আপনার বিজনেস বাড়াতে চান, পড়াশুনার জন্য, চিকিৎসার জন্য, বিবাহ বা পার্সোনাল কিছু কাজের জন্য ব্যাঙ্ক থেকে লোন নিতে চান তাহলে আপনাদের কিছু কথা মাথায় রাখা দরকার। এখানে আপনাদের জন্য বিশেষ কিছু কথা উল্লেখ করা হয়েছে যা Loan নেবার আগে যদি মাথায় রাখেন তাহলে আপনার লাভ হবে।

আপনার সকল কাজের জন্য ব্যাঙ্ক Loan দেবার জন্য সব সময় প্রস্তুত থাকে। ছোট ছোট কাজের থেকে শুরু করে বড় বড় কাজের জন্য আমাদের মাথায় Loan নেবার খেয়াল আসে। কিন্তু সব কাজের জন্য কি Loan নেয়া উচিত ?

বিনা ভাবনা চিন্তা করে নেওয়া লোন হতে পারে আপনার জন্য বিপদজন। তাহলে কিভাবে লোন নেওয়া দরকার ? আর এই জন্য কি কি কথা সব সময় মনে রাখতে হবে, আসুন এই সমস্ত কিছু জেনে নিন

প্রথম থেকেই বাজেট ও সময় নির্ধারণ করে নেওয়া প্রয়োজন:

কোনো রকম Loan নেবার আগে এই বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করে নিন কি, কত টাকার Loan নিচ্ছেন ? আর কি কারণে নিচ্ছেন ? যতটা দরকার বা যত কমের মধ্যে কাজ হয় তার চেষ্টা করা দরকার আর ততটাই লোন নেওয়া জরুরি। দরকারের থেকে বেশি লোন আপনাকে পরে কষ্ট দিতে পারে।

যত বেশি লোন তত বেশি সুদের হার আর মাসিক EMI আর এর সময়ের সীমাও অনেক বেশি হবে। বর্তমানে অনলাইনের মধ্যে সরল ভাবে Loan তো পাওয়া যাচ্ছে যার কারণে লোকেরা বিনা ভাবনা চিন্তা করে লোন নিয়ে নিচ্ছে কিন্তু পরে এই লোন গলার ফাঁস হয়ে যায়।

তাই যখনটি লোন নেবেন তার আগে বাজেট দেখে নেবেন আর সব সময় নিজের বাজেটের থেকে কম লোন নেওয়াটাই সুবিধাজনক।

সুদের হার সম্পর্কে জানা জরুরি :

যে কোনো Bank সবসময় দুই ধরণের সুদের দরের ওপর নির্ভর করে একটি ফিক্সড সুদের হার আর ভেরিয়েবেল সুদের হার। এখানে ফিক্সড সুদের দরে দেওয়া লোনের সুদের হার সব সময় এক থাকে যা Loan নেবার সময় ঠিক করা হয়, এই দর কখনো বদলায় না।

আর ভেরিয়েবেল সুদের দর MCLR অর্থাৎ মার্জিনাল কস্ট অফ ফান্ডস বেসড লেন্ডিং রেট দ্বারা নির্ধারণ করা হয় যা সময়ের সাথে বদলাতে থাকে। এতে সুদের হার কমতে ও বাড়তে থাকে। এই কারণে যখনি লোন নেবেন তখন সুদের হার সম্পর্কে জানা জরুরি যে আপনার লোনে কি ধরণের সুদের হার লাগানো হয়েছে।

ইন্টারেস্ট রেট রিসার্চ করা দরকার :

সব সময় যে কোনো লোন নেবার আগে ওই লোনের ইন্টারেস্ট রেট সম্পর্কে একটু রিসার্চ করা প্রয়োজন। আসলে আলাদা আলাদা ব্যাঙ্ক আলাদা ইন্টারেস্ট রেট দিয়ে লোন দিয়ে থাকে তাই কেবল একটি ব্যাঙ্ক বা ফাইনেন্স কোম্পানির ইন্টারেস্ট রেট না দেখে বিভিন্ন কোম্পানি ও ব্যাংকের ইন্টারেস্ট রেট যাঁচাই করা দরকার।

আজকাল ছোট ছোট ফিনটেক কোম্পানিরা সহজে আর কম ডকুমেন্ট দিয়েই লোন দিয়ে থাকে কিন্তু তাদের ইন্টারেস্ট রেট বেশি থাকে। তাই ইন্টারেস্ট রেট যাঁচাই করেই সঠিক রেটে লোন নেওয়া উচিত।

লোন সময়ে সময়ে মেটানো দরকার :

যে কোনো লোনের সব থেকে জরুরি কাজটি হলো লোন সময়ে সময়ে চুকানো। সব সময় Loan EMI তার সময়ে পেমেন্ট করলে অনেক রকম লাভ পাওয়া যায়। এই ফলে CIBIL Score কখন খারাপ হয় না যা ব্যাঙ্কিং ও আগের সময়ে কোনো রকম লোন নিতে অসুবিধা হয় না।

যখন লোন নেওয়া হয় তখনি নিজের সুবিধা অনুসারে Loan EMI দেবার তারিখ ঠিক করে নেওয়া দরকার। নিজের ব্যাঙ্কিং স্কোর ঠিক রাখতে হলে এই কাজ সময় সময়ে করতে হবে।

সময়ের আগে লোন মেটালে দিতে হয় চার্জ :

যে কোনো প্রকারের লোন সময়ের আগে মিটিয়ে নেওয়া সম্ভব, কিন্তু প্রতি ব্যাংকের সময়ের আগে লোন মিটাবার আলাদা চার্জ থাকে যাকে প্রিপেমেন্ট চার্জ বলা হয়। কোনো কোনো ব্যাঙ্ক 1 বছরের আগে লোন প্রিপেমেন্টের সুবিধা দে না। তাই যখন লোন নেওয়া হয় তখন লোনের এই বিষয়ে জানা দরকার যে প্রিপেমেন্ট আছে কি না আর চার্জ কত।

Loan যে কোনো হোক না কেন Personal Loan, Home Loan, Car Loan, Education Loan ইত্যাদি, সেই Loan নেবার আগে ওপরের বিষয়গুলির সম্পর্কে জেনে নেওয়া একান্তই প্রয়োজন। বেশিরভাগ সময়ে এই সব তথ্য না জানার কারণে লোন নেবার পরে ভবিষ্যতে অসুবিধায় পড়তে হয়।

আশা করি আমাদের এই তথ্য আপনাদের সাহায্য করবে, যদি আমাদের এই তথ্য আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই সকলের সাথে শেয়ার করবেন এবং এই ধরণের আরো নতুন নতুন তথ্য পাবার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটে নজর রাখুন।নতুন নতুন আপডেট পাবার জন্য আমাদের Facebook Page লাইক ও ফলো করুন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top