Rice Cream Making Process in Bangla | Advantages of Using Rice Cream for Skin Care
প্রাচীনকাল থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ত্বকচর্চার জন্য বিভিন্ন উপকরণ ব্যবহার হয়ে আসছে। এরমধ্যে কিছু উপাদান আছে, যার কার্যকারিতা খুবই আশ্চর্যজনক।
আমরা নিজেদের সুন্দর রাখতে প্রতিনিয়ত কত ধরনের প্রোডাক্ট এবং পার্লারের সাহায্য নেই, অনেকে লেজার বা কসমেটিক সার্জারীও করিয়ে থাকেন।
কিন্তু আমরা যদি নিজেদের হাতের কাছে থাকা সকল উপাদান ঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারি, তাহলে নিজেদের চেহারার উজ্জ্বলতা বাড়ানো, দাগ, ব্রণের গর্ত, চেহারার কালচে ভাব, রংয়ের অসামঞ্জস্য দূর করে।
কোন ধরনের কৃত্তিম উপাদান ছাড়াই ত্বক হবে শিশু বাচ্চাদের মত। আর এরকম রাইস ক্রিম দিয়ে জাজলরা তাদের চেহারার সৌন্দর্য ধরে রাখে।
আপনি যদি সম্পূর্ন ঘরে তৈরি জিনিস ব্যবহার করে রাইস ক্রিম তৈরি করতে চান, এবং উপকারিতা জানতে চান, তাহলে আজকের পোস্টটি আপনার জন্যই।
এখান থেকে আপনি জানতে পারবেন, রাইস ক্রিম কিভাবে বানানো হয়, এবং এর উপকারিতা। চলুন দেরী না করে আজকের মূল আলোচনায় যাওয়া যাক।
রাইস ক্রিম বানানোর উপায় ও উপকারিতাঃ
রাইস ক্রিম তৈরি করা খুবই সহজ ও ঝামেলা ছাড়াই তৈরি করতে পারবেন। এর জন্য প্রথমে একটি পাত্রে চাল ধুয়ে ভিজিয়ে রাখুন।
তারপর ১৫ মিনিট এভাবেই রাখুন। যখন জল সাদা হয়ে যাবে তখন জল শুকিয়ে চাল বেটে নিন। বাটার পর ছাকুনিতে ছেকে শুধু মিহিগুড়া নিন।
যদি ব্লেন্ডারে করতে চান তাহলে ব্লেন্ডারে চাল দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। এবং সুজির মত অংশ ছাকুনি দিয়ে ছেকে নিন।
এরপর শুধুমাত্র মিহি অংশটা নিয়ে তাতে কিছুটা জল মিশিয়ে চুলায় জ্বাল দিন। এরপর ঘন হয়ে এলে চুলা থেকে নামিয়ে নিয়ে ঠান্ডা করে ত্বকে মাখুন।
এটা আপনি চাইলে মুখে ৩০-৪৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে পারেন, আবার রাতে ঘুমানোর সময় মুখে লাগিয়ে ঘুমাতে পারেন।
সকালে উঠে পরিষ্কার জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। সপ্তাহের প্রতিদিনই এটা ব্যবহার করতে পারবেন।
এবং একবার বানিয়ে ৭ দিন ব্যবহার করতে পারবেন। বানানো ক্রিম ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে হবে।
রাইস ক্রিমের উপকারিতাঃ
চলুন এবার দেখে নেওয়া যাক এই রাইস ক্রিমের উপকারিতাগুলি যা আপনার প্রচুর কাজে লাগবে।
১. দ্রুত ফরসা করে
চালে রয়েছে প্রচুর প্রোটিন ও ভিটামিন যা ত্বককে দ্রুত ফর্সা করে একদম গভীর থেকে।
আমরা যখন ফেসওয়াশ বা স্ক্রাব ব্যবহার করি, তখন তা আমাদের ত্বকের উপরের অংশে কাজ করে।
কিন্তু রাইস ক্রিম যদি রাতে নাইট ক্রিমের মত ব্যবহার করা হয় তবে তা ত্বকের গভীরের লেয়ারেও কাজ করে এবং ত্বক পরিষ্কার করে।
নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের দাগ দূর হবে। ত্বক হবে উজ্জ্বল ও টানটান।
২. বয়সের ছাপ কমায়
যাদের ত্বকে বয়সের কারণে অথবা অন্য কারণে চামড়ায় ভাজ পড়ে গেছে অথবা রিংকেল দেখা দিয়েছে তারা এই রাইস ক্রিমটি ব্যবহার করুন।
নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকে কোন ভাজ বা রিংকেল থাকবে না। ত্বক একেবারে কিশোরীদের মতই টলটলে আর রিংকেলমুক্ত থাকবে।
৩. দাগ দূর করে
ব্রণ, এলার্জি, র্যাশ, মেছতা ইত্যাদি কারণে আমাদের ত্বকে দাগ, গর্ত, ক্ষত দেখা দেয়। যা দূর করতে আমরা কত ধরনের প্রোডাক্ট ব্যবহার করে থাকি।
অথচ আমরা যদি নিয়মিত রাইস ক্রিম ব্যবহার করি তাহলে ত্বকের দাগ খুব দ্রুত কমে যাবে।
যেহেতু রাতে রাইস ক্রিম ব্যবহার করলে এটা আমাদের ত্বকের গভীরের লেয়ারেও কাজ করে, তাই দাগ খুব দ্রুত দূর হয়ে যায়, এবং দাগ ফিরে আসেনা।
৪. ব্ল্যাকহেডস দূর করে
রাইস ক্রিম ব্যবহার করলে এটা ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে হোয়াইটহেডস ব্ল্যাকহেডস নরম করে, ফলে স্বাভাবিক মুখ ধোয়া বা আলতো চাপেই এগুলো দূর হয়ে যায়। বাড়তি কোন রেমিডি ব্যবহারের প্রয়োজন হয়না।
উপসংহার
চীনা এবং জাজল মেয়েরা তাদের ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে রাইস ক্রিম ব্যবহার করে থাকে। এজন্যই তাদের ত্বক এত সুন্দর ও টলটলে থাকে।
অনেক বয়স হয়ে গেলেও তাদের মুখে ভাজ পড়েনা। দাগ বা ব্রণের সমস্যাও হয়না।
আপনিও যদি জাজলদের মত সুন্দর আকর্ষণীয় ত্বকের অধিকারী হতে চান তাহলে মুখের ত্বকে রাইস ক্রিম ব্যবহার করুন।
এটা আপনাকে সুন্দর উজ্জ্বল, দাগমুক্ত ত্বক পেতে সাহায্য করবে কোন টাকা খরচ ছাড়াই।
তখন আর ত্বকের যত্ন নিতে পার্লার, বা ট্রিটমেন্ট করার প্রয়োজন হবেনা৷ বাজারে প্রচলিত ত্বক নষ্টকারী নাইট ক্রিম ব্যবহার করে ত্বকের বারোটা বাজানোরও আর ইচ্ছা হবেনা।
তাই আজই বাড়িতে বসেই বানিয়ে ফেলুন, এই চমৎকার ক্রিমটি, আর নিজের ত্বকের সব সমস্যার সমাধান করুন নিজেই।
আশা করি পোস্টটি নাইট ক্রিম বানাতে এবং এর উপকারিতা সম্পর্কে জানতে আপনার উপকারে আসবে।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানার অথবা কোন মতামত দেওয়ার থাকলে কমেন্ট করে আমাদের জানাতে পারেন।
আমরা আপনার মতামত গুরুত্বসহকারে নিয়ে অবশ্যই দ্রুত উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। আজকের মত এখানেই শেষ করছি।
ধন্যবাদ সবাইকে।