জানুন 12 বছর বয়সীদের করোনা ভ্যাকসিনের জন্য রেজিস্ট্রেশান পদ্ধতি Covid Vaccine For Years Old Online Registration: করোনার প্রথম পর্যায় থেকেই আতঙ্কের শেষ নেই।তার সাথে সাথে একটার পর একটা করোনার ঢেউ আছড়ে পড়ছে সবার মধ্যে।
তবে টিকা আবিষ্কারের পর প্রাপ্ত বয়স্কদের টিকা করন প্রক্রিয়া চালু হলেও শিশু এবং কিশোর কিশোরীদের জন্য টিকাকরণ চালু হয়নি। সে ক্ষেত্রে করোনার তৃতীয় ঢেউ সবচেয়ে বেশি সংক্রমিত করতে পারে শিশুদের। এই পরিস্থিতিতে শিশুদের নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে সমস্ত দেশ।
ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (FDA) এর প্রধান স্কট গটলিবের মত অনুসারে, মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারক ফাইজার এর covid-19 টিকা ১২-১৮ এবং ৫ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুদের ভ্যাকসিন দেওয়ার অনুমোদন পেতে পারে। তবে এটির জোর সম্ভাবনা রয়েছে।
তাছাড়া ১২-১৮ এবং, ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে ভ্যাকসিনের নিরাপত্তা এবং তার কার্যকারিতা মূল্যায়নের জন্য ফাইজার, মর্ডারনা এবং জনসন এন্ড জনসন একসঙ্গেই ক্লিনিকাল ট্রায়াল করেছে। তাই এর উপর ভিত্তি করেই সেপ্টেম্বরেই শিশুদের জন্য ফাইজার ভ্যাকসিনের রেজাল্ট পাওয়া যেতে পারে।
আবার ফাইজার দু’বছর এবং তার বেশি বয়সীদের জন্য ক্লিনিকাল ট্রায়াল পরিচালনা করছে। নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর এর মধ্যে এর রিপোর্ট পেয়ে যাবে সংস্থাটি। কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য শিশুদের টিকা করন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
কারণ অত্যন্ত সংক্রামক ডেল্টা প্রজাতি শিশুদের কেও সংক্রমণ অথবা আক্রমণ করতে পারে, এমনটাই আশঙ্কা করা যাচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিদিন প্রায় ৩০০ জন শিশু হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। তথ্য অনুসারে জানা গিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্কুল চালু হওয়ার জন্য সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।
কোভিড ভ্যাকসিনেশন সার্টিফিকেট ডাউনলোড ৩টি পদ্ধতি
ভ্যাকসিনের জন্য অনলাইন রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি:
পরবর্তী মাস থেকে ১২ থেকে ১৮ বছরের বয়সী বাচ্চাদের রেজিস্ট্রেশান শুরু হবার কথা বলা হয়েছে কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন নির্দিষ্ট তারিখ উল্লেখ করা হয়নি। ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হলে রেজিস্ট্রেশান করার জন্য নিম্ন পদ্ধতি অনুসরণ করবেন,
প্রথম পর্বে ৬০ বছরের বয়স্কদের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছিল। তারপর ১৮ থেকে ৪৫ অথবা তার বেশি বয়সীদের টিকাকরণ পর্ব চলছে। এবার শুরু হতে চলেছে ১২ বছর এবং কিশোর-কিশোরীদের টিকাকরণ পর্ব (Covid Vaccine For 12 Years Old)। তবে টিকা নিতে গেলে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক, সহজ কিছু স্টেপ ফলো করে কিভাবে মোবাইল অথবা কম্পিউটার এর মাধ্যমে অনলাইনে ভ্যাকসিনের রেজিস্ট্রেশন করবেন-
#ধাপ ১) প্রথমত আপনার মোবাইলে CoWIN অ্যাপ থাকলে সেটি খুলুন, অথবা cowin.gov.in ওয়েবসাইটে যেতে পারেন অথবা সরাসরি https://www.cowin.gov.in/ এই লিংকে ক্লিক করুন।
#ধাপ ২) এবার রেজিস্টার অথবা সাইন-ইন বাটন টিতে ক্লিক করুন। তারপর আপনার মোবাইল নাম্বার দিন।
#ধাপ ৩) এরপর আপনার মোবাইল নাম্বার একটি ম্যাসেজ আসবে সেখানে আপনি আপনার ওটিপি পাবেন।
#ধাপ ৪) নির্দিষ্ট জায়গায় ওটিপি টাইপ করুন অথবা কপি পেস্ট করতে পারেন।
#ধাপ ৫) তারপর ভেরিফাই বাটনে ক্লিক করুন।
#ধাপ ৬) তবে হ্যাঁ, বেশি তাড়াহুড়ো করার দরকার নেই, এর জন্য আপনি তিন মিনিট পর্যন্ত সময় পাবেন।
#ধাপ ৭) এরপর আপনার সামনে রেজিস্ট্রেশন এর পেজ খুলে যাবে। যেখানে Add Members এ নতুন মেম্বার যোগ দিতে হবে।
#ধাপ ৮) তারপর সেখানে আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স, ইত্যাদির মধ্যে আপনার পছন্দের কোন ফটো আইডিটি আপনি ব্যবহার করবেন, সেটা জানিয়ে তার নাম্বার দিতে হবে এখানে।
#ধাপ ৯) নির্দিষ্ট জায়গায় নিজের নাম, বয়স এবং আপনার জেন্ডার দিতে হবে। এরপর রেজিস্টার বাটনে ক্লিক করুন।
#ধাপ ১০) এরপর Schedule বাটনে ক্লিক করুন। নিজের এলাকার পিন অথবা জায়গার তথ্য দিয়ে ভাক্সিনের সেন্টার খুজুন।
#ধাপ ১১) এরপর আপনি একটি ক্যালেন্ডার দেখতে পাবেন, এখানে আপনার সুবিধা এবং পছন্দমত তারিখে ক্লিক করলেই আপনার সামনে অ্যাপোয়েন্টমেন্ট অপশন চলে আসবে।
#ধাপ ১২) এখন আপনি চলে এসেছেন “বুক অ্যাপোয়েন্টমেন্ট ফর ভেরিফিকেশন” পেজ টিতে। এবার আপনি যে এলাকায় ভ্যাকসিন নিতে চান সেই এলাকার পিন কোড দিতে হবে। যে অপশনটি আপনার পছন্দ সেই অপশনে ক্লিক করুন।
#ধাপ ১৩) কবে এবং দিনের কোন সময় আপনার সুবিধা হবে ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য, সেটাও কিন্তু আপনি বেছে নিতে পারবেন, সে সুবিধাটাও ওখানে আছে।
#ধাপ ১৪) সবশেষে ‘বুক’ অপশনে ক্লিক করুন।
#ধাপ ১৫) ক্লিক করার সঙ্গে সঙ্গে অ্যাপয়েন্টমেন্ট কনফার্মেশন পেজটি খুলে যাবে। চাইলে ব্যাক অপশন এ ক্লিক করে কোন তথ্য আপনি বদলাতেও পারবেন। কিছু বদল করার প্রয়োজন না হলে কনফার্ম বাটনে ক্লিক করুন।
একেবারে শেষে অ্যাপোয়েন্টমেন্ট সাকসেসফুল পেজটি খুলে যাবে।
এখানে সমস্ত তথ্য আপনি দেখতে পাবেন। চাইলে এই তথ্যগুলি কে আপনি সেভ করেও রাখতে পারেন। তাছাড়া ডাউনলোড অপশন থেকে ডাউনলোডও করে নিতে পারেন।
#ধাপ ১৬) পরবর্তীতে আপনি যদি অ্যাপয়েন্টমেন্ট বদলাতে চান, তার সুযোগও কিন্তু আপনি পাবেন। সে ক্ষেত্রে নতুন করে ওটিপি দিয়ে লগইন করে এডিট অপশনে যেতে হবে আপনাকে।
#ধাপ ১৭) আপনি ওই একই দিনে যদি অন্য কোন শহরে থাকেন, তাহলে সেখানকার পিনকোড দিয়েও টিকা নেওয়ার কেন্দ্র বদলাতে পারেন আপনি।
#ধাপ ১৮) টিকা নেওয়া হয়ে গেলে আপনি একটি রেফারেন্স আইডি পেয়ে যাবেন। যেটার মাধ্যমে ওই পোর্টালে গিয়ে আপনি আপনার ভ্যাক্সিনেশন সার্টিফিকেট ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
#ধাপ ১৯) তারপর দ্বিতীয় ভ্যাকসিন কবে নিতে পারবেন সেটাও কিন্তু দেখা যাবে।
যাদের ইতিমধ্যে ২টি ভ্যাক্সিনেশন হয়ে গেছে তারা তাদের সার্টিফিকেট ডাউনলোড করে নিতে পারেন। এখানে সর্বভারতীয় সার্টিফিকেটের সাথে সাথে আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেটও ডাউনলোড করতে পারেন।
কোথাও বেড়াতে গেলে অথবা সন সার্বজনিক জায়গায় এই সার্টিফিকেট খুব প্রয়োজনীয়। আধার কার্ড, ভোটার কার্ডের মতই এবার থেকে ভ্যাক্সিনেশন সার্টিফিকেট থাকা জরুরি।
একটি মোবাইল থেকে চারজনের ভ্যাকসিন রেজিস্ট্রেশন করা যাচ্ছে। তাছাড়া এই সমস্ত পদ্ধতি আপনি আরোগ্য সেতু অ্যাপ এর মাধ্যমেও step-by-step ফলো করেও রেজিস্ট্রেশন করতে পারেন।
করোনা টিকা নেওয়া কেন প্রয়োজন:
#১) করোনাতে আপনার অসুস্থ হয়ে পড়ার ঝুঁকি কমিয়ে দেয় অনেকটাই।
#২) তাছাড়া আপনি যদি করোনায় আক্রান্ত হয়ে থাকেন, আপনাকে খুব অসুস্থ হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করবে।
#৩) তার সাথে সাথে আপনার বন্ধুু, পরিবার এবং সম্প্রদায় কে রক্ষা করতে সাহায্য করবে।
যদি বেশিরভাগ মানুষ টিকা নিয়ে থাকেন, তাহলে অত সহজে এই ভাইরাস বেশি মাত্রায় ছড়াতে পারবে না। এই টিকাকরণ এমন অনেকের রক্ষা এবং সাহায্য করবে যারা টিকা নিতে পারবেন না।
তাহলে অনলাইনের মাধ্যমে খুব সহজ পদ্ধতিতে আপনার করোনা ভ্যাক্সিন রেজিস্ট্রেশন করিয়ে নিন নিজের কম্পিউটার অথবা স্মার্ট ফোনের সাহায্যে।
খুব ভালো।