Solar Charkha Mission Scheme 2022 – SCM (সোলার চরকা মিশন 2022), সোলার চরকা মিশন কি? এই যোজনার লাভ কি? সোলার চরকা মিশন যোজনা তে কিভাবে আবেদন করবেন? এবং এই যোজনার আরও তথ্য এখানে দেখুন।
Solar Charkha Mission Scheme (সোলার চরকা মিশন): মাইক্রো,ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগের মন্ত্রণালয় (এমএসএমই) জাতিসংঘের এমএসএমই দিবস উপলক্ষে ২৭ শে জুন ২০১৮ সালে সোলার চরকা মিশন চালু করেছে। সরকার সম্প্রতি এন্টারপ্রাইজ-চালিত এই মিশন সম্পর্কিত তথ্য প্রকাশ করেছে। অন্যান্য বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের মধ্যে, এই মিশনটি অন্যতম, যা দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উন্নয়নে গ্রহণ করা হয়েছে। এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৫০ কোটি টাকা।
মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ মন্ত্রণালয় (এমএসএমই) এর অধীনে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। এই মিশনের মাধ্যমে গ্রামীণ অঞ্চলে সোলার চরকা ক্লাস্টারের মাধ্যমে প্রায় এক লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। গ্রামে যেখানে মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ কম সেখানকার অশিক্ষিত,শিক্ষিত বা অল্প শিক্ষিত সবাই এই কাজের মাধ্যমে সাবলম্বী হতে পারবে।

এই মিশনের লক্ষ্য গ্রামীণ অঞ্চলে সোলার চরকা ক্লাস্টারের মাধ্যমে প্রায় এক লাখ লোকের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা যাতে তারা বেকারত্ব ও দারিদ্র্যর কবল থেকে মুক্তি পেতে পারে এবং দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বিকাশ ঘটে।
সুপ্রিয় পাঠক আমাদের আজকের আয়োজনে থাকছে সোলার চরকা মিশন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। চলুন দেরী না করে মূল আলোচনায় যাওয়া যাক। সোলার চরকা মিশন সম্পর্কে জেনে নিন:-
সোলার চরকা মিশন
দেশের মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বিকাশ, গ্রামীন অঞ্চলের বেকারত্ব ও দারিদ্র দূরীকরণ এবং সকল শ্রেণীর উদ্যমী মানুষদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ২৭ শে জুন,২০১৮ সালে মাইক্রো,ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পদ্যোগ মন্ত্রণালয়ের অধীনে সোলার চরকা প্রকল্পটি চালু করা হয়েছে।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ১ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৫০ কোটি টাকা। এই প্রকল্পের আওতায় ৫০ টি ক্লাস্টার স্থাপন করা হবে, প্রতিটি ক্লাস্টার গঠিত হবে ১০০০ সোলার চরকার সমন্বয়ে।
প্রতিটি ক্লাস্টার বরাদ্দ পাবে ৯.৬৩ কোটি টাকা। এখানে প্রতিটি ক্লাস্টারে ২০০-২০৬৪ জন কারিগর সরাসরি কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবেন। মূলত যুবক এবং নারীদের জন্য এটা সুবর্ন একটি সুযোগ।
সোলার চরকা মিশনের পটভূমি
২০১৬ সালে, মিশন সৌর চরখার একটি পাইলট প্রকল্প বিহারের নওয়াদা জেলার খানওয়া গ্রামে পরিচালিত হয়েছিল।
মিশন সোলার চরখা পাইলট প্রকল্পের সাফল্যের পরে, এটি আনুষ্ঠানিকভাবে জাতিসংঘের এমএসএমই দিবসে ২০১৮ সালের ২৭শে ডিসেম্বর চালু হয়েছিল।

এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ১ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে, যারা গ্রামে বসবাস করেন। আর সৌর চরখা প্রকল্পটির জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৫৫০ কোটি টাকা। এই প্রকল্পের আওতায় ৫০ টি ক্লাস্টার স্থাপন করা হবে, প্রতিটি ক্লাস্টার গঠিত হবে ১০০০ সোলার চরকার সমন্বয়ে। প্রতিটি ক্লাস্টার বরাদ্দ পাবে ৯.৬৩ কোটি টাকা।
সোলার চরকা ক্লাস্টার স্থাপন:
এটি আশেপাশের গ্রামগুলির পাশাপাশি একটি গ্রাম থাকবে যাকে কেন্দ্র করে সোলার চরকা ক্লাস্টার স্থাপিত হবে। (৮-১০)কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে।)
প্রতিটি ক্লাস্টারে ২০০-২০৪২ জন সুবিধাভোগী থাকবে। স্পিনার, তাঁতি, সেলাই কাজে দক্ষ কর্মী এবং অন্যান্য দক্ষ কারিগররা মিশন সোলার চরকার (এমএসসি) সুবিধাভোগী হবেন। প্রতিটি সুবিধাভোগী প্রতিটি ১০ টি স্পিন্ডেলের দুটি সোলার চরকা পাবেন। একটি ক্লাস্টারে ১০০০ সোলার চরকা থাকবে। ২০৪২ জন কারিগর একটি ক্লাস্টারে সরাসরি কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবেন যা পুরো সক্ষমতা নিয়ে কাজ করবে।
সরকার ২০১৮-২০২০ সালের মধ্যে ৫০ টি ক্লাস্টারের জন্য ৫৫০ কোটি টাকা ব্যয় নির্ধারণ করেছে। মহিলা ও যুবকদের কর্মসংস্থানের জন্য মূলত এই প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে। তবে এই প্রকল্পকে কেন্দ্র করে এক লক্ষ কারিগর সৌর চরখা প্রকল্পের আওতায় ৫০ টি ক্লাস্টারে সরাসরি কাজ করতে পারবেন। দেশীয় বস্ত্র ও তাঁত শিল্পের উন্নয়নে এটা আসলেই খুবই কার্যকর একটি মিশন।
শেষ কথা
গ্রামীণ উন্নতি ও বেকারত্ব হ্রাসে সোলার চরকা মিশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। দেশের বস্ত্রশিল্পে অবদান রাখতে পারে দেশের অবহেলিত ও বেকার যুবক ও নারীরা। প্রতিটি ক্লাস্টার গঠিত হবে ১০০০ সোলার চরকা নিয়ে, আর প্রতিটি ক্লাস্টারের জন্য প্রকল্প থেকে ৯.৬৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হবে।
গ্রামীণ অর্থনৈতিক উন্নয়নে এই প্রকল্প অনেক বড় ভূমিকা রাখবে। তাঁত ও বস্ত্র বুননের কারিগররা প্রকল্পের আওতাধীন ৫০টি ক্লাস্টারে কাজ করতে পারবেন। যা তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি করবে এবং আয়ের পথ সুগম করবে।
সেই সাথে ক্ষুদ্রশিল্প ও বস্ত্রশিল্পের উন্নয়ন ঘটবে। দেশের বেকার এবং পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে কাজের সুযোগ প্রদান এবং দেশীয় শিল্পের উন্নয়ন দুইটি বিষয়কে একইসাথে গুরুত্ব দিয়ে মিশনটির কাজ শুরু করা হয়েছে। মিশনটির অধীনে ৫০ টি ক্লাস্টার তৈরিতে ৫৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, এবং ১ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হতে যাচ্ছে। এটা দেশের গ্রামাঞ্চলের অনগ্রসরতার পরিমাণ হ্রাস করে গ্রামীণ উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।
দেশের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের উন্নয়ন ও গ্রামীন উন্নয়ন উভয় সুবিধাই এই প্রকল্পের মাধ্যমে পাওয়া সম্ভব হবে। আশা করি সোলার চরকা মিশন সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা সফল হয়েছে। সুপ্রিয় পাঠক, আমাদের লেখার উদ্দেশ্য থাকে ভারত সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প এবং তার অগ্রগতি সম্পর্কে আপনাদের জানানো, যাতে সেগুলো সম্পর্কে আপনারা অবগত হতে পারেন এবং সুবিধাসমূহ উপভোগ করতে পারেন।
আশা করি পোস্টটি ভাল লাগলে এ বিষয়ে মন্তব্য করে আমাদেরকে উৎসাহ প্রদান করবেন। আজকের মত এখানেই শেষ করছি। সোলার চরকা মিশন সম্পর্কে জানতে যে কেউ নিচের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন- (https://www.kviconline.gov.in/msc/)
ধন্যবাদ সবাইকে।
Home | Click here |
Official Website | Click here |