প্রধানমন্ত্রী ই-সঞ্জীবনী যোজনা 2024: রেজিস্ট্রেশান পদ্ধতি {নতুন}

PM eSanjeevani Scheme 2024 – eSanjeevani (প্রধানমন্ত্রী ই-সঞ্জীবনযোজনা 2024), প্রধানমন্ত্রী ই-সঞ্জীবনী যোজনা কি? এই যোজনার লাভ কি? প্রধানমন্ত্রী ই-সঞ্জীবনী যোজনা তে কিভাবে আবেদন করবেন? এবং এই যোজনার আরও তথ্য এখানে দেখুন।

প্রধানমন্ত্রী ই-সঞ্জীবনী যোজনা 2024 (PM eSanjeevani Scheme 2024) হল নাগরিকদের জন্য ভারত সরকার প্রদত্ত প্রথমবারের অনলাইন ওপিডি (বহিরাগত) পরামর্শ পরিষেবা সুবিধা। সরকারের মতে, প্রথমবারের মতো কোনও দেশের সরকার তার নাগরিকদের জন্য এ জাতীয় সেবা দিচ্ছে। এই প্রকল্পটি নভেম্বর ২০১৯ সালে শুরু হয়েছিল। এটি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় দ্বারা পরিচালিত হয়।

ন্যাশনাল টেলিকনসোল্টেশন সার্ভিস নামে পরিচিত, এটির লক্ষ্য রোগীদের বাড়ীতে স্বাস্থ্যসেবা পরিসেবা সরবরাহ করা। দেশের যেকোন স্থান থেকে রোগীরা যেন স্বাস্থ্যসেবা পেতে পারে সেজন্যই এই ই-সঞ্জীবনী সেবা চালু করা হয়েছে। দেশের সবস্থানেই প্রয়োজনের সময় ডাক্তার পাওয়া সম্ভব নয়, বিশেষ করে পাহাড়ী এলাকাগুলোতে।

eSanjeevani Scheme - কেন্দ্র সরকারের ই-সঞ্জীবনী যোজনা
প্রধানমন্ত্রী ই-সঞ্জীবনী যোজনা 2024: রেজিস্ট্রেশান পদ্ধতি {নতুন}

সুপ্রিয় পাঠক, আমাদের আজকের আয়োজন সাজানো হয়েছে ই-সঞ্জীবনী সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নিয়ে। আশা করি দেশের এই দূর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের সবার উপকারে আসবে। চলুন আর দেরী না করে মূল আলোচনা শুরু করা যাক। ই-সঞ্জীবনী সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন:-

পোস্ট অফিস রেকারিং ডিপোজিট স্কিম পাবেন ১৬ লক্ষ টাকা

ই-সঞ্জীবনী কি?

ই-সঞ্জীবনী প্রকল্পের (eSanjeevani Scheme) মাধ্যমে অনলাইন মোডের মাধ্যমে ডাক্তার এবং একজন রোগীর মধ্যে একটি সুনিয়ন্ত্রিত এবং সুরক্ষিত টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা নেওয়া যাবে, এবং এই কাজটি করা হছে (ই-সঞ্জীবনী ওপিডি) প্রকল্পের মাধ্যমে।

ই-সঞ্জীবনী ওপিডি পোর্টাল এবং সিস্টেমটি মোহালির সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট অফ অ্যাডভান্সড কম্পিউটিং (সি-ড্যাক) দ্বারা তৈরি করা হয়েছে। সেবার জন্য চিকিৎসকদের প্যানেলটি রাজ্য সরকার কতৃক নিয়ন্ত্রণ করা হয়। ঝাড়খণ্ড, কেরল, পাঞ্জাব এবং তামিলনাড়ু প্রভৃতি কয়েকটি রাজ্য বিশেষায়িত চিকিৎসকের পরামর্শ পরিসেবাও দেওয়া শুরু করেছে। মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনটিতেও এই পরিসেবাটি পাওয়া যায়। ই-সঞ্জীবনী এবং ই-সঞ্জীবনী ওপিডির মধ্যে কিছু পার্থক্য বিদ্যমান।

ই-সঞ্জীবনী-এটি একজন ডাক্তার থেকে ডাক্তারের মাধ্যমে টেলিমেডিসিন সিস্টেম যা আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের আওতায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে সেবা প্রদানের জন্য জাতীয়ভাবে এ প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে।

এটি গ্রামীণ এবং শহর উভয় অঞ্চলে এবং বিচ্ছিন্ন সম্প্রদায়ের জনগণের মধ্যে বিশেষায়িত স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। এটি স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের ক্ষেত্রে নগর ও পল্লী, ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে বিদ্যমান বিভাজনকে কমিয়ে দিয়ে স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের অসম বন্টন, তাদের আচরণগত প্রভেদ এবং অবকাঠামোগত সমস্যাগুলির সমাধান করে।

প্রধানমন্ত্রী কুসুম যোজনা ফ্রী সৌর পাম্প দিচ্ছে সরকার

ই-সঞ্জীবনী সুবিধা

ই-সঞ্জীবনী ২০১৯ সালে চালু হয়েছে। সর্বপ্রথম যে রাজ্যে এই পরিসেবাটি চালু করা হয় সেই রাজ্যটি ছিল অন্ধ্র প্রদেশ।

ই-সঞ্জীবনী ওপিডি হচ্ছে- এটি ই-সঞ্জীবনী মডেলের উপর ভিত্তি করে এবং দেশের নাগরিকদেরকে বাড়িতে বসে ওপিডি পরামর্শ ও পরিসেবা সরবরাহ নিশ্চিত করে। এটি ২০২০ সালের এপ্রিলে কোভিড মহামারী চলাকালীন চালু করা হয়েছে।

এখানে, রোগীদের ডাক্তারের পরামর্শসহ টেলিকনসোল্টেশন রোগীদের বিনামূল্যে সব ধরনের চিকিৎসা পরামর্শ দেওয়া হয়।ভারত চিকিৎসাক্ষেত্রে অনেকটাই অনগ্রসর কারণ আমাদের দেশে ডাক্তারের সংখ্যা খুবই কম। প্রয়োজনের তুলনায় এখানে ডাক্তার পাওয়া যায় না। প্রতি ১৪৪৫ জনের জন্য মাত্র একজন ডাক্তার। তাও প্রত্যন্ত বা গ্রমাঞ্চল এবং পাহাড়ী অঞ্চলগুলোতে পাওয়া যায়না। তাদের জন্য ই-সঞ্জীবনী অত্যন্ত সহায়ক হবে।

ই-সঞ্জীবনী ওপিডির বৈশিষ্ট্যগুলি:

ই-সঞ্জীবনী ওপিডি ২০২০ সালে চালু করা হয়েছে। রোগীর নিবন্ধকরণ টোকেন, টোকেন প্রাপ্তির জন্য সিরিয়াল মেনে চলা, এই সংক্রান্ত যাবতীয় পরিচালনা,

একজন ডাক্তার কতৃক ই-প্রেসক্রিপশন এসএমএস / ইমেল এর মাধ্যমে অডিও-ভিডিও পরামর্শ,

রাজ্যের ডাক্তারদের ফ্রি সার্ভিস, তাদের পরামর্শের মাধ্যমে পরিপূর্ণভাবে রোগীর স্বাস্থ্য সমস্যা সংক্রান্ত পরামর্শ প্রদান নিশ্চিত করা এবং কনফিগারযোগ্য (প্রতিদিনের স্লটগুলির সংখ্যা, চিকিৎসক / ক্লিনিকের সংখ্যা, ওয়েটিং রুমের স্লট, পরামর্শের সময়সীমা ইত্যাদি)।

eSanjeevani Scheme Government of India
eSanjeevani Scheme 2024 Government of India

সবকিছু ই-সঞ্জীবনী ওপিডির মাধ্যমে পরিচালনা করা হয়। ই-সঞ্জীবনী সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে যে কেউ নিচের লিংকটি ভিজিট করতে পারেন।( https://esanjeevaniopd.in/)

ই-সঞ্জীবনীর টেলিমেডিসিন পরিসেবার তাৎপর্য

আমাদের মতো দেশে টেলিমেডিসিন পরিসেবা অপরিহার্য কারণ যেখানে ডাব্লুএইচওর অর্থাৎ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দ্বারা নির্ধারিত পরিসংখ্যানের তুলনায় ডাক্তার থেকে রোগীর অনুপাত অনেক কম। ভারতে, প্রতি ১৪৪৫ জন ভারতীয়ের জন্য একজন ডাক্তার রয়েছেন (ডাব্লুএইচওর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রস্তাবিত অনুপাত ১:১০০০)।

দেশের গ্রামীণ ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে চিকিৎসা সেবার অবস্থা খুবই খারাপ। এখানে কোন সেবাই সহজলভ্য নয়। দেশের ১৪৪৫ জন মানুষের জন্য একজন ডাক্তার রয়েছে৷ কিন্তু পাহাড়ী অঞ্চলগুলোতে সেটাও পাওয়া সম্ভব হয়না।

এরকম পরিস্থিতিতে গ্রামীণ ও পশ্চাৎপদ / পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসকারী লোকদের জন্য স্বাস্থ্য পরামর্শ পরিসেবা প্রদান করবে এমন ব্যবস্থা থাকা জরুরী। এখানেই ই-সঞ্জীবনী ওপিডি সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। দেশের সবখানেই এখন ইন্টারনেট সুবিধা বর্তমান। তাই অ্যাপ থাকলেই দেশের যেকোন স্থান থেকেই অভিজ্ঞ ডাক্তারের চিকিৎসা সেবা নেওয়া সম্ভব।

ই-সঞ্জীবনীর প্রয়োজনীয়তা

দেশে চলছে ভয়াবহ মহামারীর ভয়াল প্রকোপ। দেশের মানুষ মৃত্যুঝুঁকিতে দিশেহারা অবস্থায় দিনাতিপাত করছে। এমতাবস্থায় দেশের চিকিৎসা পরিসেবা সবাইকে বন্টন করাও সম্ভব হচ্ছেনা। কিন্তু তাহলে কি দেশের যেকোন প্রান্ত থেকে রোগীরা জরুরী ভিত্তিতে চিকিৎসাসেবা বা পরামর্শ পাবে না? অবশ্যই পাবে।

মহামারীর সংক্রমণ ঠেকাতে হাসপাতাল বা ক্লিনিকে সরাসরি হাজির না হয়েও চিকিৎসা সেবা নেওয়া সম্ভব। আর এজন্যই গত বছর করোনার সংক্রমণের সময় থেকে ই-সঞ্জীবনী প্রকল্প চালু করা হয়েছে। যাতে দেশের জনগণ তাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি এড়াতে দেশের যেকোন স্থান থেকে বাড়িতে অবস্থান করেই চিকিৎসা সেবা ও পরামর্শ গ্রহণ করতে পারেন।

ভারতই বিশ্বের একমাত্র দেশ যে দেশ নাগরিকদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে এরকম উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। চিকিৎসাক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করতে এবং মহামারীতে অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিশ্চিত করতেই এই উদ্যোগ যা নিতে কোন অর্থেরও প্রয়োজন নেই।

শেষ কথা

ই-সঞ্জীবনী (eSanjeevani Scheme) অত্যন্ত সহায়ক একটি টেলিমেডিসিন সেবা। ২০১৯ সালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় কতৃক এই টেলিমেডিসিন সেবাটি চালু করা হয়। যা রাজ্য সরকার কতৃক প্রতিটি রাজ্যে পরিচালিত হচ্ছে। বর্তমান অবস্থায় হাসপাতাল বা ক্লিনিক কোন স্থানে গিয়েই স্বাভাবিক সেবা নেওয়া ঝুঁকিপূর্ণ।

তাই যেকোন ছোট বা মাঝারি স্বাস্থ্য সমস্যায় ই-সঞ্জীবনী অ্যাপ ব্যবহার করেই অডিও বা ভিডিও কল, ইমেইল এর মাধ্যমেই স্বাস্থ্যসেবা নিতে পারেন। একই ভাবে ইমেইল এর মাধ্যমে ই-প্রেসক্রিপশন পাওয়াও সম্ভব। এভাবেই দেশ প্রযুক্তির মাধ্যমে এগিয়ে যাবে। যেখানে সহজেই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হবে।

সুপ্রিয় পাঠক, আমাদের লেখার উদ্দেশ্য থাকে ভারত সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প এবং তার অগ্রগতি সম্পর্কে আপনাদের জানানো, যাতে সেগুলো সম্পর্কে আপনারা অবগত হতে পারেন এবং সুবিধাসমূহ উপভোগ করতে পারেন। আশা করি পোস্টটি ভাল লাগলে এ বিষয়ে মন্তব্য করে আমাদেরকে উৎসাহ প্রদান করবেন। আজকের মত এখানেই শেষ করছি।

ধন্যবাদ সবাইকে।

HomeClick here
Official WebsiteClick here

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top