প্রধানমন্ত্রী জলশক্তি যোজনা 2024: কারা পাবে লাভ? আবেদন

Jal Shakti Abhiyan Yojana 2024 (প্রধানমন্ত্রী জলশক্তি যোজনা 2024), প্রধানমন্ত্রী জলশক্তি অভিযান যোজনা কি? এই যোজনার লাভ কি? প্রধানমন্ত্রী জলশক্তি যোজনা তে কিভাবে আবেদন করবেন? এবং এই যোজনার আরও তথ্য এখানে দেখুন।

জলশক্তি মন্ত্রনালয়টি ভারত সরকারের অধীনে ২০১৯ সালের মে মাসে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। জল সম্পদ, নদী উন্নয়ন ও গঙ্গা পুনঃসংশন মন্ত্রণালয়, পাশাপাশি পানীয় জল ও স্যানিটেশন মন্ত্রনালয় দুটি মন্ত্রণালয়কে একত্রে একত্রিত করে জলশক্তি মন্ত্রণালয় গঠন করা হয়েছে।

এই মন্ত্রকের হাইলাইটগুলি নীচে ছকে আলোচনা করা হয়েছে: ২০১৯ সালের মে মাসে জলশক্তি মন্ত্রণালয় গঠিত হয়, আর গঠন করেন ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের দুইজন সম্মানিত মন্ত্রী, গজেন্দ্র সিং সাখাওয়াত এবং রতল লাল কাটেরিয়া।

Jal Shakti Abhiyan Yojana - (জলশক্তি অভিযান যোজনা
প্রধানমন্ত্রী জলশক্তি যোজনা 2024: কারা পাবে লাভ? আবেদন পদ্ধতি

জলশক্তি অভিযানের মূল লক্ষ্য হচ্ছে দেশের জাতীয় নদীসহ বড় বড় নদীর জল পরিচ্ছন্ন রাখা, দূষন রোধ করা। দেশের জলের সরবরাহ, জলের অপচয় রোধ, জল সংরক্ষন, জলের দূষন রোধে সচেতনতা সৃষ্টি ইত্যাদি।

সুপ্রিয় পাঠক আমাদের আজকের আয়োজনে থাকছে জলশক্তি অভিযান সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। চলুন দেরী না করে আলোচনা শুরু করা যাক। জল অভিযান সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন:-

প্রধানমন্ত্রী মাইক্রো ফুড প্রসেসিং যোজনা সুবিধা ও লাভ

জলশক্তি মন্ত্রনালয়ের উদ্দেশ্য

জলশক্তি মন্ত্রনালয় আন্তর্জাতিক ও আন্তঃদেশীয় জলের বিরোধ, গঙ্গা, তার শাখা-প্রশাখা এবং -উপনদীগুলি পরিষ্কার রাখা এবং পরিষ্কার পানীয় জল সরবরাহ করার লক্ষ্যে এই মন্ত্রণালয় গঠন করে। বিগত কয়েক দশক ধরে ভারত যে পরিমাণ পানীয় জলের সংকট মোকাবেলা করেছে তা থেকে উত্তরণের জন্যই মূলত এই মন্ত্রনালয়টি গঠন করা হয়েছে।

জল দূষণ এবং পানীয় জলের সংকট দূর করা একটি বিরাট চ্যালেঞ্জ। যা মোকাবেলার জন্য জল অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে, আর অভিযানটি পরিচালনা করা হচ্ছে জলশক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে।

জাতীয় জল মিশন

বৈশ্বিক উষ্ণায়নের হুমকি মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জাতীয় জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত ন্যাশনাল অ্যাকশন প্ল্যান (এনএপিসিসি) এর আওতায় জাতীয় জল মিশন চালু করেছিলেন। জাতীয় জল মিশন জল সংরক্ষণ এবং জলের অপচয় কমাতে জোর দেয়।

এটি জল সম্পদের সঠিক বন্টন ও পরিচালনার মাধ্যমে দেশ জুড়ে এবং রাজ্যগুলির মধ্যে জলের ন্যায়সঙ্গত বন্টন নিশ্চিত করে। সব রাজ্যে জলের প্রয়োজন সমান নয়, কোন কোন স্থানে জলের তীব্র সংকট রয়েছে যা নিরসনে জলের সংরক্ষণ থেকে জলের সুষম বন্টন প্রয়োজন হয় যাতে সব রাজ্য তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী জল পায়।

এছাড়া নদীর জলের দূষন রোধ করাও একটি বিরাট চ্যালেঞ্জ, কারণ নদীর জল পরিষ্কার থাকলে সেখান থেকে জল প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে শুদ্ধ করে ব্যবহার করা সম্ভব হবে।

জাতীয় পুষ্টি অভিযান যোজনা আবেদন সুবিধা ও লাভ {নতুন}

জাতীয় জল মিশনের প্রধান লক্ষ্যগুলি নিম্নরূপঃ

জল সম্পদের উপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব হ্রাস, এই বিষয়ে ব্যাপক অধ্যয়ন এবং পাবলিক ডোমেনে জলের ডেটাবেজ সরবরাহ করা। জল সংরক্ষণ, বৃদ্ধি এবং সংরক্ষণের জন্য নাগরিক এবং রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপের যথাযথ প্রচার করা কারণ, কখনোই শুধু রাষ্ট্র বা শুধু জনগণের একার পক্ষে জলের সঠিক ব্যবহার, সংরক্ষণ, দূষণ রোধ করা সম্ভব নয়।

এ বিষয়ে উভয়পক্ষকে একজোট হয়ে কাজ করতে হবে। তাহলেই জলের সঠিক বন্টন সম্ভব হবে। অতিরিক্ত খরাপ্রবণ অঞ্চলগুলি সহ ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে মনোনিবেশ করা এবং জলের ব্যবহারের দক্ষতা ২০% বৃদ্ধি করা এই মিশনের মূল লক্ষ্য।

জল শক্তি অভিযান কী?

ভারতীয় জনতা পার্টির প্রতিশ্রুতি অনুসারে ভারতে জল সংকটজনিত সমস্যাগুলি হ্রাস করতে ২০১২ সালের মে মাসে জলশক্তি মন্ত্রণালয় গঠন করা হয়েছিল। জল শক্তি মন্ত্রনালয়ের ঘোষণার পরপরই, শ্রী গজেন্দ্র সিং সাখাওয়াত ১লা জুলাই ২০১৯-এ জলশক্তি অভিযান শুরুর ঘোষণা করেছিলেন। এটি ছিল জল সংরক্ষণ এবং জল সুরক্ষার জন্য একটি প্রচার যা ১লা জুলাই ২০১৯ থেকে ১৫ ই সেপ্টেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত অব্যাহত ছিল।

প্রচারাভিযানটি মূলত যেসব জেলায় জলের সংকট সেসব জেলাগুলির উপর বিশেষ জোর দিয়েছে। পানীয় জল ও স্যানিটেশন বিভাগের (ডিডিডব্লিউএস) সচিব শ্রী পরমেশ্বরণ আয়ারের মতে জলশক্তি অভিবাসন ডিডিডাব্লুএস কর্তৃক সমন্বিত ভারত সরকার এবং রাজ্য সরকারসমূহের অধীনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের একটি সহযোগী প্রচারণা।

জলশক্তি অভিযানটি মূলত ২৫৬টি জেলার ১৫৯২ টি জলাবদ্ধ ব্লকগুলিতে জলের সংরক্ষণের উপর জোর দেয়। এটি বিভিন্ন উপায়ে জলের সংরক্ষণ নিশ্চিত করে।

বৃষ্টির জল সংরক্ষণের মাধ্যমে ফসল চাষ

আমাদের দেশে গ্রামাঞ্চলে এখনো আগের চাষ-পদ্ধতি পুরানো ঐতিহ্যবাহী এবং অন্যান্য জলাশয় /জলের ট্যাঙ্কগুলির সংস্কার করা যাতে বৃষ্টিপাতের জল সংরক্ষণ করে রাখা যায়। জলের সংরক্ষণ, সারা বছরের জন্য পানীয় জল সংরক্ষণ, বৃষ্টিপাতের জন্য বনায়ন এবং বেশী বেশী গাছ লাগানো সবকিছুই রয়েছে জলশক্তি অভিযানের আওতায়।

জলবিদ্যুৎ অভিযান ব্লক ও জেলাগুলির জন্য বিভিন্ন জল সংরক্ষণ পরিকল্পনা গড়ে তোলার জন্য, কৃষিক্ষেত্র কেন্দ্রের মাধ্যমে সেচের জন্য দক্ষ জলের ব্যবহার এবং আরও ভাল ফসলের জন্য অপচয় না করে সংরক্ষণ করে রাখা বৃষ্টির জলের যথাযথ ব্যবহার দেশের বনায়ন ও ফসল উৎপাদনকে উৎসাহিত করে।

শেষ কথা

জলের অপর নাম জীবন, অথচ জল ব্যবহারে আমাদের উদাসীনতার সীমা নেই। হোক সেটা নদীর জল বা বাসার সাপ্লাইয়ের জল। যখন জলের সরবরাহ ঠিক থাকে তখন আমরা তা অপচয় করি, আর তখন দেখা দেয় জলের সংকট! এই সংকট দূর করতে শুধু সরকার কাজ করলেই চলবে না, আমাদেরও জলের অপচয় রোধ এবং জলের সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে জানতে হবে।

এটাই জলশক্তি অভিযানের মূল উদ্দেশ্য, জলের অপচয় ২০% রোধ করা এবং সকল রাজ্যে জলের সঠিক বন্টন নিশ্চিত করা। জলশক্তি অভিযান নিরলস কাজ করে যাচ্ছে জলের সঠিক সংরক্ষন ও জলের দূষণ রোধ করতে।

আমরা যখন নদী বা জলাশয়ের জল ব্যবহার করি তখন যদি সেখানে বর্জ্য না ফেলি তাহলে সেখানকার জল পরবর্তীতে ব্যবহারের উপযোগী থাকে। দেশের জাতীয় নদীসহ অন্যান্য নদীর জল যদি দূষিত না হয় তাহলে এসব নদী থেকে জল প্রসেস করে ব্যবহারের উপযোগী করা সম্ভব। আশা করি জলশক্তি অভিযান সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা সফল হয়েছে।

সুপ্রিয় পাঠক, আমাদের লেখার উদ্দেশ্য থাকে ভারত সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প এবং তার অগ্রগতি সম্পর্কে আপনাদের জানানো, যাতে সেগুলো সম্পর্কে আপনারা অবগত হতে পারেন এবং সুবিধাসমূহ উপভোগ করতে পারেন। আশা করি পোস্টটি ভাল লাগলে এ বিষয়ে মন্তব্য করে আমাদেরকে উৎসাহ প্রদান করবেন। আজকের মত এখানেই শেষ করছি।

ধন্যবাদ সবাইকে।

HomeClick here
Official WebsiteClick here

1 thought on “প্রধানমন্ত্রী জলশক্তি যোজনা 2024: কারা পাবে লাভ? আবেদন”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top