চলুন জেনে নেওয়া যাক এই বছর Paramparik Scholarship পাওয়ার জন্য যোগ্যতা এবং আবেদন পক্রিয়া কি? কিভাবে করবেন? সব কিছু বিস্তারিত সহজ ভাষাতে।
Paramparik Scholarship সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর দরিদ্র ও মেধাবী ছাত্রছাত্রীকে শিক্ষা লাভে সহায়তা করার জন্য আর্থিক সহায়তা দিয়ে থাকে।
ছাত্রছাত্রীরা উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেনীতে পাস করার পর এই Scholarship এর জন্য আবেদন করতে পারে, যাতে করে তার উচ্চ শিক্ষার পর সুগম হয়।
শুধুমাত্র ইঞ্জিনিয়ারিং, ডাক্তারী, নার্সিং, গ্র্যাজুয়েশান বা মাস্টার্স কোর্সের জন্য এই Scholarship দেয়া হয়। এই Scholarship দরিদ্র ও মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের তাদের লেখাপড়াকালীন সময় আর্থিক সহায়তা দিয়ে থাকে।
এই স্কলারশীপ শুধুমাত্র ১২ শ্রেনী পাস করার পর দেয়া হয়ে থাকে। আবেদনের জন্য যোগ্য ছাত্রছাত্রীরা অনলাইনে তাদের স্কলারশীপের জন্য আবেদন করতে পারে।
এটি একটি বেসরকারী সংস্থার অনুদান। এই Scholarship গ্রহনকারী ছাত্রছাত্রী অন্য সরকারী বৃত্তির জন্যও আবেদন করতে পারে।
Paramparik Scholarship এর বিস্তারিত
বিষয় | বিবরণ |
---|---|
স্কলারশীপের নামঃ | Paramparik Scholarship |
পরিচালনায়ঃ | Paramparik Organization |
প্রযোজ্যঃ | উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করা ছাত্রছাত্রী |
আবেদনের শেষ তারিখঃ | উল্লেখ করা নেই |
অনলাইন ঠিকানাঃ | paramparik.org |
Email: | [email protected] |
Paramparik Scholarship এর যোগ্যতাঃ
এই Scholarship এর আবেদনকারীকে নিম্নবর্ণিত যোগ্যতা থাকতে হবে।
১) আবেদনকারীকে উচ্চ মাধ্যমিকে পাস করতে হবে।
২) আবেদনকারীকে উচ্চ মাধ্যমিকে শতকারা ৮০% নাম্বার পেয়ে পাস করতে হবে।
৩) আবেদনকারীর পরিবারের বার্ষিক আয় ৫ লক্ষ টাকার বেশি হতে পারবে না।
৪) আবেদনকারীকে অবশ্যই ইঞ্জিনিয়ারিং, ডাক্তার, নার্সিং, গ্র্যাজুয়েশন বা মাস্টার্স কোর্সে ভর্তি থাকতে হবে। (ডিপ্লোমা কোর্সের ছাত্রছাত্রীরা আবেদন যোগ্য নয়।)
Paramparik Scholarship এ আবেদনের প্রক্রিয়া সমুহঃ
১) Paramparik Scholarship এর আবেদনের জন্য শুধুমাত্র ইমেইলে আবেদন করা যায়।
২) আবেদনকারী নিজের বিভিন্ন তথ্য দিয়ে এই Scholarship এর অন্য আবেদন করতে হবে।
- নাম
- অভিভাবকের নাম
- ঠিকানা
- যোগাযোগের নাম্বার
- বর্তমান শিক্ষা কোর্সের নাম ও বিস্তারিত।
- বর্তমান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম
- উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার শতকরা প্রাপ্ত নাম্বার।
- কাস্ট সনদপত্র (যদি থাকে)
- পারিবারিক বার্ষিক আয়
আবেদনে কি কি কাগজপত্র জমা দিতে হয়?
প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র স্ক্যান করে para[email protected] এই ইমেইল এড্রেসে পাঠিয়ে দিতে হবে।
- উচ্চ মাধ্যমিক পাশের রেজাল্ট
- মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রবেশপত্র
- ভর্তির রিসিপ্ট
- পরিচয়পত্র (ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, রেশন কার্ড ইত্যাদি)
- ঠিকানার প্রমাণ (বিদ্যুৎ বিলের কপি, টেলিফোন বিলের কপি)
- ব্যাংকের পাসবই
- কলেজের ফি এর রশিদ
- পারিবারিক বার্ষিক আয়ের প্রমাণপত্র
- সদ্যতোলা ৩ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি
এই Scholarship চয়নের প্রক্রিয়াঃ
আসুন দেখে নিই কিভাবে Paramparik Scholarship এর বাছাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে থাকে।
১) ছাত্রছাত্রীরা তাদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সনদপত্র ও পারিবারিক আর্থিক অবস্থার তথ্য জানিয়ে আবেদন করে।
২) আবেদনপত্র হতে এই Scholarship এর কর্মকর্তাগন বাছাই করে থাকে।
৩) বাছাইকৃত আবেদনকারীকে কলকাতায় ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকা হয়।
৪) ইন্টারভিউ সম্পন্ন হয়।
৫) ইন্টারভিউয়ের সময় আবেদনকারীকে তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী সকল মূল কাগজপত্র দেখাতে হবে।
৬) নির্বাচিত ছাত্রছাত্রীদের মাঝে স্কলারশীপের টাকা প্রদান করা হয়।
Paramparik Scholarship এর পরিমানঃ
এই Scholarship এর পরিমান আবেদনকারীর আর্থিক ও পড়াশুনায় প্রাপ্ত নাম্বারের উপর নির্ভর করে থাকে।
সাধারনত এই Scholarship প্রাপ্ত ছাত্রছাত্রীদের বর্তমান শিক্ষাবর্ষের বই কেনার ব্যবস্থাও করে দিয়ে থাকে।
আজ আমরা Paramparik Scholarship এর বিস্তারিত জানতে পারলাম। এই স্কলারশীপের ফলে সমাজের পিছিয়ে পড়া অনেক দরিদ্র ও মেধাবী ছাত্রছাত্রী তাদের শিক্ষা জীবন চালিয়ে যেতে পারে এবং উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হবার সু্যোগ পায়।
পরবরতীতে আপনাদের জন্য আরো বিস্তারিত তথ্য নিয়ে আলোচনা করবো । আপনাদের কোন বিষয়ে প্রশ্ন থাকলে আমাদের কমেন্ট করে জানান। আমরা আপনার প্রশ্নের জবাব দেয়ার চেষ্টা করবো। আরো অনেক স্কলারশীপ নিয়ে জানতে চোখ রাখুন আমাদের সাইটে।