সময়ের সাথী প্রকল্প কি? এই যোজনায় কারা কারা সুবিধা পাবে? কিভাবে আবেদন ও রেজিস্ট্রেশান করতে হয়? জানুন সবকিছু। West Bengal Somoyer Sathi Scheme in Bangla
প্রকল্পের নাম : সময়ের সাথী প্রকল্প
নোডাল দপ্তরের নাম : উপভোক্তা বিষয়ক দপ্তর
সময়ের সাথী প্রকল্পের উদ্দেশ্য :
₹ হোম লোন • ₹ পার্সোনাল লোন • ₹ বাইক লোন • ₹ কার লোন • ₹ বিজনেস লোন • ₹ শিক্ষা লোন
রাজ্যের নাগরিকরা যাতে কোনও সরকারি পরিষেবা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পায়, সে ব্যাপারে সক্রিয় রাজ্য সরকার। শুধু তাই নয়, সরকারি কর্মীরা যাতে কাজের গতি বাড়িয়ে মানুষকে নির্দিষ্ট সময়ে পরিষেবা দিতে পারেন, সে ব্যাপারেও তাঁদের নিয়মের বাঁধনে বাঁধা হল ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল রাইট টু পাবলিক সার্ভিস অ্যাক্ট, ২০১৩’ প্রণয়নের মাধ্যমে। এ
ই আইন যাতে সুষ্ঠুভাবে রূপায়িত হয় তা নিশ্চিত করতে গঠিত হয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল রাইট টু পাবলিক সার্ভিস কমিশন। এর ফলে এ রাজ্যে সময়ের কাজ সময়ে পাওয়ার অধিকার অনেকটাই প্রতিষ্ঠিত হল। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল, পশ্চিমবঙ্গ জনপরিষেবা অধিকার আইন, ২০১৩–র আওতায় যখনই কেউ আবেদন করবেন, তাঁকে ফর্ম–১–এ প্রাপ্তি স্বীকারপত্র প্রদান করতে হবে।
পরিষেবা প্রার্থীকে দেখে নিতে হবে, প্রাপ্তি স্বীকার পত্রে পরিষেবা প্রাপ্তির তারিখের উল্লেখ আছে কিনা। মাথায় রাখতে হবে, এই তারিখ দেওয়া হয়, সমস্ত সরকারি ছুটির দিন বাদ দিয়ে।
কী কী পরিেষবা এই আইনের আওতায় নির্দিষ্ট সময়ে পাওয়া যাবে :
নতুন রেশন কার্ড, রেশন কার্ডে নাম বা ঠিকানা পরিবর্তন বা নতুন সংযোজনের ক্ষেত্রে ব্লক স্তরে ইন্সপেক্টর, সাব ইন্সপেক্টর বা রেশনিং অফিসারের কাছে আবেদন করতে হবে। এই আইন অনুসারে আবেদন করার ৩০ দিনের মধ্যে তিনি নতুন বা পরিবর্তিত কার্ড পাবেন।
ডুপ্লিকেট মার্কশিট, শংসাপত্র বা অ্যাডমিট কার্ডপেতে গেলে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ডেপুটি সেক্রেটারির কাছে আবেদন রাখতে হবে এবং ১৫ দিনের মধ্যে তিনি এটি পেয়ে যাবেন। তপশিলি জাতি ও আদিবাসী সংক্রান্ত শংসাপত্র পেতে জেলাস্তরে মহকুমা শাসক বা ডিস্ট্রিক্ট ওয়েলফেয়ার অফিসারের কাছে আবেদন করতে হবে। কলকাতার ক্ষেত্রে অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দপ্তরের ডেপুটি বা যুগ্ম ডিরেক্টরের কাছে আবেদন করতে হবে। সময় লাগবে ৪ সপ্তাহ।
পুরসভা এলাকায় জলের সংযোগ পেতে সংশ্লিষ্ট পুরসভার এক্সিকিউটিভ অফিসারকে আবেদন করতে হবে এবং ১০ দিনের মধ্যে তা মিলবে। দমকল বিষয়ে ছাড়পত্র পেতে সময় লাগবে ৬০ দিন এবং দপ্তরের কালেক্টর, ফায়ার লাইসেন্স–এর কাছে আবেদন করতে হবে।
গাড়ির রেজিস্ট্রেশনের জন্য নির্দিষ্ট সময় ৫ দিন। আবার ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে সমস্ত ধরনের টেস্ট ও বায়োমেট্রিক পরীক্ষায় পাশের পর ৭দিন সময় লাগবে। প্রতি ক্ষেত্রেই মোটর ভেহিকেলস বিভাগের এআরটিও (ARTO)–র কাছে আবেদন করতে হবে।
কারা আবেদনের যোগ্য :
প্রজ্ঞাপিত পরিষেবা পাওয়ার যোগ্য যে কোনও নাগরিক।
কোথায় আবেদন করবেন :
এই আইনের আওতায় প্রজ্ঞাপিত কোনও নির্দিষ্ট পরিেষবা পাওয়ার জন্য ডেজিগনেটেড অফিসারের কাছে আবেদন করতে হবে। এই আইনের আওতায় নির্দিষ্ট সময়ে পরিষেবা না পেলে ফর্ম–২–তে অ্যাপিলেট অফিসারের কাছে আবেদন করুন। প্রতি জেলায় কনজিউমার অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড ফেয়ার বিজনেস প্রাক্টিসেস দপ্তরের আঞ্চলিক অফিসে সরাসরি যোগাযোগ করুন।
এছাড়া বারাকপুর, সল্টলেক, দুর্গাপুর এবং শিলিগুড়ির মহকুমা অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন। কলকাতার মির্জা গালিব স্ট্রিটের ক্রেতা সুরক্ষা ভবনের পঞ্চম তলে জনপরিষেবা অধিকার আইনের অফিসে যোগাযোগ করা যাবে। যে কোনও ধরনের তথ্যের জন্যই সরাসরি টোল ফ্রি নম্বর – ১৮০০-৩৪৫-২৮০৮-এ ফোন করুন। এছাড়া www.wbconsumers.gov.in –এও যোগাযোগ করা যাবে।
আমাদের এই তথ্য আপনাদের সাহায্য করবে, যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই সকলের থাকে শেয়ার করবেন। আর এই ধরণের আরো তথ্যের জন্য নজর রাখবেন আমাদের ওয়েবসাইটে।