WB Chokher Alo Scheme 2024: Online Apply and Benefits

West Bengal Chokher Alo Scheme 2024: চোখের আলো প্রকল্প কি? চোখের আলো প্রকল্পের আবেদন পদ্ধতি কি? কি কি কাগজ লাগবে? চোখের আলো প্রকল্পের লাভ কি? জানুন সবকিছু Chokher Alo Scheme Registration 2024.

আমরা সবাই জানি, আমাদের চোখ কতটা গুরুত্বপূর্ণ। চোখ যদি না থাকতো তাহলে পৃথিবী যে কত সুন্দর, সেটা হয়তো কোন ভাবেই ধারনা করা যেত না। আর তাই চোখ দুটো ভালো রাখার জন্য এবং চোখে দৃষ্টিশক্তি থাকার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নতুন প্রকল্প চালু করেছেন।

WB Chokher Alo Scheme: Online Apply and Benefits
WB Chokher Alo Scheme 2024: Online Apply and Benefits

বাচ্চা থেকে বড়, চোখের সমস্যায় অনেকেই ভুগে থাকেন আর তাই এই প্রকল্প তাদের জীবনে আশার আলো হয়ে আসবে আশা করা যায়। এমন অনেক বাচ্চাও আছে যারা চোখে দেখতে পায় না, অথবা চোখের জ্যোতি অনেকটাই কম।

এমন সমস্যা বয়স্ক মানুষদের ক্ষেত্রেও দেখা যায় এবং সেক্ষেত্রে কিন্তু চোখে ছানি পড়া অথবা চোখে একেবারে না দেখতে পাওয়ার মতো সমস্যায় তারা প্রায়ই ভুগে থাকেন। আর এই জন্য এই প্রকল্প তাদের মুখে হাসি ফোটাবে এমনটাই জানা যাচ্ছে।

তো চলুন তাহলে জানা যাক, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই “চোখের আলো 2024” (Chokher Alo Scheme 2024) প্রকল্প কিভাবে সাধারণ মানুষের জীবনে আশার আলো হয়ে আসতে পারে:

চোখের আলো প্রকল্প 2024 (Chokher Alo Scheme 2024)

তবে বলা যায় যে ২০২৫ সালের মধ্যে রাজ্যের সমস্ত মানুষ চোখের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন, আর এই উদ্দেশ্য নিয়েই কিন্তু পাঁচ বছর ব্যাপী প্রকল্প এই “চোখের আলো” প্রকল্প টি চালু করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এই প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্য হলো বয়স্কদের চোখের ছানি অপারেশন করা এবং ছোট বাচ্চা, নবীন-প্রবীণ অর্থাৎ বলা যেতে পারে একেবারে ছোট্ট শিশু থেকে বয়স্ক মানুষদের চোখের চিকিৎসা এবং অন্ধত্ব প্রতিরোধ করা যাবে।

পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যের ৬০ বছরের বেশি বয়স্ক ব্যক্তিদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে চোখের ছানি অপারেশন করা হবে। রাজ্যে ২০ লক্ষেরও বেশি মানুষের একেবারে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ছানি অপারেশন করা হবে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে, এবং সেটা একেবারেই বিনামূল্যে।

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পেমেন্ট স্ট্যাটাস জানুন অনলাইন

চোখের আলো প্রকল্পের উদ্দেশ্য:

১) মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন ২০২৩ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে সমস্ত রাজ্যবাসীর চক্ষু পরীক্ষা করা হবে, তিনি বলেন “আই হেলথ ফর অল” (Eye Health for All, 2023 to 2025)।

২) পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সমস্ত বৃদ্ধ, বয়স্ক, শিশু, সকলের জন্যই চোখের চিকিৎসা এবং অন্ধত্ব প্রতিরোধ করা হবে একেবারে বিনামূল্যে।

৩) শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের  ব্যক্তিরাই এই প্রকল্পে বিনামূল্যে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।

চোখের আলো (Chokher Alo Scheme) প্রকল্পের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সুবিধা:

১) পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের ২০ লক্ষেরও বেশি মানুষের একেবারে বিনামূল্যে চোখের ছানি অপারেশন করা হবে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে অর্থাৎ ২০২৫ সালের মধ্যে।

২) পশ্চিমবঙ্গে দরিদ্রদের জন্য বিনামূল্যে চশমা দেওয়া হবে বলে এমনটাই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

৩) তাছাড়া রাজ্যের সমস্ত ৬০ বছরের বেশি বয়স্ক ব্যক্তিদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে চোখের ছানি অপারেশন করা হবে।

৪) রাজ্য এ সরকারি স্কুলের ছাত্রছাত্রীদেরও বিনামূল্যে চক্ষু পরীক্ষা করা হবে, এছাড়াও যদি প্রয়োজন পড়ে তাদেরকে বিনামূল্যে চশমাও দেওয়া হতে পারে। আর তাই মোট ৪ লক্ষ পড়ুয়া এবং ছাত্র-ছাত্রী বিনামূল্যে চশমা পাবে রাজ্য সরকার থেকে।

৫) পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দরিদ্রদের জন্য সম্পূর্ণ বিনামূল্যে চশমা দেওয়া হবে, এতো মুখ্যমন্ত্রী মমতা  বন্দোপাধ্যায় আগেই জানিয়েছেন, তবে রাজ্যের প্রায় ৪ লক্ষ ২৫ হাজারের বেশি মানুষ বিনামূল্যে চশমা পবেন। অর্থাৎ ৪ লক্ষ্য ৫০ হাজারেরও বেশি বিনামূল্যে চশমা বিতরণ করা হবে।

৬) পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে শিশুদের চক্ষু পরীক্ষার ব্যবস্থা করবে বলে জানা গিয়েছে।

কারা এই প্রকল্পের আওতায় আসতে পারে:

শুধুমাত্র যে বয়স্ক ব্যক্তিরাই এই প্রকল্পের আওতায় পড়বেন তেমন কিন্তু নয়, চোখের আলো প্রকল্পে সকল রাজ্যবাসী এর সুবিধা নিতে পারেন।

দুয়ারে রেশন প্রকল্প কারা এবং কিভাবে পাবেন?

চোখের আলো প্রকল্প (Chokher Alo Scheme) চালু কবে থেকে:

যদিও বর্তমানে চোখের আলো প্রকল্প টি চালু হয়ে আছে, অর্থাৎ ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসের ৫ তারিখ থেকে রাজ্যের ১২০০ টি গ্রাম পঞ্চায়েত ও শহরের ১২০ টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এই “চোখের আলো” প্রকল্প শুরু হয়ে গেছে, তবে পরে পরে সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েত এবং শহরকে “চোখের আলো” প্রকল্পের মধ্যে আনা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

চোখের আলো প্রকল্প (Chokher Alo Scheme) কত দিন ধরে চলবে:

যেহেতু এই প্রকল্পটি পাঁচ বছর ধরে চলার কথা বলা হয়েছে, সে ক্ষেত্রে ২১ সাল থেকে যদি শুরু হয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে ২০২৫ সাল পর্যন্ত এ প্রকল্পটি চলবে, তবে পরবর্তীকালে আরো সময় বৃদ্ধি করা হতে পারে।

সমস্ত রাজ্যবাসী এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারবেন তাছাড়া শিশুদের কোন চোখের সমস্যা আছে কিনা তা কিন্তু এই প্রকল্পের মধ্যে দিয়ে আগে থেকেই জানা যাবে এবং ৩০০ এরও বেশী চোখের সার্জেন্ট ও প্রায় ৪০০ জন অপ্টোমেট্রিস্ট এই কাজে যুক্ত থাকবেন।

চোখের আলো প্রকল্পের বিশেষ কিছু তথ্য:

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার বিনামূল্যে এই “চোখের আলো” প্রকল্প টি চালু করে সাধারণ মানুষের অনেকটাই সুবিধা করে দিয়েছে। মাত্র ১৭ দিনে আড়াই লক্ষেরও বেশি মানুষের ঘরে ঘরে চক্ষু রোগের চিকিৎসা করে তারা দেখিয়ে দিয়েছেন যে ইচ্ছা থাকলে কিন্তু উপায়টা হয়।

সে ক্ষেত্রে অনেক গরিব মানুষ যারা কিন্তু টাকার অভাবে চোখ অপারেশন করতে পারছেন না, অথবা বয়স্ক মানুষ চোখের ছানি অপারেশন করতে পারছেন না, তাদের জন্য তো এটা একেবারেই দারুন সুখবর।

আর এর কারণে কত মানুষের চোখের আলো ফিরে আসবে সেটা তো আমরা ভালোমতোই বুঝতে পারছি, তবে দপ্তরের তথ্য অনুসারে প্রকল্পটি চালু হওয়ার পর থেকেই মাত্র ১৭ দিনের মধ্যে ২ লক্ষ ৫০ হাজার ৭৩১ জন “চোখের আলো” এর আওতায় চিকিৎসা পরিষেবা পেয়েছেন, সাধারণ মানুষ এবং সেজন্য তাদের হাসপাতালে গিয়ে একেবারে ধর্না দতে হয়নি।

একটা হাসপাতাল থেকে আরেকটা হাসপাতলে ছুটতে হয়নি, বাড়ির দোরগোড়ায় অর্থাৎ একেবারে ঘরে বসেই বলতে গেলে অত্যাধুনিক সাজ সরঞ্জাম নিয়ে হাজির হয়েছেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। বলতে গেলে ঘরে ঘরে পৌঁছে গিয়েছে চোখের আলো প্রকল্পের এই “আলো”।

এই প্রকল্পের সুবিধা সবথেকে বেশি যারা উপভোগ করতে পারছেন তারা কিন্তু একেবারে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের মানুষজন। ৫২৯ টি গ্রাম পঞ্চায়েত এবং ৮৫ টি পুর- এলাকায় আড়াই লক্ষেরও বেশি মানুষের চোখে নতুন আশার আলো জাগিয়ে তুলেছে এই “চোখের আলো” প্রকল্প টি।

বাচ্চা থেকে বড় সকলের চোখের যদি কোনো সমস্যা থেকে থাকে তাহলে এই প্রকল্পের আওতা তে এসে নিজের চোখের আলো ফিরিয়ে আনা কিন্তু সম্ভব। আর সেইজন্য এই প্রকল্পটির সাধারণ মানুষের মুখে হাসি ফোটাবে তা তো আমরা ধারণা করতেই পারছি, তাই না!

Official Websitehttp://wb.gov.in

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top