মহাবীর জয়ন্তী 2024 তিথি ও সময় ভারতীয় সময় অনুসারে। কবে পড়েছে এবছরের মহাবীর জয়ন্তী 2024? মহাবীর জয়ন্তীর শুভ সময় কখন? জানুন 2024 মহাবীর জয়ন্তীর মুহূর্ত ও কেনাকাটার শুভ মুহূর্ত এবং তাৎপর্য। এই বছরের কবে মহাবীর জয়ন্তী? জেনে নিন কেনাকাটার পাশাপাশি উৎসবের শুভ সময় ও মুহূর্ত। এছাড়াও মহাবীর জয়ন্তীর তাৎপর্য, পূজা বিধি এবং এই সময় কি কাজ করা উচিৎ ও কি না করা উচিৎ জানুন সবকিছু।
মহাবীর জয়ন্তী 2024 (Mahavir Jayanti 2024): জৈন সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে মহাবীর জয়ন্তী অথবা মহাবীর জন্ম কল্যাণনক অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এবং সব থেকে বড় উৎসব হিসেবে পরিচিত। মহাবীরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মহাবীর জয়ন্তী পালন করা হয়। জৈন ধর্ম বিশ্বাস অনুসারে তিনি ছিলেন এই ধর্মের ২৪ তম এবং সর্বশেষ তীর্থঙ্কর অথবা ধর্মগুরু। মহাবীরের পিতা ছিলেন রাজা সিদ্ধার্থ এবং মাতা ছিলেন রানী ত্রীশলা।
এই বছর মহাবীর জয়ন্তী 2024 কবে?
Mahavir Jayanti
21 April 2024
SundayTrayodashi Muhurat Start
10:50 PM on 20 April 2024
Trayodashi Muhurat End
1:15 AM on 22 April 2024
মহাবীর জয়ন্তীর বাংলায় তারিখ
মহাবীর জয়ন্তী
২১ এপ্রিল ২০২৪
রবিবারত্রয়োদশী মুহূর্ত শুরু
২০ এপ্রিল ২০২৪, রাত্রি ১০ঃ৫০ টায়
ত্রয়োদশী মুহূর্ত শেষ
২২ এপ্রিল ২০২৪, রাত্রি ১ঃ১৫ টায়
মহাবীর ছিলেন জৈন ধর্মের সব থেকে বড় গুরু এবং ২৪ তম এবং সর্বশেষ তীর্থঙ্কর। আনুমানিক প্রায় ৫৯৯ খ্রিস্টপূর্বাব্দে তিনি বিহারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। জৈনদের আধ্যাত্মিক গ্রন্থ অনুসারে চৈত্র মাসের ১৩ তম দিনে মহাবীর জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
মহাবীর জয়ন্তী কিভাবে পালন করা হয়?
মহাবীর জয়ন্তী যেহেতু জৈন সম্প্রদায়ের জন্য একটি প্রধান তাৎপর্য পূর্ণ উৎসব এবং ভারত সহ সারা বিশ্বে আধ্যাত্মিক উদ্দীপনা এবং উৎসবের চেতনায় পালন করা হয়।
মহাবীর জয়ন্তী ভক্তদের দাতব্য কাজ স্থাপন, পাঠ, রথে মহাবীরের শোভাযাত্রা এবং জৈন মুনি ও সাধ্বীদের আধ্যাত্মিক বক্তৃতা এই অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ বলা যেতে পারে। রথযাত্রার নামে ভগবান মহাবীরের মূর্তি নিয়ে শোভাযাত্রা বের করা হয়।
ভক্তরা এই সময় ভজন পাঠ করেন। শোভাযাত্রা করার ঠিক আগে মহাবীরের মূর্তিকে বিশেষভাবে অভিষেক করা হয়, আনুষ্ঠানিক স্নান করার মধ্য দিয়ে। এছাড়া এই দিনে জৈনরা জৈন মন্দির গুলিতে গিয়ে থাকেন প্রার্থনা করার জন্য।
মহাবীর জয়ন্তী, এই দিনটি মার্চ অথবা এপ্রিল মাসে পড়ে, গ্রেগোরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে। তিনি রাজার ঘরে জন্মগ্রহণ করা সত্বেও সমস্ত ধন-সম্পত্তিকে সরিয়ে রেখে দিয়ে জীবনে জ্ঞান লাভ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। মোক্ষ লাভ করার জন্য গৃহ ত্যাগ করেছিলেন, অবশেষে তিনি তা অর্জন করতেও পেরেছিলেন।
মহাবীর যেহেতু খুবই উদার মনোভাবের ছিলেন, সকল মানুষকে উদারতার শিক্ষা দিয়ে গিয়েছেন। সেই কারণে তার জন্মতিথিতে অর্থাৎ মহাবীর জয়ন্তীতে জৈন ধর্মের মানুষেরা বিভিন্ন ধরনের দান করে থাকেন, পূন্য অর্জন করার জন্য। মনকে শান্ত করতে আর জীবনে আধ্যাত্মিকতার ছোঁয়া লাগাতে সততা এবং সাধারণ জীবনযাত্রার পথ অনুসরণ করার শপথ নিয়ে থাকেন এই মহাবীর জয়ন্তীর দিন।
বিভিন্ন ধরনের ঐতিহ্যবাহী খাবার তৈরি করা হয় এই দিন উপলক্ষে। এই দিনটি খুবই শ্রদ্ধার সাথে এবং ভালোবাসার সাথে জৈন সম্প্রদায়ের মানুষেরা উদযাপিত করে থাকেন এবং তাদের কাছে মহাবীর জয়ন্তী হল একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং সবথেকে বড় উৎসব।
তার জন্য জৈন মন্দির ও মঠ গুলিতে সারা বছর ধরে এই দিনের জন্য অপেক্ষা করে থাকা হয়। মহাবীরের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে অনেকেই জীবনে শান্তি ফিরে পেয়েছেন আর তাই তো মহাবীরকে তারা এতটা শ্রদ্ধা ও সম্মান জানিয়ে থাকেন।