হযরত আলীর জন্মদিন 2023 তিথি ও সময় এই বছরে। কবে পড়েছে এবছরের হযরত আলীর জন্মদিন 2023? হযরত আলীর জন্মদিনর শুভ সময় কখন? জানুন 2023 হযরত আলীর জন্মদিনর পালনের ও কেনাকাটার শুভ সময় এবং তাৎপর্য। এই বছরের কবে হযরত আলীর জন্মদিন ইসলামিক উৎসব? জেনে নিন কেনাকাটার পাশাপাশি হযরত আলীর জন্মদিনর শুভ সময়। এছাড়াও হযরত আলীর জন্মদিনর তাৎপর্য, পালনের পদ্ধতি এবং হযরত আলীর জন্মদিনর সময় কি কাজ করা উচিৎ ও কি না করা উচিৎ জানুন সবকিছু।
হযরত আলীর জন্মদিন 2023 (Hazrat Ali Birthday 2023): হযরত আলী (সাঃ) এমন একজন মুসলিম ধর্মীয় গৌরবময় ব্যক্তি, যাকে সমগ্র ভারত বর্ষ এবং এর বাইরেও ইসলাম সম্প্রদায় এর মানুষ উচ্চ সম্মানের সঙ্গে শ্রদ্ধা করা হয়। তিনি ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক, হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের চাচাতো ভাই এবং জামাই।
এই বছর হযরত আলীর জন্মদিন 2023 কবে?
Hazrat Ali Birthday
4 February 2023
Saturday
হযরত আলীর জন্মদিনের বাংলায় তারিখ
হযরত আলীর জন্মদিন
৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
শনিবার
হযরত আলী (সাঃ) মুসলমানদের চতুর্থ খলিফা, যার সম্পূর্ণ নাম হলো আলি ইবনে আবু তালিব। ইসলাম অনুসারে বিশ্বাস করা হয় যে, তিনিই প্রথম ব্যক্তি, যিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। তার পিতার নাম আবু তালিব ইবনে আব্দুল মুত্তালিব এবং মায়ের নাম ছিল ফাতিমা বিনতে আসাদ।
হযরত আলীর জন্মদিনের তাৎপর্য 2023:
প্রতিটি জন্মতিথির তাৎপর্য অনেকখানি। হযরত আলীর জন্মদিন উৎসবটি আমাদের সকলের জন্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। বিশেষ করে মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে এটি একটি পবিত্র দিন। কারণ এই দিবসটি তে হযরত আলীর মত একজন মহান ব্যক্তির জন্ম হয়েছিল। তাঁর মতো একজন প্রতিভাবান এবং সুচারিত্রিক ব্যক্তি খুবই কম রয়েছেন আমাদের পৃথিবীতে।
একজন দক্ষ যোদ্ধা এবং ধার্মিক ব্যাক্তি ছাড়াও তিনি অত্যন্ত দয়ালু মনের ব্যাক্তি ছিলেন। তার বৈশিষ্ট্য এবং কর্ম মানুষের মধ্যে প্রচার করতে সাহায্য করেছিল ইসলাম ধর্মকে। প্রতিবছর অনেক উৎসাহের সাথে এবং আনন্দের সাথে ধুমধাম ভাবে পালন করা হয় এই দিনটি।
এছাড়া ভারতের শিয়া সম্প্রদায়ের সবথেকে বড় কেন্দ্র লখনৌ তে এই দিনটি উদযাপিত হয়। এই দিনে লখনৌ তে বিভিন্ন মসজিদ গুলি খুবই সুন্দর ভাবে সেজে ওঠে। এই দিন শহরে বিভিন্ন মিছিল বের হয় এবং ধর্মীয় সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
তাছাড়া যে কোনো উৎসবে মানুষ নিজেদের ঘরবাড়ি সুন্দর করে পরিস্কার পরিছন্ন করে গুছিয়ে সাজিয়ে। সেই কারণে এই দিনটি উপলক্ষে সমস্ত মুসলিম মানুষেরা তাদের ঘরগুলি ভালোভাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে সুন্দরভাবে সাজিয়ে তোলেন।
এরপর সেখানে নামাজ, প্রার্থনা / দোয়া সভার আয়োজন করা হয়। মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকেরা তাদের বাড়িতে বিভিন্ন ধরনের সুস্বাদু খাবার তৈরি করেন এবং তাদের বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে থাকেন। তাছাড়া অনেকেই আবার বাড়িতে খাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়ে থাকেন।
এই দিন উপলক্ষে অনেকেই আবার দূরের কোন আত্মীয়-স্বজনের সাথে দেখা করতে ছুটে যান। তাদের ভালোবাসা প্রকাশ করতে যান, এবং কিছু মানুষ এই দিনে পরিবারের সাথে দেখা করার জন্য সারা বছর অপেক্ষা করে থাকেন। হযরত আলীর স্মরণ করে তাদের পরিবারের জন্য দোয়া করেন এবং উৎসাহের সাথে এই দিনটি সকলে মিলে খুবই আনন্দের সাথে উপভোগ করেন।
শুধু মুসলিম সম্প্রদায়ই নয়, বিশ্বের মানুষের কাছে হযরত আলী একজন গৌরবময় ব্যক্তিত্ব। তিনি মুসলমান দের জন্য অনেক যুদ্ধ করে গিয়েছেন। তাই তাকে স্মরণ করে শ্রদ্ধা জানাতে এই দিনটি খুবই নমনীয়তার সাথে পালন করা হয়। যেখানে পরিবার-পরিজন এবং নিজের জন্য দোয়া ও প্রার্থনা সভার আয়োজন করা হয়ে থাকে।