সুন্দর ও স্মার্ট কেন হবেন? কি এর সুফল? কিভাবে স্মার্ট হবেন?

আমাদের মানবসমাজে রয়েছে হাজারো রকম মানুষ। একেক জন মানুষ দেখতে একেক রকম এবং তাদের আচার ব্যবহারও আলাদা। কারও সাথে কখনো কাউকে মেলানো যায়না। তবে যারা সুন্দর ও স্মার্ট, মানুষ তাদেরকে বেশি পছন্দ করে থাকে। এটা খুবই স্বাভাবিক একটি বিষয়।

আর আপনারা এটাও জানেন, যে অসুন্দর ও আনস্মার্ট মানুষদের কেউ পছন্দ করেনা। সবাই তাদের থেকে দূরে থাকে। তবে এমনও হয় যে, বিশেষ কোনো গুণের কারণে হয়তো কোনো অসুন্দর ব্যক্তিও মানুষের প্রিয় হয়, তবে তার জন্য অবশ্যই তাদের স্মার্ট হতে হয়। কিন্তু আপনি ভেবে দেখুন, আপনি যদি স্মার্ট এবং সুন্দর, দুইটি গুণই একইসাথে আয়ত্ব করে ফেলেন, তাহলে কেমন হবে?

আপনারা হয়তো ভাবেন, যে সুন্দর ও স্মার্ট হলে শুধু মেয়েরা পছন্দ করে, প্রোপোজাল আসে, এরকম কিছু। কিন্তু শুধু এটুকুই নয়, সুন্দর ও স্মার্ট হওয়ার আরও অনেক সুফল রয়েছে, যা হয়তো আপনারা এতোদিন মনোযোগ দিয়ে চিন্তা করেননি।

তবে আজকের পোস্ট পড়ার পর আশা করি সবাই বুঝতে পারবেন এবং অবহেলায় নিজেকে না রেখে সুন্দর ও স্মার্ট হওয়ার চেষ্টা করবেন। তাই আজ আমি আপনাদের জানাবো, সুন্দর ও স্মার্ট হওয়ার উপায় এবং এর বিভিন্ন সুফল সম্বন্ধে। তো চলুন আর কথা না বাড়িয়ে, মূল আলোচনা শুরু করা যাক।

 

সুন্দর ও স্মার্ট হওয়ার বিভিন্ন সুবিধা ও অগ্রগতি:

 

১. সবার নজরে পড়বেন

একজন সুন্দর ও স্মার্ট মানুষ সবসময়ই সবার দৃষ্টিতে থাকে বেশি। কারণ, তার কার্যক্রম এবং তার চেহারা তাকে অন্য সাধারণ ১০ টি মানুষ থেকে আলাদা করে তোলে। আর তাই সে সবার নজরে সবসময় প্রথমে পড়ে।

প্রথমত সবার কাছে তার সুন্দর চেহারা ভালো লাগে, এবং যখন সে স্মার্টলি কোনো কাজ করে বা চলাফেরা করে, তখন স্বভাবতই সবার কাছে সে আরও প্রিয় হয়ে ওঠে। কিন্তু খেয়াল করে দেখবেন, অসুন্দর ও আনস্মার্ট মানুষরা এদের চেয়ে তুলনামূলকভাবে অনেক কম প্রাধান্য পায় সবার কাছে।

 

২. সহজেই সবার মন জয় করতে পারবেন

একজন সুন্দর ব্যক্তি যখন কারও কাছে কোনো প্রয়োজনে যায়, তখন সে অন্য যেকোনো ব্যক্তি থেকে আলাদা একটা প্রায়োরিটি পায়। কারণ, স্বভাবতই আমরা একজন খুব সুন্দর মানুষকে চোখের সামনে দেখলে তার দিকে তাকিয়ে থাকি বা হয়তো কথাও বলতে চাই।

আর সে যদি কোনো কথা বলতে চায়, তাহলে অবশ্যই সেটা আমাদের কাছে আরও গুরুত্ববহ হয়ে ওঠে। কারণ আমরা সবাই জানি, আগে চেহারাধারী, পরে গুণবিচারী। যখন কোনো খুব সুন্দর ব্যক্তি কারও সামনে গিয়ে দাঁড়ায়, তখন তার চেহারাই অনেকটা আকর্ষণ করে ফেলে সামনের ব্যক্তিকে।

আর যদি সে স্মার্টলি তার কথা উপস্থাপন করে, তাহলে নিশ্চিতভাবেই সে যেকোনো কাজ হাসিল করতে সক্ষম হয়। তবে অসুন্দর ব্যক্তিদের এক্ষেত্রে যথেষ্ট ভোগান্তি পোহাতে হয়। তবে সুন্দর ব্যক্তিদের মন জয় করার ক্ষমতা বেশি।

 

৩. সকলের কাছে প্রিয় হতে পারবেন সহজেই

একজন সুন্দর ও স্মার্ট মানুষ সবসময়ই সবার কাছে অন্যদের থেকে বেশি প্রিয় হয়। কারণ সবাই সুন্দরের পূজারী। একজন অসুন্দর ব্যক্তি, যদিও স্মার্ট হয়, তার চেয়ে একজন সুন্দর ব্যক্তি একটু বেশি প্রাধান্য পায়। আর যদি সে স্মার্টও হয়, তাহলে তো কথাই নেই, সবসময় সে সবার মধ্যমণি হতে পারে।

কারণ সব মানুষই চায় সুন্দর ব্যক্তির সাথে মিশতে, তার সাথে বন্ধুত্ব করতে,অথবা প্রেমের সম্পর্কও করতে চায়। এজন্য স্বভাবতই ছেলেরা সুন্দর মেয়ে বেশি পছন্দ করে আর মেয়েরাও ঠিক তেমনি। সাধারণরা যে কারও প্রিয় হয়না তা ঠিক না, কিন্তু সুন্দর ব্যক্তিদের এক্ষেত্রে সুবিধা বেশি থাকে ও চেহারার কারণে তাদের সবার প্রিয় হওয়া সহজ হয়।

 

৪. ভুলের মাফ পাবেন সহজেই

একজন সুন্দর ব্যক্তি সবসময়, একজন সাধারণ ব্যক্তির থেকে সহজে কোনো কঠিন পরিস্থিতি বা ভুল থেকে ক্ষমা পেয়ে যান। এর কারণ হলো, একজন সুন্দর সুশীল ব্যক্তি যখন ভুল করেন, তখন কেউ যদি তাকে শাস্তি দেয় বা বকাঝকা করতে যায়, তখন হয়তো তার সুন্দর চেহারা, বা এক ঝলক মিষ্টি হাসি সামনের ব্যক্তিটিকে অনেকটাই শান্ত করে দেয় এবং ব্যক্তিকে মাফ করে দিতে আগ্রহী করে।

আর যদি কোনো বড় ভুল করেও একজন সুন্দর ব্যক্তি নরম সুরে ক্ষমা চান, তাহলে তাকে শাস্তি দেয়া যে কারও পক্ষেই খুব কঠিন হবে বলে আমি মনে করি।

আর অসুন্দর ব্যক্তিরাও ভুল করতে পারেন এবং মাফ চাইলে ক্ষমাও পাবেন, তবে সেক্ষেত্রে কষ্ট অনেক বেশি হবে এবং সম্ভাবনাও অনেক কম। অর্থাৎ এখানে সামনের ব্যক্তির মুড এবং আপনার ভাগ্যের সহায়তা খুবই দরকার পড়বে। তাই বুঝতেই পারছেন এখানেও সুন্দর ব্যক্তিরা কতটা এগিয়ে রয়েছে।

 

৫. কাজে প্রাধান্য পাবেন

আমরা সবাই জানি, সুন্দর ও স্মার্ট ব্যক্তিরা, অন্য ব্যক্তিদের চেয়ে, যেকোনো কাজে বেশি প্রাধান্য পান। তাদের কাজের আওতা অন্যান্য ব্যক্তিদের তুলনায় অনেক প্রসারিত। যেমন ধরুন, কাস্টমার কেয়ার, কোনো ফোনের শোরুমে চাকরির ক্ষেত্রে, সুন্দর ও স্মার্ট ব্যক্তিদের প্রাধান্য অনেক বেশি।

আর বাস্তবজীবনেও, স্মার্ট ও সুন্দর ব্যক্তিদেরই সবাই কোনো দায়িত্ব অর্পণ করতে পছন্দ করেন। অন্যরাও সেই সুযোগ অবশ্যই পান, তবে এটা বেশ রেয়ার কেস এবং তাদের কাজের আওতা কম এবং অনেকটা ভাগ্যের উপরও নির্ভরশীল।

আশা করি এসব সুফলগুলো সম্বন্ধে জানার পর আপনারা আর নিজেদের অবহেলায় রাখবেন না এবং নিজেকে সুন্দর ও স্মার্ট করে তোলার চেষ্টা প্রবল করে তুলবেন। সবাই চেষ্টা করুন, সুন্দর হোন, স্মার্ট হোন, নিজের জীবনকে উপভোগ করুন।  

সুন্দর ও স্মার্ট হওয়ার কৌশল সম্বন্ধে কিছু বোনাস টিপস:

সুন্দর অর্থ হচ্ছে চেহারার সুন্দরতা, একটি ভালো মনের অধিকারী হওয়া। আর স্মার্ট হওয়ার অর্থ হচ্ছে নিজের চলাফেরা, আচার আচরণ, পোশাক আশাক, সবকিছুর ভিতর সামাজিক ও আকর্ষণীয় ভাব নিয়ে আসা। সুন্দর হওয়ার জন্য রুপচর্চা করা, ঠিকমতো খাওয়া দাওয়া করা, ঘুমানো, শরীরচর্চা করা খুবই দরকারী। আর স্মার্ট হওয়ার অনেক নিয়ম রয়েছে, যা আপনারা আমাদের অন্যান্য পোস্টে খুব ভালোভাবে জানতে পারবেন।

 

উপসংহার

তো সুপ্রিয় পাঠকগণ, এই ছিল সুন্দর ও স্মার্ট হওয়ার উপায় এবং সুফল নিয়ে আমাদের আজকের পোস্ট। আশা করি পোস্টটি আপনাদের ভালো লাগবে এবং সুন্দর ও স্মার্ট হওয়ার জন্য কাজে আসবে। চাইলে পোস্টটি সেভ করে রাখতে পারেন ও শেয়ার দিতে পারেন। এছাড়া যদি আজকের পোস্ট নিয়ে আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা মতামত থাকে, তাহলে জানাতে পারেন কমেন্ট সেকশনে।

খুব দ্রুত আবার দেখা হবে সামনের কোনো নতুন পোস্টে, নিয়ে আসবো নতুন কোনো তথ্য আপনাদের কাছে। ততক্ষণ অব্দি, সবাইকে জানাই বিদায় ও শুভকামনা!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top