ইসলামিক নববর্ষ 2023 তারিখ ও সময় | Islamic New Year 2023 Date & Time

ইসলামিক নববর্ষ 2023 তিথি ও সময় এই বছরে। কবে পড়েছে এবছরের ইসলামিক নববর্ষ 2023? ইসলামিক নববর্ষের শুভ সময় কখন? জানুন 2023 ইসলামিক নববর্ষের পালনের ও কেনাকাটার শুভ সময় এবং তাৎপর্য। এই বছরের কবে ইসলামিক নববর্ষ ইসলামিক উৎসব? জেনে নিন কেনাকাটার পাশাপাশি ইসলামিক নববর্ষের শুভ সময়। এছাড়াও ইসলামিক নববর্ষের তাৎপর্য, পালনের পদ্ধতি এবং ইসলামিক নববর্ষের সময় কি কাজ করা উচিৎ ও কি না করা উচিৎ জানুন সবকিছু।

ইসলামিক নববর্ষ তারিখ ও সময় | Islamic New Year Date & Time
ইসলামিক নববর্ষ 2023 তারিখ ও সময় | Islamic New Year 2023 Date & Time

ইসলামিক নববর্ষ 2023 (Islamic New Year 2023): ইসলাম অনুসারে যে সমস্ত বিষয়গুলি জড়িত রয়েছে উৎসবের সাথে, সেগুলি ইসলামের বিভিন্ন বিধি-বিধান, হিজরী সন তথা আরবি তারিখ ও চান্দ্র মাসের সঙ্গে সম্পর্কিত উৎসব। সবকিছুতেই মুসলিম উম্মাহ হিজরি সনের উপর নির্ভরশীল। যা মুসলিম উজ্জীবিত করে এর মধ্যে হিজরী সন খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং অন্যতম। মানুষের জীবন সময়ের সমষ্টি, সময়কে মানুষের প্রয়োজনে ব্যবহার করা এবং উপযোগী করে তোলা।

এই বছর ইসলামিক নববর্ষ 2023 কবে?

Islamic New Year / Al-Hijra
19 July 2023
Wednesday

ইসলামিক নববর্ষের বাংলায় তারিখ

ইসলামিক নববর্ষ/আল-হিজরা
১৯ জুলাই ২০২৩
বুধবার

 

প্রাচীন আরবে সুনির্দিষ্ট কোন প্রথা প্রচলিত ছিল না। বিশেষ ঘটনার নামে বছর গুলোর নামকরণ করা হতো। যেমন ধরুন বিদায়ের বছর, অনুমতির বছর, হস্তির বছর, ইত্যাদি। ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হযরত ওমর (রা.) যখন খেলাফতের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। তখন অনেক দূর দূরান্ত পর্যন্ত নতুন নতুন রাষ্ট্র এবং ভূখণ্ড ইসলামী খেলাফতের অন্তর্ভুক্ত হয়ে পড়ে। রাষ্ট্রের জরুরী কাগজ পত্র ইত্যাদিতে কোন সন তারিখ উল্লেখ না থাকার কারণে অনেক অসুবিধা হতো।

হিজরী নববর্ষের ইতিহাস 2023:

রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তার পরবর্তীতে হযরত ওমর ইবনে খাত্তাব এর সামনে অতীতের বিভিন্ন জাতির বর্ষপঞ্জি থাকা সত্ত্বেও হিজরতের তারিখ থেকে মুসলমানদের বর্ষপঞ্জি সূচনা করার মধ্যে মুসলমানদের জন্য রয়েছে অনেক বড় শিক্ষনীয় বিষয়। কারণ হিজরত ইসলামী ইতিহাস একটি যুগান্তকারী ঘটনা। বিশ্ব ইতিহাসেও এটি একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিন। এটি ছিল হক ও বাতিলের মাঝে পার্থক্য নির্ণয়ের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এর দিন।

মক্কার কাফের মুশরিক দ্বারা পাশবিক নির্যাতন অব্যাহত, অমানবিক আচরণ, সামাজিক ও অর্থনৈতিক বয়কট, ইত্যাদি সত্ত্বেও মুসলমান আপন দ্বীনের উপরে অটল অবিচল থাকেন। মুখ বুজে নিরবে সহ্য করে যান এইসব অকথ্য অত্যাচার, নির্যাতন। অবশেষে তারা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে হত্যার ষড়যন্ত্রে মেতে ওঠে। এই ক্ষেত্রে আল্লাহ তায়ালার হুকুমে মুসলমানগণ মদিনায় হিজরত করেন।

এই ধৈর্য, ত্যাগ ও বিসর্জন এর ফলেই মুসলমানগণ মদিনার মত বহুজাতিক রাষ্ট্রে ইসলামী খেলাফত প্রতিষ্ঠা ও তৎপরবর্তী সময়ে ইসলামের ব্যাপক প্রচার প্রসারের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ এর জন্য অনুপ্রেরণা দিতে পেরেছিলেন। যা ইসলামী ইতিহাসের সোনালী অধ্যায়ের সূচনা করেছিল।

হিজরী নববর্ষ প্রতিটি বছরের সূচনা কালে মুসলমান দেরকে এই কথার জানান দেয় যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সাহাবায়ে কেরাম যে ধৈর্য, ত্যাগ, ও বিসর্জনের ফলে ইসলামের পূর্ণ ও পূর্ণাঙ্গ রূপ দেখতে পেয়েছিলেন। সমস্ত মুসলিম যদি পৃথিবীর বুকে সেভাবে ইসলামকে পূর্ণাঙ্গ রূপে প্রতিষ্ঠিত করতে চান, তাহলে তারা তাদের অনুসরণে মুসলমান দের ধৈর্য, ত্যাগ, বিসর্জন দিতে হবে।

আরবি নববর্ষ মুসলিম হিসেবে গর্ব ও অহংকার এর প্রতীক। আরবি নববর্ষের সাথে জড়িয়ে রয়েছে ইসলামের অনেক অনেক ইতিহাস। ইসলামের বিভিন্ন ঘটনা ও ইতিহাস থেকেই আরবি নতুন বছর বা দিনক্ষণ অথবা মাস গণনা শুরু করা হয়েছে। তাই একজন সচেতন মুসলমান হিসেবে বাংলা এবং ইংরেজি নববর্ষ বাদ দিয়ে, আরবি নববর্ষকে অত্যাধিক গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top