ঈদে মিলাদুন্নবী 2023 তিথি ও সময় এই বছরে। কবে পড়েছে এবছরের ঈদে মিলাদুন্নবী 2023? ঈদে মিলাদুন্নবীর শুভ সময় কখন? জানুন 2023 ঈদে মিলাদুন্নবীর পালনের ও কেনাকাটার শুভ সময় এবং তাৎপর্য।
এই বছরের কবে ঈদে মিলাদুন্নবী ইসলামিক উৎসব? জেনে নিন কেনাকাটার পাশাপাশি ঈদে মিলাদুন্নবীর শুভ সময়। এছাড়াও ঈদে মিলাদুন্নবীর তাৎপর্য, পালনের পদ্ধতি এবং ঈদে মিলাদুন্নবীর সময় কি কাজ করা উচিৎ ও কি না করা উচিৎ জানুন সবকিছু।
ঈদে মিলাদুন্নবী 2023 (Eid Milad-un-Nabi 2023): ইসলাম ধর্মে নবী দিবস অথবা ঈদে মিলাদুন্নবী একটি বিশেষ উৎসব। এটি শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে উৎসর্গ করে পালন করা হয়। যেটি নবী দিবস হিসাবে পালন করা হয়ে থাকে। হযরত মুহাম্মদকে (সাঃ) ইসলাম ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা বলে মনে করা হয়।
এই বছর ঈদে মিলাদুন্নবী 2023 কবে?
Eid Milad-un-Nabi
28 September 2023
Thursday
ঈদে মিলাদুন্নবীর বাংলায় তারিখ
ঈদে মিলাদুন্নবী
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩
বৃহস্পতিবার
পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদ-উন-নবী শুভেচ্ছা বার্তা ও স্ট্যাটাস
এই দিনে ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়া, কুরআন শরীফ পাঠ করা এবং দোয়া করার অনুষ্ঠান এর আয়োজন করে থাকেন। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা হয় এবং অনেক জায়গায় শোভাযাত্রার আয়োজনও করা হয়।
ঈদে মিলাদুন্নবী অর্থাৎ নবী দিবস এর গুরুত্ব:
₹ হোম লোন • ₹ পার্সোনাল লোন • ₹ বাইক লোন • ₹ কার লোন • ₹ বিজনেস লোন • ₹ শিক্ষা লোন
নবী দিবসের গুরুত্ব ইসলাম ধর্মাবলম্বী দের কাছে কতখানি গুরুত্বপূর্ণ তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এই দিনটি সরকারি ছুটির দিন হিসেবে পালন করা হয়। ইসলামের নবী মুহাম্মদের জন্মদিন বলে কথা, যিনি ইসলাম ধর্মের শেষ নবী এবং এই ধর্মের প্রবর্তক।
শুভ ঈদ-উল-ফিতর শুভেচ্ছা বার্তা ও স্ট্যাটাস
এই দিন উপলক্ষে সম্মেলন এবং রাস্তাঘাট বাড়ি ঘর গুলি সুন্দরভাবে সাজানো গোছানো হয়, তার সাথে সাথে অনেকেই বাড়িতে মিলাদ রাখেন। গরিব দুঃখীদের মধ্যে খাবার, বস্ত্র, টাকা পয়সার বিতরণ করা হয়। অনেকেই পরিবারের মৃত সদস্যদের উদ্দেশ্যে দোয়া করে থাকেন।
তাছাড়া নবীজিকে সম্মান জানাতে তাকে স্মরণ করে রাখার জন্য এই দিনটি খুবই সুন্দর ভাবে পালন করা হয়। বাড়িতে বাড়িতে বিভিন্ন ধরনের খাবারের আয়োজন করা হয়, আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে ঘুরতে যাওয়া, সবার মধ্যে সম্প্রীতি বজায় রাখা এই উৎসবে প্রধান লক্ষ্য। অনেকেই মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েন, বা বাড়িতেও নামাজ পড়ে থাকেন।
দোয়া করে থাকেন নিজের জন্য এবং পরিবারের আরও অন্যান্য সদস্যদের জন্য। খুবই উৎসব ও উদ্দীপনের মধ্য দিয়ে পালন করা হয় এই দিনটি। যা কিনা সবার মুখে মুখে নবী দিবস নামে পরিচিত। এই দিনটি উপলক্ষে অনেকেই অনেক ভালো কাজ করার জন্য সারা বছর ধরে অপেক্ষা করে থাকেন।
একজন ইসলাম ধর্মাবলম্বী মানুষের কাছে নবীজির কতখানি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন তা শুধুমাত্র একজন মুসলমানই জানেন, আর তাইতো নবীজিকে চিরস্মরণীয় করে রাখতে প্রতি হিজরী বছর এর রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখে এই দিবসটি পালন করা হয় বিশ্বের সমস্ত জায়গায়, যেখানে ইসলাম ধর্মাবলম্বী মানুষেরা বসবাস করেন।
যে সমস্ত জায়গায় ইসলাম ধর্মাবলম্বী মানুষেরা অনেক বেশি পরিমাণ আছেন, সেখানে রাস্তা-ঘাট, বড় বড় দোকান, বাড়িঘর সুন্দর আলোক সজ্জায় সেজে ওঠে। এর পাশাপাশি বাচ্চা থেকে বড় সকলেই নবী দিবসের আনন্দে মেতে ওঠেন।
উপহার আদান-প্রদান ও করা হয়, আত্মীয় স্বজন বন্ধু-বান্ধব দের মধ্যে। বাড়িতে বাড়িতে তৈরি হয় ক্ষীর, পায়েস, মিষ্টি এবং আরও অন্যান্য লোভনীয় খাবার। মুসলমান দের কাছে এই নবী দিবস খুশির ঈদের মতোই একটি আনন্দময় উৎসব। যেটি তাদের প্রাণপ্রিয় নবীজির উদ্দেশ্যে পালন করা হয়।