বুদ্ধ পূর্ণিমা 2023 তিথি ও সময় ভারতীয় সময় অনুসারে। কবে পড়েছে এবছরের বুদ্ধ পূর্ণিমা 2023? বুদ্ধ পূর্ণিমার শুভ সময় কখন? জানুন 2023 বুদ্ধ পূর্ণিমার মুহূর্ত ও কেনাকাটার শুভ মুহূর্ত এবং তাৎপর্য। এই বছরের কবে বুদ্ধ পূর্ণিমা? জেনে নিন কেনাকাটার পাশাপাশি উৎসবের শুভ সময় ও মুহূর্ত। এছাড়াও বুদ্ধ পূর্ণিমার তাৎপর্য, পূজা বিধি এবং এই সময় কি কাজ করা উচিৎ ও কি না করা উচিৎ জানুন সবকিছু।
বুদ্ধ পূর্ণিমা 2023 (Buddha Purnima 2023): বৈশাখ মাসের পূর্ণিমা হল বুদ্ধ পূর্ণিমা, বুদ্ধ পূর্ণিমা বুদ্ধ জয়ন্তী নামেও পরিচিত। বিশ্বজুড়ে এই দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে পালন করা হয়। এই তিথিতে বুদ্ধদেবের আবির্ভাব হয়েছিল বলে ইতিহাসে জানা যায়। বৈদিক সাহিত্য মতে ভগবান বুদ্ধ বিষ্ণুর আরেকটি অবতারও। বৈদিক সাহিত্য মতে পৃথিবী থেকে হিংসা ও সহিষ্ণুতা চিরতরে মুছে দেওয়ার জন্যই বুদ্ধের আবির্ভাব হয়েছিল। বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থ ত্রিপিটকে সেই কথা পরিষ্কার ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
এই বছর বুদ্ধ পূর্ণিমা 2023 কবে?
Buddha Purnima Puja
5 May 2023
FridayPurnima Muhurat Start
11:40 PM on 4 May 2023
Purnima Muhurat End
11:10 PM on 5 May 2023
বুদ্ধ পূর্ণিমার বাংলায় তারিখ
বুদ্ধ পূর্ণিমা পূজা
৫ মে ২০২৩
শুক্রবারপূর্ণিমা মুহূর্ত শুরু
৪ মে ২০২৩, রাত্রি ১১ঃ৪০ টায়
পূর্ণিমা মুহূর্ত শেষ
৫ মে ২০২৩, রাত্রি ১১ঃ১০ টায়
এই দিন বৌদ্ধ মন্দিরগুলিতে যেমন দিন রাত উপাসনা চলে। তেমনি বাড়িতে বাড়িতে হয় নারায়ণের পুজো। আর আমরা সবাই জানি যে নারায়ণের পূজোতে সিন্নি, দুধ, কেশর এগুলি খুবই গুরুত্বপূর্ণ নৈবেদ্য। যেগুলি ছাড়া পূজা অসম্পূর্ণ বলে মনে হয়।
2023 বুদ্ধ পূর্ণিমা শুভেচ্ছা বার্তা ও স্ট্যাটাস
বুদ্ধ পূর্ণিমার তাৎপর্য 2023:
প্রতিটি উৎসবের যেমন তাৎপর্য থাকে, তেমনি বুদ্ধ পূর্ণিমার তাৎপর্য রয়েছে খুবই সুন্দর:-
- ভক্তরা বিশ্বাস করেন যে, বুদ্ধ পূর্ণিমার দিন ভোরবেলা স্নান করলে সমস্ত পাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
- এই দিনে অনেকেই অনেক কিছু দান, ধ্যান করেন। যারা দরিদ্র তাদেরকে খাওয়ানো হয় এবং তাদের বস্ত্র ও আরো অন্যান্য সরঞ্জাম দান করা হয়।
- প্রতিবছর এই বুদ্ধ পূর্ণিমার দিন বিশ্বের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা প্রচুর ভক্তের সমাগম হয় বুদ্ধগয়াতে।
মোক্ষ লাভের জন্য সংসারের সমস্ত মায়া ত্যাগ করে এক বস্ত্রে রাজপ্রাসাদের সমস্ত বিলাসবহুল জীবনযাত্রা ত্যাগ করে তিনি সন্ন্যাসী হয়ে বেরিয়ে যান, তারপর বোধী জ্ঞান অর্জন করেন। যার কারণে তিনি সকলের মনের মধ্যে বিশেষভাবে জায়গা করে নিয়েছেন।
এছাড়া বৌদ্ধ মন্দির গুলি ছাড়াও অনেকেই বাড়িতে বুদ্ধ পূর্ণিমার দিন অন্যান্য দেব-দেবীদেরও পূজা-অর্চনা করে থাকেন। সংসারের সমস্ত কালিমা মুছে দিয়ে সুখ, সমৃদ্ধি, ধন-সম্পদ বৃদ্ধি এবং সকল কাজে সফলতা পাওয়ার জন্য বুদ্ধ পূর্ণিমা অনেকেই নিষ্ঠাভরে পালন করে থাকেন।
বুদ্ধ পূর্ণিমা তে পূজার আচার ও অনুষ্ঠান:
- ভগবান বুদ্ধের ভক্তরা এদিন অন্যান্য পূজার মতো খুবই ভোরে ওঠে স্নান সেরে বুদ্ধদেবের জন্মবার্ষিকী পালন শুরু করে দেন।
- এই দিনে ঘর পরিষ্কার করা হয় এবং চারিদিকে গঙ্গা নদীর পবিত্র জল ছিটিয়ে চারিদিক শুদ্ধ করা হয়।
- ফুল এবং আম পাতা দিয়ে বাড়িটিকে সাজানো হয়।
- সুন্দর করে বাড়ির প্রবেশপথে হলুদ, রোলি এবং গঙ্গা জল দিয়ে স্বস্তিক চিহ্ন আঁকা হয়। যা কিনা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে একটি পবিত্র চিহ্ন হিসাবে পরিচিত।
- তার সাথে সাথে বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থ গুলি পাঠ করা এবং বৌদ্ধ ধর্ম অনুসরণকারীরা এই দিনে বৌদ্ধ গয়াতে ও গিয়ে থাকবেন।
- যদিও তিনি বোধি গাছের নিচে ধ্যানে মগ্ন থাকতেন, সেই কারণে এই দিন বোধি গাছের উপাসনাও করা হয়।
- বিভিন্ন রঙের ফুলের মালা গাছে দেওয়া হয় এবং ভক্তরা গাছের গোড়ায় দুধ ও জল ঢালেন।
কঠোর ধ্যানমগ্নে যখন সিদ্ধান্ত অথবা বুদ্ধদেব ছিলেন, তখন তাঁর সমস্ত শরীর একটি চর্মাবৃত কঙ্কালে পরিণত হয়েছিল। এতেও তার অভিষ্ট লক্ষ্য সিদ্ধ হচ্ছিল না। তখন তিনি মধ্যপন্থা অবলম্বন করে আবার ধ্যানরত হলেন।
সিদ্ধার্থ অভিনব সাধনা পদ্ধতি অবলম্বন করে আবার তার পুরানো স্বাস্থ্য ফিরে পান। বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষে চাঁদ যতই বাড়তে শুরু করলো, ততই তিনি সিদ্ধি লাভ করতে লাগলেন, আর সেদিনটা ছিল বৈশাখী পূর্ণিমার চতুর্দশ তিথি।