অনন্ত চতুর্দশী 2023 তিথি ও সময় ভারতীয় সময় অনুসারে। কবে পড়েছে এবছরের অনন্ত চতুর্দশী 2023? অনন্ত চতুর্দশীর শুভ সময় কখন? জানুন 2023 অনন্ত চতুর্দশীর মুহূর্ত ও কেনাকাটার শুভ মুহূর্ত এবং তাৎপর্য। এই বছরের কবে অনন্ত চতুর্দশী? জেনে নিন কেনাকাটার পাশাপাশি উৎসবের শুভ সময় ও মুহূর্ত। এছাড়াও অনন্ত চতুর্দশীর তাৎপর্য, পূজা বিধি এবং এই সময় কি কাজ করা উচিৎ ও কি না করা উচিৎ জানুন সবকিছু।
অনন্ত চতুর্দশী 2023 (Anant Chaturdashi 2023): শ্রী সচ্ছিদানন্দ সত্যনারায়ণের অনন্ত স্বরূপ এর জ্ঞান লাভ করেন নারদ। এই দিনটি ছিল ভাদ্রপদ মাসে চতুর্দশী অর্থাৎ ভাদ্র মাসের চতুর্দশী তিথি। তারপর থেকে এই দিনটি অনন্ত চতুর্দশী হিসেবে পরিচিত এবং এই দিনে অনন্ত চতুর্দশী ব্রত পালন করা হয়ে থাকে।
এই বছর অনন্ত চতুর্দশী 2023 কবে?
Anant Chaturdashi Puja
28 September 2023
ThursdayChaturdashi Muhurat Start
10:10 PM on 27 September 2023
Chaturdashi Muhurat End
7:00 PM on 28 September 2023
অনন্ত চতুর্দশীর বাংলায় তারিখ
অনন্ত চতুর্দশী পূজা
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩
বৃহস্পতিবারচতুর্দশী মুহূর্ত শুরু
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, রাত্রি ১০ঃ১০ টায়
চতুর্দশী মুহূর্ত শেষ
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, রাত্রি ৭ঃ০০ টায়
সৃষ্টির সূচনায় চৌদ্দ লোকের রচনা করেছিলেন বিষ্ণু, এর মধ্যে ছিল:- তল, অতল, বিতল, সুতল, তলাতল, রসাতল, পাতাল, ভূব, স্ব, জন, তপ, সত্য, মহ। এই সমস্ত লোকের রচনা করার পর এদের সংরক্ষণ এবং পালন করার জন্য ১৪ টি রূপে প্রকট হয়েছিলেন নারায়ন। এই সময় অনন্ত প্রতিত হন।
2023 অনন্ত চতুর্দশীর শুভেচ্ছা বার্তা ও স্ট্যাটাস ছবি
অনন্ত চতুর্দশীর ব্রতকথা 2023:
অনন্ত চতুর্দশীর প্রচলিত ব্রতকথা হিসাবে যে কাহিনী আমরা জানতে পারি সেটা হল, একসময় কৌন্ডিন্য মুনি নিজের স্ত্রীর বাঁ হাতে বাঁধা অনন্ত সূত্রকে বশীকরণের সুতো ভেবে টেনে ছিড়ে ফেলে দেন। এখানেই না থেমে সেই সুতোয় তিনি আগুনও পর্যন্ত লাগিয়ে দিয়েছিলেন। এর ফলে বিষ্ণু খুবই রেগে যান এবং কৌন্ডিন্য মুনির সমস্ত সম্পত্তি নষ্ট করে দেন।
সবকিছু জানার পর নিজের অপরাধের প্রায়শ্চিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এই মুনি। অনন্ত ভগবানের কাছ থেকে ক্ষমা প্রার্থনার জন্য তিনি জঙ্গলে যান। পথে যার সাথে দেখা হতো তিনি তার কাছ থেকেই অনন্ত ভগবানের ঠিকানা জানতে চাইতেন। কিন্তু কারো কাছ থেকে কোন তথ্য তিনি পাননি।
এমন এক ক্ষেত্রে তিনি হতাশ হয়ে প্রাণ ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তখন একজন ব্রাহ্মণ এসে তাকে আত্মহত্যা করা থেকে বাঁচিয়েছিলেন। এরপর ঋষি কৌন্ডিন্য কে একটি গুহায় নিয়ে গিয়ে চতুর্ভুজ অনন্ত দেব এর দর্শন করেছিলেন সেই ব্রাহ্মণ।
ব্রাহ্মণ ওই মুনিকে জানান যে, অনন্ত সুত্রের তিরস্কার এর কারণে তার এই দশা হয়েছে। এই পাপের প্রায়শ্চিত করার জন্য ১৪ বছরের নিরন্তর ও অনন্ত উপবাস পালনের কথা বলেন সেই ব্রাহ্মণ। কৌন্ডিন্য মুনি ১৪ বছর পর্যন্ত নিয়ম মেনে এই অনন্ত ব্রত পালন করেছিলেন, এরপর তার জীবনে আনন্দের আগমন ঘটেছিল।
এই দিন শ্রদ্ধা ও ভক্তি ভরে বিষ্ণুর পূজা করা খুবই ভালো। পূজোয় শেষ নাগের উপর বিরাজমান বিষ্ণুর ছবি রাখা উচিত। শেষ নাগ বিষ্ণুর অতি প্রিয় এবং শেষ নাগের অপর নাম ছিল অনন্ত নাগ।
১৪ টি গিঁট দেওয়া সুতোয় পূজা করুন, এটি বিষ্ণু সৃষ্ট চোদ্দ লোকের প্রতিক। বিষ্ণু সহস্র নাম জপ করুন, অনন্ত চতুর্দশী দিনে বিষ্ণু সহস্ত্র নাম জপ করা খুবই ভালো, এর ফলে নারায়ণ প্রসন্ন হয়ে থাকেন।
এইভাবে যদি আপনি অনন্ত চতুর্দশীর ব্রত পালন করে থাকেন, উপবাস করার মধ্যে দিয়ে, তাহলে সংসারের সুখ শান্তি বজায় তো থাকবেই, তার পাশাপাশি সমস্ত দিক থেকে আপনি বিপদমুক্ত থাকতে পারবেন।
তাছাড়া সংসারে ধন-সম্পত্তি বৃদ্ধি হবে বিপুল মাত্রায়। যা আপনার সমস্ত দুঃখ-কষ্টকে ঘুঁচিয়ে দেবে। তাই নিয়ম মেনে বিষ্ণুর পূজা করুন এবং অনন্ত চতুর্দশীর ব্রত পালন করতে একদমই ভুলবেন না যেন।