গুড ফ্রাইডে 2023 তিথি ও সময় ভারতীয় সময় অনুসারে। কবে পড়েছে এবছরের গুড ফ্রাইডে 2023? গুড ফ্রাইডের শুভ সময় কখন? জানুন 2023 গুড ফ্রাইডের মুহূর্ত ও কেনাকাটার শুভ মুহূর্ত এবং তাৎপর্য। এই বছরের কবে গুড ফ্রাইডে? জেনে নিন কেনাকাটার পাশাপাশি উৎসবের শুভ সময় ও মুহূর্ত। এছাড়াও গুড ফ্রাইডের তাৎপর্য, পূজা বিধি এবং এই সময় কি কাজ করা উচিৎ ও কি না করা উচিৎ জানুন সবকিছু।
গুড ফ্রাইডে 2023 (Good Friday 2023): প্রতিবছর বিশ্বজুড়ে খ্রিস্টান ধর্মের মানুষেরা ইস্টারের আগে শুক্রবারে গুড ফ্রাইডে এই দিবসটি পালন করে থাকেন। তাছাড়া অনেকেই এই দিনটিতে উপবাস রাখেন এবং ব্রত পালন করেন। এই দিনটি খ্রিস্টানদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। আর এই উৎসবের অন্য নাম হলো হোলি ফ্রাইডে, অনেকে এই দিনটিকে ব্ল্যাক ফ্রাইডে বলেও চিহ্নিত করেন।
এই বছর গুড ফ্রাইডে 2023 কবে?
Good Friday Festival
7 April 2023
Friday
গুড ফ্রাইডের বাংলায় তারিখ
গুড ফ্রাইডে উৎসব
৭ এপ্রিল ২০২৩
শুক্রবার
খ্রিস্টান ধর্মে গুড ফ্রাইডে উৎসবটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। বিশ্বাস করা হয় যে, প্রভু যীশুকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার দিনটি ছিল শুক্রবার, সেই অনুসারে প্রভু যিশু নিঃস্বার্থ ভাবে মানবতার জন্য তার জীবন বিসর্জন দিয়েছেন। খ্রিস্টান ধর্মগ্রন্থ অনুসারে তার মৃত্যুর তৃতীয় দিনে যীশু আবার জীবিত হয়ে উঠেছিলেন এবং সেই দিনটি ছিল রবিবার, সেটা কে আবার ইস্টার সানডে হিসেবে সকলেই চেনেন।
2023 গুড ফ্রাইডে শুভেচ্ছা বার্তা ও স্ট্যাটাস ছবি
বেদনাদায়ক এই দিনটিকে “গুড” ফ্রাইডে কেন বলা হয় ?
তবে এক্ষেত্রে একটা প্রশ্ন অবশ্যই থেকে যায় যে, দিনটির সঙ্গে এমন বেদনাদায়ক ইতিহাস জড়িত থাকা সত্ত্বেও একে কেন গুড ফ্রাইডে বলা হয়। প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী এটি আসলে গডস ফ্রাইডে। অন্যদিকে অনেকেই মনে করেন যে এই ক্ষেত্রে গুড শব্দটির অর্থ হলো হোলি অথবা পবিত্র। এই দিনটি পবিত্র শুক্রবার হিসেবেও পরিচিত। সেই কারণে এদিন যীশুর শেষ ৭ টি বাক্যকে স্মরণ করা হয়ে থাকে।
তাছাড়া জানা যায় যে, পবিত্র শুক্রবারের তৃতীয় দিনে যীশু খ্রীষ্ট আবার পুনরুজ্জীবিত হন। দিনটি ছিল রবিবার, এরপর ৪০ দিন পর্যন্ত তিনি সকলকে উপদেশ দিয়ে যান। যীশুর পুনরজীবনের ঘটনাটি ইস্টার রবিবার হিসেবে পালিত হয়ে থাকে অর্থাৎ ইস্টার সানডে। এদিন সকালে প্রার্থনা করা হয়, একে আবার সানরাইজ সার্ভিসও বলা হয়।
যীশু খ্রীষ্ট ছিলেন সত্যিই ঈশ্বর পুত্র এবং সত্য, জয়ের বাণী প্রচার করে পবিত্র শুক্রবারের দিনটি মানুষের পাপের ফল ভোগ করে যীশুর আত্মত্যাগ থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় যে, তার মনে সকলের প্রতি অসীম ভালোবাসা ছিল। এই দিনটি যীশুর আত্ম বলিদান কে স্মরণ করার জন্য খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা খুবই ভক্তির সাথে কাটিয়ে থাকেন।