বিবেকানন্দ জয়ন্তী 2024 তারিখ ও সময় | Vivekananda Jayanti 2024 Date & Muhurat

বিবেকানন্দ জয়ন্তী 2024 তিথি ও সময় ভারতীয় সময় অনুসারে। কবে পড়েছে এবছরের বিবেকানন্দ জয়ন্তী 2024? বিবেকানন্দ জয়ন্তীর শুভ সময় কখন? জানুন 2024 বিবেকানন্দ জয়ন্তীর মুহূর্ত ও কেনাকাটার শুভ মুহূর্ত এবং তাৎপর্য। এই বছরের কবে বিবেকানন্দ জয়ন্তী? জেনে নিন কেনাকাটার পাশাপাশি উৎসবের শুভ সময় ও মুহূর্ত। এছাড়াও বিবেকানন্দ জয়ন্তীর তাৎপর্য, পূজা বিধি এবং এই সময় কি কাজ করা উচিৎ ও কি না করা উচিৎ জানুন সবকিছু।

বিবেকানন্দ জয়ন্তী তারিখ ও সময় | Vivekananda Jayanti Date & Muhurat
বিবেকানন্দ জয়ন্তী 2024 তারিখ ও সময় | Vivekananda Jayanti 2024 Date & Muhurat

বিবেকানন্দ জয়ন্তী 2024 (Vivekananda Jayanti 2024): স্বামী বিবেকানন্দের জন্ম তিথি উপলক্ষে এই জয়ন্তী উৎসব পালন করা হয়। স্বামী বিবেকানন্দ ছিলেন একজন হিন্দু সন্ন্যাসী, লেখক, দার্শনিক এবং উনবিংশ শতাব্দীর ভারতীয় অতিন্দ্রিয়বাদী রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের প্রধান শিষ্য। ১৮৬৩ সালের ১২ ই জানুয়ারি তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তার জন্ম নাম ছিল নরেন্দ্রনাথ দত্ত।

এই বছর বিবেকানন্দ জয়ন্তী 2024 কবে?

Swami Vivekananda Jayanti
12 January 2024
Friday

This is the 161th Jayanti of Swami Vivekananda

বিবেকানন্দ জয়ন্তীর বাংলায় তারিখ

স্বামী বিবেকানন্দ জয়ন্তী
১২ জানুয়ারী ২০২৪
শুক্রবার

এটি স্বামী বিবেকানন্দের ১৬১তম জয়ন্তী

 

স্বামী বিবেকানন্দ কলকাতা একটি উচ্চবিত্ত হিন্দু বাঙালি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ছোটবেলা থেকেই আধ্যাত্মিকতার প্রতি তিনি ছিলেন ভীষণভাবে আকৃষ্ট। তার গুরু রামকৃষ্ণ দেবের কাছ থেকে তিনি শিখেছিলেন সকল জীবই ঈশ্বরের প্রতিভু। তাই মানুষের সেবা করলে ঈশ্বরের সেবা করা যায়, সেই কারণেই তো বলা হয় যে, “জীবে প্রেম করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর।”

তিনি নরেন্দ্রনাথ দত্ত হিসেবেই ছোটবেলা থেকেই পরিচিত ছিলেন। তবে সন্ন্যাসী হওয়ার পরে তিনি যে নামটি গ্রহণ করেছিলেন সেটাই ছিল স্বামী বিবেকানন্দ। তাছাড়া তার মা তাকে বীরেশ্বর নামে ডাকতেন এবং ছোটবেলায় তাকে বিলে বলেও ডাকা হতো। পরে তার নাম রাখা হয়েছিল নরেন্দ্রনাথ দত্ত।

স্বামী বিবেকানন্দের কিছু অমৃত বাণী 2024:

স্বামী বিবেকানন্দ যুবকদের অনুপ্রেরণা বলা যায়। তিনি তার অমৃত বাণী দিয়ে তাদের জীবনকে শুধরে নেওয়ার অবকাশ দিয়েছেন।

চরিত্র গঠন করার জন্য ধীর ও অবিচলিত যত্ন এবং সত্য উপলব্ধির জন্য তীব্র প্রচেষ্টায় কেবল মানবজাতির ভবিষ্যৎ জীবনের উপর প্রভাব বিস্তার করতে পারে।

মানুষ মূর্খের মতো মনে করে স্বার্থপর উপায়ে সে নিজেকে সুখী করতে পারে। বহুকাল চেষ্টা পর অবশেষে বুঝতে পারে প্রকৃত সুখ স্বার্থপরতার নাশে, এবং সে নিজে ব্যতীত অপর কেওই তাকে সুখী করতে পারে না।

দর্শন বর্জিত ধর্ম কুসংস্কারে গিয়ে দাঁড়ায় আবার ধর্ম বর্জিত দর্শন শুধু নাস্তিকতায় পরিণত হয়। আমাদের নিম্ন শ্রেণীর জন্য কর্তব্য এই যে কেবলমাত্র তাদের শিক্ষা দেওয়া এবং তাদের বিনষ্ট প্রায় ব্যক্তিত্ববোধ জাগিয়ে তোলা।

জীবে প্রেম করে যেই জন সেই জন সেবিছে ঈশ্বর।

তিনি মানুষের কল্যাণে তার নিজের জীবনকে উৎসর্গ করে গেছেন। তাইতো তিনি সংসার ধর্মকে প্রাধান্য না দিয়ে সন্ন্যাস ধর্ম গ্রহণ করে সমগ্র বিশ্ব পরিক্রমা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এবং সমস্ত জায়গায় তার বক্তৃতার মাধ্যমে অমৃত বাণী প্রচার করার চেষ্টা করেছেন। আর সেই কারণে আজও জগৎবাসী তাকে এক নামে, স্বামী বিবেকানন্দ নামেই চেনে।

তারই জন্ম তারিখ উপলক্ষে তার জন্মবার্ষিকীতে জন্মদিন পালন করার মাধ্যমে স্বামী বিবেকানন্দ জয়ন্তী পালন করা হয়। এই দিনে তাকে স্মরণ করে শ্রদ্ধা জানানো এবং এমন একজন মানুষকে আমরা অনুপ্রেরণা হিসেবে পাওয়ার জন্য তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে থাকি।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top