Duare Ration Scheme 2024 (দুয়ারে রেশন প্রকল্প 2024-25): দুয়ারে রেশন প্রকল্প কি? কারা পাবেন দুয়ারে রেশন পকল্পের লাভ? কিভাবে দুয়ারে রেশন প্রকল্প আবেদন করবেন? জানুন দুয়ারে রেশন প্রকল্প 2024 সম্পর্কে সবকিছু এখানে।
একের পর এক প্রকল্প চালু হওয়ার পাশাপাশি দুয়ারে রেশন প্রকল্প 2024 চালু হয়েছে রাজ্যজুড়ে ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে। এই প্রকল্পকে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে একেবারে তৎপর হয়ে উঠেছে খাদ্য দপ্তর।
“দুয়ারে রেশন” ‘পাইলট প্রজেক্ট’ এর কর্মসূচি পরিদর্শন করতে রাজ্যের খাদ্য দপ্তরের আধিকারিকরা পৌঁছে যাচ্ছেন বিভিন্ন জায়গায় রেশন দোকানে। তাছাড়া জেলাস্তরে রেশন ডিলার দের নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকও করে ফেলেছেন তারা।
Scheme Name | Duare Ration Prakalpa 2024, West Bengal |
Announced by |
CM Mamata Banerjee |
Department |
Department of Food & Supplies, Govt. of West Bengal |
Beneficiary |
People Who Ration Card holders of West Bengal |
Objective |
To deliver Ration on doorstep of West Bengal People. |
Official website | wbpds.wb.gov.in |
দুয়ারে রেশন প্রকল্পের সুবিধা :
এ প্রকল্পের মাধ্যমে উপভোক্তাদের ঘরের দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছে যাবে রেশনের সমস্ত সামগ্রী। ইতিমধ্যে আপাতত ১৫% রেশন ডিলার দের নিয়ে রাজ্যজুড়ে ‘পাইলট প্রজেক্ট’ হিসেবে চালু হয়েছে দুয়ারে রেশন প্রকল্প।
তবে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ধীরে ধীরে সর্বত্রই এই প্রকল্প চালু করতে চায় খাদ্য দপ্তর।
তবে এই প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামোর দিকটি বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। উপভোক্তাদের বাড়িতে বাড়িতে রেশন সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার জন্য ডিলারদের গাড়ির ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।
তবে পরবর্তীকালে এই কাজের জন্য গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে রেশন ডিলাররা সরকারি ভর্তুকিও পাবেন।
রেশন ডিলার দের কিছু পদক্ষেপ :
উপভক্তাদের বাড়িতে বাড়িতে রেশনের সমস্ত সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার জন্য ডিলারদের অতিরিক্ত কর্মী নিয়োগ করতে হবে। এর ফলে ডিলারদের খরচ আরো বাড়তে পারে। ইতিমধ্যেই তাই প্রতি কুইন্টালে ৫০ টাকা কমিশন বারলো রেশন ডিলার দের।
তাছাড়া বায়োমেট্রিক করতে গেলে প্রতি কুইন্টাল আরো ২৫ টাকা করে মিলবে। সেহেতু বর্তমানে প্রতি কুইন্টাল এ ৭৫ টাকা করে কমিশন বাড়লো রেশন ডিলার দের। আপাতত সেই কমিশন বেড়ে ১২৫ টাকা হচ্ছে।
কিভাবে পাবেন ঘরের দরজায় রেশন সামগ্রী :
কেন্দ্রের নির্দেশ অনুযায়ী রেশন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ধরে রাখতে ই-কেওয়াইসি ব্যবস্থা আগেই চালু করেছে খাদ্য দপ্তর। তবে দুয়ারে রেশন পরিষেবার ক্ষেত্রে ‘পস’ মেশিনের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
সেক্ষেত্রে গ্রাহকদের চাহিদা মতো গ্রাহকদের পরিচয় যাচাই করে ছোট গাড়িতে করে রেশনের সামগ্রী সেই গ্রাহকের বাড়িতে পৌঁছে দেবেন ডিলাররা।
রেশনের সামগ্রী দেওয়ার আগে ‘পস’ মেশিনে গ্রাহকের আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে তার আধার নম্বর যাচাই করে নেয়া হবে। রেশন কার্ডের প্রকৃত গ্রাহকের হাতেই রেশন সামগ্রী পৌঁছাচ্ছে কিনা সেই বিষয়টা যাচাই করে দেখার জন্য এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
দুয়ারে রেশন ব্যবস্থার ক্ষেত্রেও ‘পস’ মেশিনে গ্রাহকের বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আর তাই স্বাভাবিকভাবেই আধার নম্বর লিঙ্ক করা জরুরী ও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
এর জন্য ডিজিটাল রেশন কার্ড ও আধার কার্ড নিয়ে সংশ্লিষ্ট রেশন ডিলারের কাছে যেতে হবে। রেশন দোকানের ইলেকট্রনিক্স পয়েন্ট অব সেলস (ই-পস) যন্ত্রে এই সংযুক্তিকরণ হবে অথবা লিংক হবে।
কিছু নিয়মাবলী :
উপভোক্তাদের প্রাপ্য পরিমাণ অনুযায়ী তাদের ই-পস যন্ত্রের মাধ্যমে যথাযথভাবে বায়োমেট্রিক হওয়ার পরেই রেশনের খাদ্যদ্রব্য বিতরণ করতে হবে।
গ্রাহকদের সমস্ত খাদ্যশস্য একবারই দিতে হবে। পরিবারের যেকোনো একজন সদস্যের বায়োমেট্রিক হলেই এই প্রকল্পের অধীনে থাকা পরিবারের সকল সদস্যরা তাদের প্রাপ্য খাদ্যশস্য পাবেন অনায়াসেই।
তবে রেশন সরবরাহের দিন কোন গ্রাহক যদি বাড়িতে উপস্থিত না থাকেন, সেক্ষেত্রে কিন্তু রাজ্য খাদ্য ও সরবরাহ দপ্তর এর নির্ধারিত করা দিনেই রেশন দোকান খোলা থাকবে। আর যেদিন রেশন বাড়িতে দেওয়ার দিন নির্ধারিত করা হবে, সেদিন গ্রহীতারা ডোরস্টেপ ডেলিভারির মাধ্যমে রেশনের খাদ্য সামগ্রী বাড়িতেই পাবেন।
এক্ষেত্রে যদি কোন এলাকায় মোবাইলের নেটওয়ার্ক কাজ না করে সেক্ষেত্রে রেশন ডিলারকে ই-পস মেশিনে বিভিন্ন ইন্টারনেট প্রোভাইডারদের সিম নিতে হবে।
রেশন ডিলার দের খতিয়ে দেখতে হবে যে, নির্দিষ্ট এলাকায় কোন সংস্থার ইন্টারনেট পরিষেবা ভালো কাজ করছে। এক্ষেত্রে দুয়ারে রেশন প্রকল্পের অধীনে খাদ্যশস্য বিতরণ এর কাজ করার জন্য রেশন ডিলার দের প্রাপ্য কমিশন বিবেচনা করবে রাজ্য সরকার।
প্রত্যেকটি এলাককে একাধিক ক্লাস্টারে ভাগ করতে হবে। একই সঙ্গে প্রতিটি ক্লাস্টারে খাদ্যশস্য বিতরনের জন্য প্রত্যেক সপ্তাহে একটি নির্দিষ্ট দিন ধার্য করতে হবে। প্রতি সপ্তাহের মঙ্গল, বুধ, বৃহস্পতি, ও শুক্রবার দুয়ারে রেশন প্রকল্পের মাধ্যমে খাদ্যশস্য বিতরণ করতে হবে। আর প্রতি শনিবার রেশন দোকান থেকে খাদ্যশস্য বিতরণ করা হবে।
এক্ষেত্রে যারা কোনো জরুরি কারণে বাড়িতে খাদ্যশস্য সংগ্রহ করতে পারেন নি, তারা ওইদিনই রেশন দোকানে গিয়ে তা সংগ্রহ করতে পারবেন অনায়াসেই।
করোনা অতিমারির মধ্যে রাজ্যের দুয়ারে রেশন প্রকল্প 2024 একটি মহৎ প্রকল্প। একটা অদৃশ্য ভাইরাস আমাদের সম্পূর্ণ জীবনযাত্রাকে পাল্টে দিতে পেরেছে, গৃহবন্দি থাকার পাশাপাশি বাজারে ভিড় ঠেলে বাজার করাটাও হয়ে উঠেছে কষ্টসাধ্য।
তাই এই অবস্থায় দুয়ারে রেশন প্রকল্প সাধারণ মানুষের অনেক সুবিধা করে দেবে। সশরীরে রেশন দোকানে ভীড় না জমিয়ে ঘরে বসেই দুয়ারে রেশনের সামগ্রী পেয়ে যেতে পারেন উপভোক্তারা।
প্রাণে বাঁচতে গৃহবন্দি হওয়ার পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রের ধারণা বদলেছে, তার পাশাপাশি ঘরে থেকে কাজ করার অভিজ্ঞতাও তৈরি করতে হয়েছে অনেকের।
প্রতিটি কাজে কোনো না কোনো বাধা থাকে, তাই এই প্রকল্পের ক্ষেত্রেও কিন্তু ব্যতিক্রম হয়নি। তবে সব বাধা পার করে উপভোক্তাদের দুয়ারে দুয়ারে রেশন পৌঁছে যাবে।
এক্ষেত্রে খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের দাবি, “এই দুয়ারে রেশন প্রকল্পের চালু হওয়ার আগে সমস্ত রেশন ডিলার দের ডেকে প্রকল্প সম্পর্কে বুঝিয়েছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের ভালো করার উদ্দেশ্যে এই প্রকল্প শুরু করেছেন।”
অনেক উপভোক্তা আছেন অনেক বয়স্ক, ঘরে বসে দুয়ারে রেশন প্রকল্পের রেশন সামগ্রী যদি পেয়ে যান তাহলে অনেকটাই সুবিধা হয়। সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে এটা একটা সুবিধাজনক প্রকল্প বটে।