গণেশ চতুর্থী 2024 তিথি ও সময় ভারতীয় সময় অনুসারে। কবে পড়েছে এবছরের গণেশ চতুর্থী? গণেশ চতুর্থীর শুভ সময় কখন? জানুন গণেশ চতুর্থীর মুহূর্ত ও কেনাকাটার শুভ মুহূর্ত এবং তাৎপর্য।
এই বছরের কবে গণেশ চতুর্থী? জেনে নিন কেনাকাটার পাশাপাশি উৎসবের শুভ সময় ও মুহূর্ত। এছাড়াও গণেশ চতুর্থীর তাৎপর্য, পূজা বিধি এবং এই সময় কি কাজ করা উচিৎ ও কি না করা উচিৎ জানুন সবকিছু।
গণেশ চতুর্থী 2024 (Ganesh Chaturthi 2024): গণেশ পূজা ভারতের সর্বত্রই অনুষ্ঠিত হলেও, এই উৎসবটি বিশেষ করে কর্ণাটক, রাজস্থান, মহারাষ্ট্র অথবা মুম্বাই, মধ্যপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, গুজরাট, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা ও ছত্রিশগড় রাজ্যে খুবই ধুমধাম করে পালন করা হয়। তাছাড়া শ্রীলঙ্কা তে তামিল হিন্দুরাও এই গণেশ উৎসব ধুমধাম ভাবে পালন করে থাকেন।
কথিত আছে যে, সমস্ত শুভ কাজের শুরু হয় শ্রী গনেশের নাম নিয়ে। আর তাই সমস্ত কাজের সফলতাও আসে। গণেশ পূজা বাদ দিয়ে কোন পূজাই সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। দেবতাদের মধ্যে তাকেই প্রথম পুজ্য বলে গণ্য করা হয়।
এছাড়া গণেশের প্রায় ১০৮ টি নাম আছে, এর মধ্যে গজানন, গণপতি, বিনায়ক এবং বিঘ্নরাজ, এই নামগুলি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তার পাশাপাশি গণেশ হলেন সমৃদ্ধির প্রতীক, তাই তার আরেক নাম হলো সিদ্ধিদাতা গণেশ।
এই বছর গণেশ চতুর্থী 2024 কবে?
Ganesh Chaturthi Puja
7 September 2024
(Saturday)Chaturthi Muhurat start
03:00 PM on 06 September 2024
Chaturthi Muhurat End
05:30 PM on 07 September 2024
বাংলাতে তারিখ
গণেশ চতুর্থী পূজা
৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
(মঙ্গলবার)চতুর্থী মুহূর্ত শুরু
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ দুপুর ৩ঃ০০ টায়
চতুর্থী মুহূর্ত শেষ
৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ বিকাল ৫ঃ৩০ টায়
জীবনে অনেক সমস্যা থাকে সমস্ত রকম সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন এবং যা বাধা-বিপত্তি আছে সেগুলি নাশ করেন সিদ্ধিদাতা গণেশ। ব্যক্তিগত এবং পেশাগত জীবনের নানা রকম সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ভক্তরা গণেশ চতুর্থী পূজা পালন করে থাকেন।
গণেশ চতুর্থীর শেষ দিনকে বলা হয় অনন্ত চতুর্দশী। আর ১১ তম দিনে গণেশ কে ভাসানো হয়ে থাকে গঙ্গায় অথবা এখন অনেকে বড় বড় জলের ট্রাঙ্ক তৈরি করে সেখানে গণেশের মূর্তি ভাসিয়ে থাকেন।
গণেশ চতুর্থী পূজা করার বিধি:
- এই দিনে তাড়াতাড়ি উঠে স্নান সেরে বাড়ির মন্দির পরিষ্কার করে ফেলুন।
- এরপর ভগবান গণেশের মূর্তি বা পটে নতুন ধুতি ও পৈতে জড়িয়ে, চৌকিতে লাল চেলি পেতে আসনে বসান।
- প্রথমত নির্জলা উপবাস করে পূজায় বসতে হয়।
- নিয়ম অনুযায়ী দুপুরে শুরু হয় সিদ্ধিদাতার আরাধনা, কারণ শাস্ত্র মতে বলা হয়েছে যে, ভরা মধ্যাহ্নে জন্মগ্রহণ করেছিলেন গৌরী পুত্র গণেশ।
- মন্ত্র জপ করে ষোড়শ উপাচারে সিদ্ধি বিনায়কের পূজা করতে হয়।
- পুজা শুরুর ক্ষেত্রে ঘি এর প্রদ্বীপ জ্বালিয়ে সংকল্প করতে হয়।
- তারপরে মন্ত্র জপ করে মূর্তি প্রতিষ্ঠা করতে হয়, মূর্তি স্নান এবং দেবতাকে ভোগ উৎসর্গ করতে হয়।
- দুর্বা ঘাস, ফুল দিয়ে সাজিয়ে লাড্ডু অথবা মোদক দিতে হবে ভোগে।
- এরপর যাবতীয় নৈবেদ্য সাজিয়ে দিন। কর্পূর এবং ধুপ দেখিয়ে আরতি করুন, ভোগ দেওয়ার আগে গঙ্গা জল ছিটিয়ে পরিস্কার করে নেবেন সেই জায়গাটি।
- আর হ্যাঁ, সব থেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো এবং খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, গণেশ পূজায় কখনোই কিন্তু তুলসী পাতার ব্যবহার করবেন না।
আমাদের বাংলায় যেমন দুর্গাপূজা বেশ কিছুদিন ধরে ধুমধাম ভাবে অনুষ্ঠিত হয় এবং চারিদিকে জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশ পরিলক্ষিত হয়, তেমনি কিন্তু মুম্বাইতে এই গণেশ চতুর্থী অর্থাৎ গনেশ পূজা দশ দিনব্যাপী এতটাই ধুমধাম ভাবে অনুষ্ঠিত হয় যে, সেটা আমাদের বাংলায় দুর্গাপুজোর সাথে তুলনা করা যেতেই পারে। কত বড় বড় গণেশের মূর্তি এবং বড় বড় মণ্ডপে পূজা, সমস্তই মহারাষ্ট্র অথবা মুম্বাইবাসী ভীষণভাবে উপভোগ করেন।