West Bengal Parliamentary Affairs Department: সংসদীয় গণতন্ত্র এক প্রকারের রাজনৈতিক শাসন ব্যবস্থা। জাতীয় সর্বময় ক্ষমতা জনগণের দ্বারা নির্বাচিত সংসদ এর উপর ন্যস্ত থাকে। এই ব্যবস্থায় সরকার প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন প্রধানমন্ত্রী।
Parliamentary Affairs Department:
সংসদীয় সরকারের এবং সংসদীয় দপ্তরের গুণ বা সুবিধাগুলি জানা যাক:
#১) আইন ও শাসন বিভাগের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক: (Close relationship of law and order department)
সংসদীয় শাসন ব্যবস্থায় আইনসভার নিম্নকক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন কারি দল সরকার গঠন করে। এই জন্য শাসন বিভাগের মধ্যে ঐক্য বজায় থাকে।
তার ফলে সরকারের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরী হয় এবং বিভাগের মধ্যে কোন বিরোধ না থাকায় সাংবিধানিক ও প্রশাসনিক অচলাবস্থা আশঙ্কা দেখা যায় না।
#২) গণতন্ত্র সম্মত: (Democracy agrees)
সংসদীয় শাসন ব্যবস্থায় জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত মন্ত্রিপরিষদ হলো দেশের শাসন বিভাগের প্রকৃত কর্ণধার মন্ত্রিপরিষদ তার যাবতীয় কাজ কর্মের জন্য আইনসভার কাছে দায়িত্বশীল পরিষদের স্বেচ্ছাচারী হয়ে ওঠার কোনো সুযোগ থাকেনা।
মন্ত্রিপরিষদ জনস্বার্থবিরোধী কোন পদক্ষেপ নিলে আইন সভায় বিরোধী পক্ষের সদস্যরা তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে পারে। প্রয়োজন হলে অনাস্থা প্রস্তাব গ্রহণের মাধ্যমে মন্ত্রিপরিষদকে পদচ্যুত করার ক্ষমতা ও আইনসভা রয়েছে।
-
-
পশ্চিমবঙ্গের জমি সংক্রান্ত আইন ও সম্পত্তি ভাগাভাগি আইন জেনে নিন
-
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা গ্রামীণ নামের তালিকা, নতুন তালিকায় নিজের নাম দেখুন
-
-
-
-
জমি কেনার জন্য লোন কিভাবে পাবেন আর কি কি করতে হবে, সবকিছু জেনে নিন
-
পশ্চিমবঙ্গ ভূমি আইন ও ভুমির তথ্য অনলাইনে জেনে নিন বাড়িতে বসে
#৩) কোমলতা ও নমনীয়তা: (Tenderness and flexibility)
সংসদীয় শাসন ব্যবস্থার অন্যতম প্রধান গুণ হলো এটি এমন একটি নমনীয় শাসন ব্যবস্থা যেখানে পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে প্রশাসন বা সরকারের প্রয়োজনমাফিক রদবদলের সুযোগ রয়েছে। সংসদীয় শাসন ব্যবস্থায় সরকার পরিবর্তন অনেক বেশি সহজ সাধ্য।
#৪) রাজনৈতিক শিক্ষাবিস্তার: (Political education)
সংসদীয় শাসন ব্যবস্থা সরকারি নীতি সরকারি কার্যক্রম এবং মুলতবি প্রস্তাব ও দৃষ্টি আকর্ষণীয় প্রস্তাব এর মাধ্যমে বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কে আইন সভায় যেসব আলোচনা করা হয়, তা গণমাধ্যমের মধ্যে দিয়ে প্রচারিত হয়, জনগণের মধ্যে রাজনৈতিক শিক্ষার বিস্তার ঘটে।
#৫) আন্তর্জাতিক সুনাম: (International reputation)
সংসদীয় শাসন ব্যবস্থায় নিয়ম তান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রধানের পদে জ্ঞানী গুণী ব্যক্তি কে নিয়োগ করা সম্ভব হয়। এর ফলে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের সুনাম বৃদ্ধি পায়। উদাহরণ হিসেবে ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি বিশ্ব বিখ্যাত দার্শনিক ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রথিতযশা বিজ্ঞানী এ পি জে আবদুল কালামের কথা বলা যায়।
#৬) প্রশাসনিক স্বচ্ছতা: (Administrative transparency)
সংসদীয় শাসন ব্যবস্থায় সরকারের পক্ষে কোনো সিদ্ধান্ত আইনসভা কে না জানিয়ে গ্রহণ করা সম্ভব নয়। যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আইন সভায় সবিস্তারে আলোচিত হওয়ার পর বাস্তবে রূপায়িত করা হয়। এর ফলে প্রশাসনিক স্বচ্ছতা বজায় থাকে বলে অনেকে মনে করেন।
#৭) বিরোধী দলের মর্যাদা: (The dignity of the opposition)
সংসদীয় শাসন ব্যবস্থার একটি প্রধান গুণ হলো এই ধরনের শাসন ব্যবস্থায় বিরোধীপক্ষের মর্যাদা ও গুরুত্ব স্বীকৃত হয়েছে। আইন সভায় বিরোধী দলনেতা এখানে স্বতন্ত্র মর্যাদা ও সম্মানের ভূষিত হন।
তাছাড়া আইনসভার অধিবেশনে সরকারের যাবতীয় নীতি ও কর্মসূচি ত্রুটি-বিচ্যুতি তুলে ধরে অবাধ সমালোচনা করার অধিকার বিরোধী পক্ষের থাকে। এর ফলে সংসদীয় গণতন্ত্র অধিকতর জনমুখী ও সাফল্য মন্ডিত হয়ে ওঠে।
Parliamentary Affairs Department এর কাজ:
#১) জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দ্বারা শাসনকার্য পরিচালিত হয় বলে উৎকৃষ্ট আইন ও উন্নত ধরনের শাসন ব্যবস্থায় সম্ভবপর যেখানে জনমতের প্রাধান্য থাকে।
#২) এ শাসন ব্যবস্থা সহজে পরিবর্তনীয় মন্ত্রিসভায় অযোগ্য হলে আইনসভা তাদের ক্ষমতাচ্যুত করতে পারে।
#৩) আবার আইনসভা জনমতের বিরোধী হলে রাষ্ট্রপ্রধান মন্ত্রিসভার পরামর্শ আইনসভা ভেঙে দিতে পারেন। এই ব্যবস্থায় এভাবে ভারসাম্য বজায় রাখা হয়।
#৪) সংসদের কোনো দল যদি সরকার গঠনের মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় তখন কোয়ালিশন সরকার গঠনের মাধ্যমে সঙ্কট কাটানো যায়।
#৫) এই ব্যবস্থায় বিরোধী দল ছাড়া সরকার গঠন করে সরকারি দলের বিভিন্ন কাজের গঠনমূলক সমালোচনা করে বিরোধী দলের কারণে সরকার ও জনকল্যাণ মূলক কাজের প্রতি সচেষ্ট থাকে।
Parliamentary Affairs Department এর ওয়েবসাইট:
এই ডিপার্টমেন্টের ওয়েবসাইটটি হল: www.wbpad.gov.in এই ওয়েবসাইটের মধ্যে দিয়ে এই ডিপার্টমেন্টে যাবতীয় তথ্য জানতে পারা যায়।
Parliamentary Affairs Department এর ওয়েবসাইটের কাজ:
সংসদীয় বিষয়ক দপ্তরের www.wbpad.gov.in এই ওয়েবসাইটের মধ্যে দিয়ে এই ডিপার্টমেন্টের বিভিন্ন ধরনের কার্যকারিতা সিদ্ধান্ত সম্পর্কে জানা যায় খুব সহজেই।
এই বিভাগে একজন নিয়ম তান্ত্রিক রাষ্ট্রপ্রধান থাকে। যিনি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নির্বাচিত হন অথবা উত্তরাধিকারসূত্রে রাষ্ট্রপ্রধান হবে আইন সবার নিকট দায়িত্বশীল সরকার ব্যবস্থা বলাই বাহুল্য যে, এই ধরনের সরকার ব্যবস্থায় সংসদের প্রাধান্য থাকে। আইনসভা একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নির্বাচিত হয় কিন্তু সংকট কালে মেয়াদের পূর্বে রাষ্ট্রপ্রধান সংসদ ভেঙে দিতে পারেন।
সবচেয়ে বড় বিষয় হলো দায়িত্বশীলতা। এই বিভাগ জনগণের মতামতকে বিশেষভাবে গুরুত্ব প্রদান করে তাদের সম্পাদন করে থাকে।
Parliamentary Affairs Department এর বিশেষ কিছু তথ্য:
এই ডিপার্টমেন্টের Minister-in-Charge:
ডঃ পার্থ চ্যাটার্জি ঠিকানা: বিকাশ ভবন, 5th floor, East block, sector l, Salt Lake City, Kolkata-700091 & নবান্ন, HRBC বিল্ডিং, 1st floor, 325 শরৎ চ্যাটার্জি রোড, মন্দিরতলা, শিবপুর, হাওড়া- 711102 ফোন নাম্বার: 2334 6181/ ফ্যাক্স: 2214 2076 ইমেইল এড্রেস: michighede@wb.gov.in |
এই ডিপার্টমেন্টের মিনিস্টার অফ স্টেট:
শ্রীমতি সন্ধ্যারানি টুডু ঠিকানা: বিকাশ ভবন, 5th floor, East block, sector l, Salt Lake City, Kolkata-700091 ফোন নাম্বার: 2334 3938/2334 4791 ফ্যাক্স: 2334 3938 ইমেইল এড্রেস: mos.meels@gmail.com |
এই ডিপার্টমেন্টের অ্যাডিশনাল চিফ সেক্রেটারি
শ্রী বি.পি. গোপালিকা, IAS ঠিকানা: নবান্ন, HRBC বিল্ডিং, 13th floor, 325 শরৎ চ্যাটার্জি রোড, মন্দিরতলা, শিবপুর, হাওড়া- 711102 ফোন নাম্বার: 2214 56 56/4073 (Extn) ফ্যাক্স: 2214 300 1 ইমেইল এড্রেস: wb.secyhome@gmail.com |
এই ডিপার্টমেন্টের Nodal অফিসার:
NA ঠিকানা: রাইটার্স বিল্ডিং, G- block, 1st floor, Kolkata- 700001 ফোন নাম্বার: 2214 1758 ফ্যাক্স: 2214 20 76 ইমেইল এড্রেস: jtsecpa@gmail.com |
Official Website | Click here |
Home | Click Here |