Agriculture Department of West Bengal: এগ্রিকালচার এর উপর সাধারণ মানুষের জীবনধারা নির্ভর করে। কারণ এগ্রিকালচার এর মধ্যে সমস্ত রকম খাদ্যদ্রব্য উৎপন্ন থেকে শুরু করে বিভিন্ন রকমের চাষাবাদ গড়ে উঠেছে। বিভিন্ন রকমের শস্য পণ্য কে কেন্দ্র করে অনেকে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন।
এগ্রিকালচার ডিপার্টমেন্ট: পশ্চিমবঙ্গ একটি কৃষিপ্রধান রাজ্য। যেখানে ৭১.২৩ লাখ ফার্ম ফ্যামিলি রয়েছে। ৯৬ শতাংশ তারমধ্যে ছোট এবং মাঝারি ফার্মার চাষী রয়েছে। বলতে গেলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের প্রত্যেকটি কৃষি বিভাগ গুলি। মোট চাষির এরিয়া ৫২.০৫ লাখ হেক্টর যা কিনা ৬৮% ভৌগলিক এরিয়া এবং ৯২% এরমধ্যে কৃষি কাজের জন্য উপযুক্ত এরিয়া অথবা জমি।
এগ্রিকালচার সম্পূর্ণ প্রকৃতি মুখে যেখানে নানারকম প্রাকৃতিক শাকসবজি, শস্য, উৎপাদন হয়ে থাকে। তাছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে বাঁচার এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার শস্য, তার জন্য এই ডিপারটমেন্ট চাষীদের সব রকম ভাবে সহায়তা করতে পারে।
যেমন ধরুন- প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে সাইক্লোন, বন্যা, অতিবৃষ্টি, খরা ইত্যাদি। পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এগ্রিকালচার দ্রব্য হল চাল, শাক সবজি, আলু, ইত্যাদি। যা পশ্চিমবঙ্গে বেশি পরিমাণে উৎপন্ন হয়। এছাড়াও রয়েছে সূর্যমুখী, সরিষা যা থেকে তেল তৈরি হয়।
এইসব কাজের ক্ষেত্রে অনেক সময় অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় চাষীদের। চাষের উপর নির্ভর করে সম্পূর্ণ জীবনযাত্রা। আমাদের খাদ্যদ্রব্য চাষাবাদের মধ্যে দিয়েই তো তৈরি হয়। পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই এগ্রিকালচার ডিপার্টমেন্ট (Agriculture Department) এর মাধ্যমে কৃষিকাজ কে আরো বেশি উন্নত করার জন্য বিভিন্ন রকম পন্থা অবলম্বন করে থাকে।
-
যে কোন লোনের জন্য আবেদন করুন অনলাইনে 👇
₹ হোম লোন • ₹ পার্সোনাল লোন • ₹ বাইক লোন • ₹ কার লোন • ₹ বিজনেস লোন • ₹ শিক্ষা লোন -
কেন্দ্র সরকারের সমস্ত যোজনা ও আবেদন পদ্ধতি
-
-
-
যা থেকে যেমন কৃষি কাজে উন্নতি সাধন হয় তেমনি কৃষকরা ব্যাপকভাবে সহায়তা পায়। তার জন্য কয়েকজনকে এই ডিপারমেন্ট দেখাশোনার দায়িত্বে রাখা হয়েছে। বিভিন্ন রকম কৃষি প্রকল্প, কৃষক ভাতা, কৃষিকাজের উন্নতি সাধনের জন্য অনুদান, সবকিছু মিলে মিশে একেবারে এগ্রিকালচার ডিপারটমেন্ট অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।
এগ্রিকালচার ডিপার্টমেন্ট এর কাজ:
এগ্রিকালচার এর মধ্যে বিভিন্ন রকমের শস্য উৎপন্ন এবং নানা রকমের চাষ আবাদ কে ধরা হয়। ধান, গম বিভিন্ন রকমের সবজি, সরিষা থেকে তেল উৎপন্ন হয়। মাছ চাষ, মুরগি, হাঁস চাষ, বিভিন্ন রকম খাদ্যদ্রব্য উৎপন্ন কে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে এগ্রিকালচার।
তবে এই এগ্রিকালচার ডিপার্টমেন্টের কাজ হলো কৃষিকাজ কে আরো বেশি উন্নতি সাধনের দিকে নিয়ে যাওয়া। আরো বেশী উন্নত প্রযুক্তিতে চাষাবাদ করা। চাষীদেরকে চাষাবাদে উৎসাহিত করা। উন্নত মানের খাদ্যদ্রব্য উৎপন্নের দিকে খেয়াল রাখা, তাছাড়া বিভিন্ন রকম যান্ত্রিক ব্যবহারও আজকাল চাষের ক্ষেত্রে প্রচুর পরিমাণে বেড়ে গিয়েছে।
তার ভূমিকা পালন করে এগ্রিকালচার ডিপার্টমেন্ট। আবার ধরুন কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে চাষের অনেকটাই ক্ষতি হয়ে যায়। যার কারনে চাষীদের মাথায় হাত পড়া থেকে শুরু করে অনেকটাই ক্ষতি হয়ে যায় খাদ্যশস্যেরও। এমন অবস্থায় অনেক কৃষক আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন।
সেক্ষেত্রে এগ্রিকালচার ডিপার্টমেন্ট প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া চাষীদের ক্ষতিপূরণ এবং আবার নতুন করে চাষে আগ্রহী হওয়ার জন্য অনুদান, সবকিছু মিলিয়ে এগ্রিকালচার কে আরো বেশি উন্নত সাধন করে চলেছে। ভবিষ্যতে আরো বেশি উন্নত হবে আশা করা যায়। বিভিন্ন রকমের প্রকল্প চালু করার মাধ্যমে কৃষকরা উপকৃত হচ্ছেন।
এগ্রিকালচার ডিপার্টমেন্ট এর ওয়েবসাইট:
এখন সবকিছু অনলাইনের মাধ্যমে কাজ সম্পন্ন হওয়ার জন্য বিভিন্ন রকম ওয়েবসাইটের মাধ্যমে মানুষ সেই আসল জায়গা তে গিয়ে পৌঁছান।
কোন বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করার জন্য ওয়েবসাইট বিশেষ ভূমিকা পালন করে। তেমনি এগ্রিকালচার ডিপার্টমেন্ট এর একটি ওয়েব সাইট আছে, যেখানে থেকে বিভিন্ন রকম তথ্য আপনি পেতে পারেন।
(Agriculture Department of West Bengal Website) এগ্রিকালচার ডিপার্টমেন্ট এর ওয়েবসাইটটি হল: www.matirkatha.gov.in এই পোর্টাল এ গিয়ে এই ডিপার্টমেন্টের বিষয়ে অথবা আপনি যে বিষয়ে জানতে চান সেটা ঘরে বসেই অনলাইনে ফোনের মাধ্যমে জানতে পারবেন আপনি।
এগ্রিকালচার ডিপার্টমেন্ট লঞ্চ করেছে আইসিটি agriextension পোর্টাল মাটির কথা একটি অসাধারণ প্ল্যাটফর্ম এবং সমস্ত রকম সমস্যার সমাধান পেতে পারে চাষিরা এই ওয়েবসাইট থেকে।
এগ্রিকালচার ডিপার্টমেন্ট এর ওয়েবসাইট এ কি কি কাজ হয়:
বিভিন্ন রকম টেকনোলজি ব্যবহার করে আজকের দিনে কৃষিকাজ অনেকটা উন্নত। তার ওপর কষ্ট কমেছে কৃষকদের।
উন্নতমানের কৃষিকাজের জন্য প্রয়োজন পড়ে উন্নত মানের বীজ, ফার্টিলাইজার অথবা স্যার, কীটনাশক, ভালো ফলনের জন্য টেকনোলজি, মাটি পরীক্ষা এবং মাটি পরীক্ষার সার্টিফিকেট শস্য উৎপাদনের প্লান বিভিন্ন রকমের কোয়ালিটি চেক করা ইত্যাদি সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাওয়া যায় ওয়েবসাইট থেকে।
কৃষকের সব রকম সমস্যার সমাধান করার জন্য ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কৃষক অনায়াসেই তাদের কৃষিকাজ উন্নতি সাধনের পরামর্শ পেয়ে যান।
এগ্রিকালচার ডিপার্টমেন্ট এর আরো বেশ কিছু তথ্য:
এই ডিপার্টমেন্টের Minister-in-charge
শ্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ঠিকানা: নবান্ন 3rd ফ্লোর 325 শরৎ চ্যাটার্জি রোড মন্দিরতলা শিবপুর হাওড়া- 711102 ফোন নাম্বার: 2214-1778,2253-5181 ফ্যাক্স: 2214-5757 ইমেইল এড্রেস: [email protected] |
এই ডিপার্টমেন্টের সেক্রেটারি:
শ্রী ওঙ্কার সিং মিনা, আইএএস ঠিকানা: নবান্ন 3rd floor 325 শরৎ চ্যাটার্জি রোড মন্দিরতলা শিবপুর হাওড়া-711102 ফোন নাম্বার: 2253-5124,2250-1057 ফ্যাক্স: 2214-3045 ইমেইল এড্রেস: [email protected] |
এই ডিপার্টমেন্টের Nodal অফিসার
শ্রী জিতেন্দ্র রায় স্পেশাল সেক্রেটারি ঠিকানা: নবান্ন 3rd floor শরৎ চ্যাটার্জি রোড মন্দিরতলা শিবপুর হাওড়া- 711102 ফোন নাম্বার: 2253-5439 ফ্যাক্স: 2214-1934 ইমেইল এড্রেস: [email protected] |
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বেশিরভাগ মানুষ কৃষিকাজ কে পেশা হিসেবে বেছে নিয়ে নিজেদের জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। সেই দিক দিয়ে বিবেচনা করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার কৃষকদের আরো বেশি উন্নতি সাধনের দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন রকম প্রকল্পের মাধ্যমে হোক অথবা বিভিন্ন রকমের সহায়তার মাধ্যমে, এগ্রিকালচার কে এগিয়ে নিয়ে চলেছে।
আজকের দিনে দাঁড়িয়ে উন্নত প্রযুক্তিতে সবকিছু মোবাইল অথবা কম্পিউটার এর মাধ্যমে সমস্ত কাজকে সহজ করে তুলতে সক্ষম হয়েছে সাধারণ মানুষ। কৃষিকাজে খুঁটিনাটি তথ্য সংগ্রহ এবং বিভিন্ন রকমের সহায়তা পাওয়ার ক্ষেত্রে ডিপারমেন্ট গুলি বিশেষভাবে সাহায়তা করে।
অসময়ে পাশে থাকে এবং বিপর্যয়, সমস্যায় সমাধানের পথ দেখিয়ে আবার নতুনভাবে শুরু করার উৎসাহ প্রদান করা হয় এই ডিপার্টমেন্টের মধ্যে দিয়ে।
অনেক অভিজ্ঞতা সম্পন্ন এক্সপার্ট দের কাছ থেকে চাষের জন্য পরামর্শ, উন্নত মানের বীজ, কীটনাশক, মাটি পরীক্ষা, সবকিছু আজ ঘরে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে জানা যাচ্ছে এবং যোগাযোগের মাধ্যমে সেগুলো বাস্তবে রূপান্তরিতও করা যাচ্ছে।