কমদামে কেনা জমি একটা সময়ের পর অনেক বেশি দামে বিক্রি করে মানুষ টাকা আয় করতে পারে। এভাবে অনেকেই জমি কিনে লাভবান হয়ে থাকেন।
কিন্তু সমস্যা হলো ভারতের আইন অনুযায়ী জমি বিক্রি করে সরকারকে একটা নির্দিষ্ট পরিমানে ট্যাক্স দিতে হয়। আপনি জমি বিক্রি করে লাভবান হলে আপনাকে ভারতীয় সরকারকে ট্যাক্স দিতে হবে।
এভাবে আপনার জমি থেকে প্রাপ্ত লাভের অংক কমে যেতে পারে। তাই জমি বিক্রি করার সময় যদি ট্যাক্স বাঁচানো যায়, তাহলে অনেক টাকা বেচে যায়।
আমাদের এখন কিভাবে জমি বিক্রি করার সময় ট্যাক্স দেয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যায় তা নিয়ে জানা উচিত।
আজ আমরা আপনাদের সাথে জমি বিক্রির সময় কিভাবে ট্যাক্স বাঁচানো যায়, তা নিয়ে আলোচনা করবো। এতে করে আপনারা জমি বিক্রি করলে অনেক টাকা ট্যাক্স দেয়া হতে রক্ষা পাবেন।
₹ হোম লোন • ₹ পার্সোনাল লোন • ₹ বাইক লোন • ₹ কার লোন • ₹ বিজনেস লোন • ₹ শিক্ষা লোন
সেই সাথে জমি বিক্রি করে লাভবান হতে পারবেন। আসুন দেখে নিই, কিভাবে জমি কেনার সময় ট্যাক্স দেয়া বাঁচাতে পারি।
কি কি উপায়ে আমরা জমি কেনার সময় ট্যাক্স দেয়া থেকে বাঁচতে পারি?
বিভিন্ন উপায়ে জমি কেনার সময় ট্যাক্স দেয়া থেকে বাঁচতে পারি। এসকল উপায় ব্যবহার করে আমরা বিপুল পরিমান ট্যাক্সের হাত হতে রক্ষা পেতে পারি।
নিচে আপনার এসকল কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করছি।
সেকশন 54F অনুযায়ী কোন আবাসিক সম্পত্তি কেনা বা নির্মান করা হলে
পুরোনো বাড়ি বিক্রি করে নতুন বাড়ি কেনা একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। অনেকেই নতুন বাড়ি কেনার সময় তার পুরোনো বাড়ী বিক্রি করে থাকেন।
এতে করে পুরোনো বাড়ি বিক্রি করে অর্থ পাওয়া যায়। তাই বাড়ি বিক্রি করার সময় কিছু নিয়ম মেনে চললেই আপনি ট্যাক্স দেয়া হতে রক্ষা পেতে পারেন।
১) জমি বিক্রি থেকে পাওয়া টাকায় অন্য বাড়ি কিনলে বা নির্মান করলে।
২) পুরোনো বাড়ি বিক্রির ১ বছর আগে অথবা ২ বছর পরে নতুন বাড়ি ক্রয় করলে।
৩) নতুন বাড়িটি পুরোনো বাড়ি বিক্রির ৩ বছরের মাঝে ক্রয় করতে হবে।
৪) জমি বিক্রির টাকা দিয়ে মাত্র একটি বাড়ি কেনা বা নির্মান করতে হবে।
৫) নতুন বাড়ি কেনার পর ৩ বছর পর্যন্ত ঐ বাড়ি বিক্রি করা যাবে না।
৬) জমির বিক্রয় মূল্য থেকে নতুন বাড়ির ক্রয় মূল্য কম হলে বাকি টাকা আপনি ভারতের আয়কর অনুযায়ী (54EC) ৬ মাসের মধ্যে অন্য কোথাও বিনিয়োগ করতে হবে।
৭) আপনার ক্রয়কৃত সম্পদ অবশ্যই ভারতের সীমানার অভ্যন্তরে হতে হবে।
জমি বিক্রি করা টাকা ব্যাংকে বিনিয়োগ করা যেতে পারে
আপনি যদি আপনার জমি বিক্রি করার পর পরই কোথাও বাড়ি কিনতে না পারেন, তাহলে আপনি ঐ টাকা ভারতের কোন পাবলিক সেক্টরের ব্যাংকে রাখতে পারেন।
তবে সর্বোচ্চ ৩ বছর আপনি ঐ টাকা হতে ট্যাক্স ছাড় পাবেন। এই ৩ বছরের মাঝে আপনি নতুন বাড়ি নির্মান শুরু করতে পারলে ঐ টাকায় আর ট্যাক্স দিতে হবে না।
অন্যথায় বাড়ি নির্মান করতে না পারলে আপনাকে ২০% ট্যাক্স দিতে হবে।
জমি বিক্রির টাকায় বন্ড কিনে বিনিয়োগ করা
আপনি জমি বিক্রির টাকায় বন্ড কিনে বিনিয়োগ করতে পারবেন। ভারতীয় আয়কর আইন ১৯৬১ অনু্যায়ী আপনি বন্ডে বিনিয়োগ করলে ট্যাক্স মার্জনা পাবেন।
তবে মনে রাখতে হবে যে আপনি প্রতিবছর সর্বোচ্চ ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বন্ড কিনে এই ট্যাক্স ছাড় সুবিধা নিতে পারবেন।
কৃষিজমি বিক্রি করা আয় ট্যাক্সের আওতামুক্ত
আপনি কৃষি জমি বিক্রি করে আয় করলে তা ভারতের আয়কর আইন ১৯৬১ অনুযায়ী ট্যাক্সের আওতা মুক্ত থাকবে তবে তা সিটি কর্পোরেশন, ক্যান্টেনম্যান্ট বা পৌরসভা থেকে সর্বনিম্ন ৮ কিলোমিটার দূরে হতে হবে।
এভাবে নানা পদ্ধতি অনুসরন করেই আমরা আমাদের জমি বিক্রির টাকা থেকে প্রাপ্ত আয় ট্যাক্স ছাড় পেতে পারি। আগামীতে আরো কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো, তাই আমাদের পেজে নিয়মিত চোখ রাখুন।
এই লেখাটি অনেকের কাজে লাগতে পারে তাই লেখাটি যতটুকু সম্ভব শেয়ার করুন, যাতে করে অনেকে এই লেখা থেকে শিক্ষা নিয়ে জমি থেকে আয় করার ব্যবস্থা করতে পারে।
জমি নিয়ে আরো অনেক লেখা পেতে আমাদের সাইটের অন্য লেখাগুলি দেখুন। আমাদের লেখা ভালো লাগলে বা যেকোন মন্তব্য আমাদের ফেসবুক পাতায় লিখুন। আমরা আপনার মন্তব্যের সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবো।