পরশুরাম জয়ন্তী 2024 তিথি ও সময় ভারতীয় সময় অনুসারে। কবে পড়েছে এবছরের পরশুরাম জয়ন্তী 2024? পরশুরাম জয়ন্তীর শুভ সময় কখন? জানুন 2024 পরশুরাম জয়ন্তীর মুহূর্ত ও কেনাকাটার শুভ মুহূর্ত এবং তাৎপর্য। এই বছরের কবে পরশুরাম জয়ন্তী? জেনে নিন কেনাকাটার পাশাপাশি উৎসবের শুভ সময় ও মুহূর্ত। এছাড়াও পরশুরাম জয়ন্তীর তাৎপর্য, পূজা বিধি এবং এই সময় কি কাজ করা উচিৎ ও কি না করা উচিৎ জানুন সবকিছু।
পরশুরাম জয়ন্তী 2024 (Parshuram Jayanti 2024): অক্ষয় তৃতীয়ার দিন পালিত হয় পরশুরাম জয়ন্তী। আর এই দুটি উৎসব অর্থাৎ অক্ষয় তৃতীয়া এবং পরশুরাম জয়ন্তী বৈশাখ মাসের শুক্ল পক্ষের তৃতীয় দিনে পালিত হয়। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী বিষ্ণুর দশ অবতারের মধ্যে পরশুরাম হলো ষষ্ঠতম অবতার।
এই বছর পরশুরাম জয়ন্তী 2024 কবে?
Parshuram Jayanti
10 May 2024
FridayTritiya Muhurat Start
4:10 AM on 10 May 2024
Tritiya Muhurat End
3:00 AM on 11 May 2024
পরশুরাম জয়ন্তীর বাংলায় তারিখ
পরশুরাম জয়ন্তী
১০ মে ২০২৪
শুক্রবারতৃতীয়া মুহূর্ত শুরু
১০ মে ২০২৪, ভোর ৪ঃ১০ টায়
তৃতীয়া মুহূর্ত শেষ
১১ মে ২০২৪, রাত্রি ৩ঃ০০ টায়
অক্ষয় তৃতীয়ার সঙ্গে সঙ্গে পরশুরাম জয়ন্তী ও পালন করা হয়। তার জন্ম চান্দ্র বৈশাখ মাসের শুক্লা তৃতীয়া তিথিতে হয়েছিল বলে এই দিনটি পরশুরাম জয়ন্তী নামে পরিচিত। আর এই দিনটি পরশুরাম জয়ন্তী হিসেবে পালন করা হয়।
পরশুরাম জয়ন্তীর ইতিহাস 2024:
ভগবান বিষ্ণুর দশ অবতারের মধ্যে এটি ষষ্ঠতম অবতার সেটা আগেই বলা হয়েছে। তার নিঃস্বার্থ তপস্যার জন্য মহাদেব নিজে প্রসন্ন হয়ে তাকে একটি কুঠার দিয়েছিলেন বর হিসাবে। বিশ্বাস করা হয় যে ভগবান শিব পরশুরামকে যুদ্ধ শিল্প শিখিয়েছিলেন। হিন্দু পুরান মতে পরশুরাম হলেন সেই ব্যক্তি যিনি মহাভারতের বিখ্যাত সব বীর চরিত্র দের যেমন ধরুন:- ভীষ্ম, দ্রোণাচার্য, এমনকি কর্ন কেও অস্ত্রবিদ্যা শিখিয়েছিলেন।
পরশুরাম এর পরিবার সম্পর্কে যেটুকু জানা যায় তাতে পরশুরাম এর পিতা হলেন জগদগ্নী, তিনি ছিলেন ব্রাহ্মণ এবং মাতা রেনুকা ছিলেন ক্ষত্রিয় কন্যা। তাই পরশুরাম জন্মসূত্রে ব্রাহ্মণ হলেও তিনি ছিলেন ক্ষত্রিয় তেজ সম্পন্ন অর্থাৎ যুদ্ধবিদ্যায় পারদর্শী। এখনো পর্যন্ত বিশ্বাস করা হয় যে পরশুরাম বিশ্বে কোথাও না কোথাও বেঁচে রয়েছে। হিন্দু পৌরাণিক বিশ্বাস অনুযায়ী পরশুরাম যেহেতু অমর।
আর এই বিশ্বাসের উপরে নির্ভর করে তার অমর হওয়ার কারণে ভগবান রাম, শ্রী কৃষ্ণ, এবং অন্যান্য দেব দেবীর মতো পরশুরামের পূজা করা হয় না। পুরান মতে পরশুরাম এর সঙ্গে সুরভী নামে এক গাভীর অধিকার নিয়ে কার্তবিরজা অর্জুন নামে এক মহা পরাক্রমশালী ক্ষত্রিয় রাজার তীব্র যুদ্ধ হয়।
সেই ক্ষত্রিয় রাজাকে পরাজিত করেন এবং হত্যা করেন। কিন্তু রাজন্য হত্যার পাপ তার উপরে এসে পড়ে। আর পিতা জমদগনির নির্দেশে তিনি পাপ ক্ষয়ের জন্য তীর্থ ভ্রমণে বের হয়ে যান।
অন্যদিকে কার্যবিরজার্যুন এর হত্যার প্রতিশোধ নিতে ক্ষতীয় রাজারা সবাই একত্র হন এবং পরশুরামের অনুপস্থিতিতে জমজগ্নিকে হত্যা করেন অর্থাৎ পরশুরামের পিতা কে হত্যা করা হয়।
সেই সময় ক্রুদ্ধ পরশুরাম ২১ বার পৃথিবীকে একা হাতে ক্ষত্রিয় শূন্য করেন। পরে তার মনে একটু শান্ত ভাব আসলে তিনি প্রব্রজ্জা গ্রহণ করেন। এছাড়া বেদি ভাগবত, বায়ু পুরাণ, বিষ্ণুপুরাণ এ পরশুরাম এর জন্ম সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য পাওয়া যায়।
মহাভারতে পরশুরামকে উগ্র তেজা মহাপ্রতি ব্রাহ্মণ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। কোন কোন জায়গায় তাকে পিতার আদেশে মাতৃ হত্যা করতেও দেখা যায়। যদিও রেনুকাকে পুনর্জীবিত করেন তবুও সেই মাতৃহত্যার পাপে তার কুঠার রক্তে রাঙা থেকেই যায়। তাই তার প্রতিটি ছবিতে তার কুঠারে রক্তের চিহ্ন থাকে। ধুয়ে ধুয়েও তা থেকে মাতৃ রক্ত মুছে ফেলা যায়নি এমনটাই জানা যায়।