Paper Napkin Manufacturing Business Idea 2023 (টিস্যু পেপার তৈরির ব্যবসা 2023): Paper Napkin Manufacturing Business Idea in Bengali | Paper Napkin Manufacturing Business Plan 2023 in Bengali.
Paper Napkin Manufacturing Business Idea in Bengali 2023: দৈনন্দিন জীবনে আমাদের যে সমস্ত জিনিসপত্রের প্রয়োজন হয় তার মধ্যে টিস্যু পেপার হলো একটি অতিপ্রয়োজনীয় জিনিস। এক একটি দিনের সাথে লাইফ স্টাইল চেঞ্জ হয়ে চলেছে।
আর সেই কারণে লাইফস্টাইল মেইন্টেনস করার জন্য টিস্যু পেপারের ব্যবহার প্রচুর পরিমাণে করা হয়ে থাকে। আর তাছাড়া এই টিস্যু পেপার ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিন্তু জলের খরচ অনেকটাই কম করা যায়।
অর্থাৎ বিভিন্ন রকম কাজে টিস্যু পেপার ব্যবহার করা হয়ে থাকে। সাধারণত এরকম টিস্যু পেপার হাত মুখ পরিষ্কার করার জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই যেমন হোটেল-রেস্টুরেন্ট, অফিস, হসপিটাল ইত্যাদি জায়গাতে টিস্যু পেপারের ব্যবহার অধিকমাত্রায় করা হয়ে থাকে।
যেহেতু একবার ব্যবহার করার পর এগুলো কে একেবারে ফেলে দিতে হয়। সে কারণে বুঝতেই পারছেন যে টিস্যু পেপার এর চাহিদা কতটা থাকতে পারে।
আর তাই যদি কোন ব্যবসার কথা চিন্তা করে থাকেন তাহলে এই টিস্যু পেপারের ব্যবসাটি ও একবার ভেবে দেখতে পারেন। কেননা এর চাহিদা মার্কেটে প্রচুর। আর এই টিস্যু পেপারের ব্যবসা থেকে আপনি অধিক পরিমাণে উপার্জন করতে পারবেন।
তো চলুন তাহলে জানা যাক এই ব্যবসাটি সম্পর্কে কিছু তথ্য:
টিস্যু পেপার বানানোর জন্য প্রয়োজনীয় র ম্যাটেরিয়ালস:
অতি প্রয়োজনীয় এবং নিত্য দিনে কাজে আসা এই টিস্যু পেপার বানানোর জন্য প্রয়োজনীয় র মেটিরিয়ালস সাধারণত একটাই হয়ে থাকে।
আর এই ম্যাটেরিয়াল হল টিস্যু পেপার বানানোর জন্য পেপার রোল। যা থেকে রুমালের আকারে আপনি পেপার কেটে সেগুলিকে ব্যবহারের উপযোগী করে তুলবেন।
গ্যাস এজেন্সি ডিলারশিপ ব্যবসা শুরু করে প্রচুর ইনকাম করবেন কিভাবে
টিস্যু পেপার বানানোর জন্য প্রয়োজনীয় র মেটেরিয়াল এর দাম:
পেপার রোলের দাম প্রতি কিলোগ্রাম ৫০-৬৫ টাকা হয়ে থাকে।
কোথায় থেকে কিনবেন: প্লেন পেপার রোল অনলাইনের মাধ্যমে আপনি এই লিংকে ভিজিট করে কিনতে পারেন।
Plain Paper Rolls | Click here |
টিস্যু পেপার বানানোর জন্য মেশিন:
টিস্যু পেপার মেকিং মেশিন অটোমেটিক হয়ে থাকে। এই মেশিনটি কে একবার প্লেন পেপার রোল এর সাথে জুড়ে দিতে হবে। তারপর টিস্যু পেপার তৈরি হয়ে বাইরে বেরিয়ে আসবে। এই মেশিনের দাম নিচে দেওয়া হল।
এই মেশিনের দাম কিন্তু টিস্যু পেপারের আকার এর সাথে সাথে বদলাতে পারে। তাছাড়া ৩০/৩০ টিস্যু পেপার বাজারে বেশি বিক্রি হয়ে থাকে।
৩০/৩০ টিস্যু পেপার মেকিং মেশিন এর দাম ৫ লাখ টাকা।
এই মেশিন কেনার জন্য অনলাইনে অর্ডার করতে পারেন।
Napkin (Tissue Papers) Making Machine | Click here |
টিস্যু পেপার বানানোর ব্যবসার জন্য প্রয়োজনীয় জায়গা:
টিস্যু পেপার মেকিং মেশিন বসানোর জন্য কম করে ৬০০ বর্গফুট জায়গা আপনার প্রয়োজন পড়বে। মেশিন বসানোর জন্য এবং অতিরিক্ত প্যাকিং এবং অন্যান্য জিনিসপত্র রাখার জন্য কম করে ১০০ বর্গফুট জায়গার প্রয়োজন পড়বে।
টিস্যু পেপার বানানোর ব্যবসাতে ইনভেস্টমেন্ট:
এই ব্যবসা টিকে শুরু করার জন্য আপনাকে মোট কম করে ৬.৫ লাখ টাকা থেকে ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ করতে হতে পারে। তাছাড়া যদি আপনি ব্যবসাটি বড় আকারে শুরু করতে চান, সে ক্ষেত্রে এর থেকে বেশি টাকা ইনভেস্টমেন্ট আপনার করতে হতে পারে।
এই টাকার মধ্যে মেশিন, র মেটেরিয়াল মেশিনের বিভিন্ন রকমের এবং অন্য বিদ্যুৎ চালিত বিভিন্ন রকমের জিনিসপত্র যেগুলো আছে সেগুলো আপনি অনায়াসে নিয়ে নিতে পারবেন।
টিস্যু পেপার বানানোর প্রক্রিয়া:
টিস্যু পেপার কিন্তু খুবই সহজ ভাবে আপনি বানাতে পারবেন। এর জন্য একটাই মেশিন কিন্তু ব্যবহার করা হয়। কিভাবে আপনি টিস্যু পেপার বানাতে পারবেন সেটা নিচে দেওয়া হল।
#১) প্রথমে পেপার রোল কে মেশিনে যে জায়গাতে রোলিং দেওয়ার জায়গা রয়েছে সেখানে সেট করতে হবে। যেখান থেকে পেপার রোল এর একটি অংশ মেশিনের সাথে লাগাতে হবে।
#২) যদি আপনি রঙিন টিস্যু পেপার বানাতে চান তাহলে আপনাকে মেশিনে যেখানে কালারিং জায়গা রয়েছে সেখানে পছন্দমত রং আপনি দিতে পারেন। টিস্যু পেপারে কোন হোটেল অথবা রেস্টুরেন্টের নাম যদি আপনি ছাপাতে চান, সে ক্ষেত্রে কালার প্যানেলে রাবারের একটা ট্যাগ আপনি লাগাতে পারেন।
#৩) যেখান থেকে বের হয়ে পেপার রোল এর একটি অংশ আগে এম্বসিং এর জন্য দেওয়া হয়। এম্বসিং রোল থেকে বেরিয়ে পেপার রোল একরকম আকারের তৈরি হয়ে থাকে। যেমন টিস্যু পেপার হয়ে থাকে সেই আকারে তৈরি হয়ে যায়।
#৪) এখান থেকে এম্বশিং করার পর পেপার মেশিন এর ফোল্ডিং সেখানে প্রবেশ করাতে হবে এই সেকশনে পেপার, টিস্যু পেপার এর মত ফোল্ড হয়ে কেটে যেতে থাকবে।
#৫) কাটিং হয়ে যাওয়ার পর টিস্যু পেপার সম্পূর্ণরূপে তৈরি হয়ে যায়, ব্যবহার করার জন্য।
টিস্যু পেপারের প্যাকেজিং:
এমন পদ্ধতি অবলম্বন করে আপনি টিস্যু পেপার তো বানিয়ে নিলেন, এবার সেগুলিকে প্যাকেজিং এর দিকে নিয়ে যেতে হবে। সে ক্ষেত্রে প্যাকেজিং করার জন্য আপনাকে আপনার ব্যবসার রেজিস্ট্রেশনের ট্যাগ অথবা ট্রেডমার্ক এর ব্যবহার করতে হবে।
আপনার ব্যবসার ট্রেডমার্ক ছাপানো প্লাস্টিকের প্যাকেটের মধ্যে ৫০ টি অথবা ১০০ টি টিসু পেপার দিয়ে দিতে হবে। এই টিস্যু পেপারের বান্ডিল একটা বড় প্যাকেট এর অর্ডার অনুসারে প্যাক করে পাঠিয়ে দিতে হবে বিক্রি হওয়ার জন্য।
টিস্যু পেপার বানানোর ব্যবসার জন্য প্রয়োজনীয় লাইসেন্স:
এই ব্যবসা টিকে শুরু করার জন্য আপনার কিছু আইনত লাইসেন্স প্রয়োজন পড়বে, যে লাইসেন্স গুলি আপনার এই ব্যবসার ক্ষেত্রে প্রয়োজন পড়বে সেগুলি হল:
#১) ব্যবসার রেজিস্ট্রেশন
#২) ট্রেড লাইসেন্স
#৩) পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ড এর তরফ থেকে এনওসি সার্টিফিকেট
#৪) ফ্যাক্টরি তৈরি করার জন্য লাইসেন্স
#৫) উদ্যোগ আধার এম এস এম ই রেজিস্ট্রেশন
#৬) আইসি নাম্বার বার করতে হবে
টিস্যু পেপার বানানোর ব্যবসা তে মার্কেটিং:
মার্কেটে টিস্যু পেপারের চাহিদা প্রচুর পরিমাণে, সেটা আপনি নিশ্চয়ই আন্দাজ করতে পারছেন। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার দিকে খেয়াল রেখে বিভিন্ন রকম জায়গাতে বিভিন্ন কাজে এই টিস্যু পেপারের ব্যবহার অধিক পরিমাণে হয়ে থাকে।
সবচেয়ে ভাল কথা হল এই যে, রিসাইকেলেবল আর বায়ো-ডিগ্রেডেবল বস্তু হলো এই টিস্যুপেপার, অর্থাৎ পরিবেশের কোনো রকম ক্ষতি কিন্তু করেনা। অনায়াসেই মাটির সাথে মিশে যেতে পারে। প্রত্যেক বছর টিস্যু পেপার এর চাহিদা প্রায় ১২ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে আছে।
আর এই কারনেই টিস্যু পেপার ইন্ডাস্ট্রি ধীরে ধীরে একটি বড় আকার ধারণ করছে। আর লোক এই ব্যবসাটি কে স্থাপন করার জন্য বেশ ভালো আগ্রহ প্রকাশ করছেন এবং তার সাথে সাথে এই ব্যবসা থেকে প্রচুর পরিমাণে উপার্জন করার একটা ভালো উপায় রয়েছে।
হোটেল, রেস্টুরেন্ট, হসপিটাল এবং আরো যেখানে যেখানে টিস্যু পেপার ব্যবহার করা হয় সেখানে আপনার তৈরি করা টিস্যু পেপার বিক্রি করতে পারেন। সেক্ষেত্রে হোলসেল অথবা রিটেল দুটো রকম ভাবেই আপনি বিক্রি করতে পারবেন।
তাছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে অনেক দূর পর্যন্ত আপনার তৈরি টিস্যু পেপার পৌঁছে দিতে পারবেন অনায়াসেই। বলতে গেলে এই সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর জন্য একেবারে উপযুক্ত জায়গা।
এই ব্যবসা করে অনেকেই ভালোমতো উপার্জন করতে পারছেন প্রতিমাসে, আপনিও এই টিস্যু পেপারের ব্যবসা করে উপার্জন করতে পারেন।
টিস্যু পেপার বানানোর ব্যবসাতে লাভ:
এই ব্যবসা থেকে আপনি প্রতিমাসে কম করে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা উপার্জন করতে পারবেন। আর যদি ভালোমতো মার্কেটিং করতে পারেন তাহলে তো এর চাহিদা আরো বেশি বেড়ে যাবে এবং তা থেকে আপনি আরো বেশি ইনকাম করতে পারবেন।
আপনি আপনার বানানো টিস্যু পেপার বাজারে রেটেল অথবা হোলসেলে বিক্রি করতে পারবেন। তবে রেটেলের বিক্রি করার জন্য আপনাকে ধৈর্য এবং সময় দিতে হবে প্রথমত তার সাথে প্রতিটি ব্যবসার সাথে এটি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। হোলসেলে যদি বিক্রি করতে চান তাহলে বড় কোন দোকানের সাথে যোগাযোগ করতে হবে আপনার।