2023 পেপার গ্লাস তৈরির ব্যবসা শুরু করে ইনকাম করুন লক্ষ টাকা

Paper Glass Making Business Idea 2023 (পেপার গ্লাস তৈরির ব্যবসা 2023): How to Start Paper Glass Making Business in India | Paper Glass Making Business Plan 2023 in Bengali.

Paper Glass Making Business 2023: বর্তমানে আর্থিক অবস্থার উন্নতির জন্য আপনি যদি কোন ব্যবসার কথা চিন্তা করে থাকেন, তাহলে পেপার গ্লাস তৈরির ব্যবসাটা আপনার জন্য বেস্ট অপশন হতে পারে।

তাছাড়া পেপার গ্লাস অথবা কাপ তৈরিতে কোন রকম স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয় না, এগুলি একবার ব্যবহার করে ফেলে দেওয়ার কারণে স্বাস্থ্যসম্মত এবং পরিবেশবান্ধব ও বটে। অন্যদিকে প্লাস্টিকের গ্লাস স্বাস্থ্যসম্মত তো নয়ই, তার ওপর এগুলোকে নষ্ট করা যায়না, পরিবেশ দূষণ বাড়িয়ে চলে।

Paper Glass Making Business in Bengali
2023 পেপার গ্লাস তৈরির ব্যবসা শুরু করে ইনকাম করুন লক্ষ টাকা

এই পেপার গ্লাস অথবা কাপের প্রয়োজনীয়তা হয় ব্যাপক মাত্রায়, চায়ের দোকান, কফি শপ, হোটেল, সুপার মার্কেট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে, বিভিন্ন রকমের অনুষ্ঠান, বিয়ে বাড়ি, পার্টি, সব জায়গাতেই পেপার গ্লাস অথবা কাপ এর প্রয়োজনীয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে। আর সেই কারণেই আপনার জন্য এই ব্যবসাটা ভীষন  লাভ দায়ক হতে পারে।

LED লাইট তৈরির ব্যবসা দারুন ব্যাবসা ও প্রচুর ইনকাম

পেপার গ্লাস বানানোর ব্যবসার পরিকল্পনা:

যে কোন ব্যবসা শুরু করতে গেলে তার আগে খুব ভালো করে তার সবকিছু দিক বিচার বিবেচনা করে পরিকল্পনা করা অথবা প্লান বানানো অবশ্যই জরুরি।

যেমন ধরুন, যে ব্যবসায় প্রথমে কত খরচ হতে পারে, কর্মচারী নেওয়ার জন্য কতটা টাকার প্রয়োজন, ব্যবসার মার্কেটিং, মেশিন, কাঁচামাল, সবকিছু নিয়ে একটা হিসেব নিকেশের মধ্যে দিয়ে পরিকল্পনা করাটা আগে থেকে ভীষন জরুরী। এর ফলে ভবিষ্যতে কোনো রকম সমস্যা অথবা ঝামেলার মধ্যে পড়তে হয় খুবই কম।

পেপার গ্লাস বানানোর জন্য ম্যাটেরিয়ালস অথবা কাঁচামাল:

পেপার গ্লাস বানানোর জন্য মম প্লাস্টিক এর সাথে পলিকেট কাগজ ইত্যাদি কাঁচামাল সামগ্রী ব্যবহার করা হয়। যার মাধ্যমে ওই পেপার গ্লাস অথবা কাপে ঠান্ডা অথবা গরম কোন জিনিস রাখার ফলে খুব সহজেই ওই পেপার গ্লাস অথবা কাপ ধরতে পারা যায়।

মাশরুম ব্যবসা করে 2-5লক্ষ টাকা ইনকাম করুন, জানুন কিভাবে শুরু করবেন

পেপার গ্লাস বানানোর জন্য এই ব্যবসায়ে মেশিন এবং তার দাম:

এই পেপার গ্লাস বানানোর (Paper Glass Making Business) জন্য দু’রকমের মেশিন আছে, একটা হচ্ছে অটোমেটিক যে মেশিনে ১ মিনিটে ৫০ থেকে ৬০ খানা গ্লাস তৈরি হয়ে যাবে। এই মেশিনের দাম ৬-৯ লাখ টাকা। আর একটা ম্যানুয়াল মেশিন, যার দাম ৪ লাখ থেকে শুরু করে ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত।

পেপার গ্লাস তৈরির ব্যবসা
পেপার গ্লাস তৈরির ব্যবসা

তবে এক এক কোম্পানি অনুসারে মেশিনের দাম এক এক রকম হতে পারে। এই সকল মেশিন আলাদা আলাদা ধরনের তাই দামেউ আলাদা ভাব পাবেন। কেনার আগে এটা দেখতে হবে আপনার বাজেট কত আর কি ধরনের মেশিন আপনার জন্য উপযুক্ত।

এই মেশিন কোথায় থেকে কিনবেন:

পেপার গ্লাস বানানোর জন্য কাঁচামাল সামগ্রী এবং মেশিন অনলাইনের মাধ্যমেও আপনি কিনতে পারেন, সেজন্য আপনি এই লিংক এর মাধ্যমে দেখতে পারেন:

Manual Paper Glass Making MachineClick Here
Full Automatic Paper Glass Making MachineClick Here
All Type of Paper Glass Making MachineClick Here

এই ব্যবসা শুরু করার জন্য জায়গার প্রয়োজনীয়তা:

৫০০ স্কয়ার ফিট জায়গাতে বিদ্যুৎ কানেকশন থাকবে এমন জায়গাতে আপনি এই ব্যবসা অনায়াসেই শুরু করতে পারেন, তাছাড়া আপনার ঘর যদি অনেক বড় হয় এবং সেই ঘরে অনেকটাই জায়গা ফাঁকা থাকে, সে ক্ষেত্রে আপনি ঘরেও এ ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

প্রচুর লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া, এখনি শুরু করুন – জানুন কিভাবে

পেপার গ্লাস তৈরি করার পদ্ধতি:

পেপার গ্লাস তৈরি করার তিন টি পদ্ধতি হয় যেমন:-

#১) প্রথমে পদ্ধতিতে গ্লাসের আকারে কোটেড পেপার কেটে নিয়ে মেশিনে লাগাতে হবে, যে পেপার হালকা ভিজে হয় এবং মেশিনের সাহায্যে এই পেপার গ্লাস এবং কাপের আকার নিয়ে থাকে।

পেপার গ্লাস তৈরির ব্যবসা
পেপার গ্লাস তৈরির ব্যবসা

#২) দ্বিতীয় পদ্ধতিতে গ্লাসের নিচে গোল একটা তালি দেওয়া মত কাপ  কিংবা গ্লাসের নিচের অংশটা তৈরি করা হয়।

#৩) এরপর তৃতীয় ধাপে তৈরি হওয়া  গ্লাস গুলি  পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে, যেমন ঠিকঠাক মতো তৈরি হয়েছে কিনা, পরীক্ষা করে নিয়ে একত্র করে একটি জায়গায় রেখে দেওয়া হয়।

পেপার গ্লাস গুলির প্যাকেটজাত অথবা প্যাকেজিং করা:

এক্ষেত্রে পেপার গ্লাস এর গোনা এবং প্যাকেট করা সম্পূর্ণ অটোমেটিক মেশিনের দ্বারা হয়ে থাকে। গ্লাস গুলি তৈরি হওয়ার পরে সেই গ্লাসের মাপ অনুযায়ী লম্বা কাগজের গোল প্যাকেটের মধ্যে প্রায় ১০০ টা মতো গ্লাস প্যাকিং কর্মচারী অথবা শ্রমিকদের মাধ্যমে হয়ে থাকে। আবার কোনটাতে ৫০ টাও থাকতে পারে।

পেপার গ্লাস বানানোর এই ব্যবসাতে আপনার কতটা ইনভেস্ট লাগতে পারে:

পেপার গ্লাস বানানোর এই ব্যবসাটা শুরু করতে গেলে প্রথমত প্রায় ১০ লাখ টাকা থেকে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত আপনার ইনভেস্টমেন্ট লাগতে পারে। তার সাথে ২.২ কোটি পেপার গ্লাস এর নির্মাণ করতে গেলে আপনি কিন্তু বছরে ৬৬ লাখ টাকা ইনকাম করতে পারেন।

রেডিমেড গার্মেন্টস ব্যবসার আইডিয়া হবে প্রচুর ইনকাম

চলুন এই ব্যবসার কিছু খরচ সম্পর্কে জানা যাক:

ব্যবসার সামগ্রীখরচ
ব্যবসার জন্য জায়গাশহর অথবা গ্রাম এর জায়গা অনুসারে আলাদা খরচ হতে পারে।
মেশিনের দাম5,50,000 থেকে শুরু (কি রকম মেশিন নিচ্ছেন সেটা তার ওপর নির্ভর করে)
শ্রমিকের খরচ10,000 – 15,000 টাকা
পলি কোটেড পেপার40,000-60,000 টাকা
পেপার ছাপানো ও ইত্যাদি80,000-1,00,000 টাকা
প্যাকিং সামগ্রী12,000 -16,000 টাকা
বিদ্যুৎ বিল ও জলের খরচ2500-3000 টাকা
অনান্য খরচ যেমন10,000-15,000 টাকা (কিছু মেরামত/টেলিফোন বিল/পরিবহন/স্টোর ইত্যাদি নির্ভর করে আপনার খরচের উপর)
মোট খরচের পরিমাণ7,04,500 – 8,00,000 টাকা (আনুমানিক যা কাজের সময় কিছু পরিবর্তন হতে পারে)

পেপার গ্লাস বানাতে গেলে কর্মচারীদের সংখ্যা:

আপনার এই পেপার গ্লাস ব্যবসা শুরু করতে গেলে আপনার কিছু কর্মচারীর প্রয়োজন হতে পারে। সে ক্ষেত্রে আপনি এই ব্যবসার জন্য তিনটে লোক দিয়েও এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এটাই অনেক যথেষ্ট। তারপর ব্যবসা বাড়ার সাথে সাথে আপনি আপনার কর্মচারী বাড়াতে পারেন।

পেপার গ্লাস তৈরির ব্যবসা
পেপার গ্লাস তৈরির ব্যবসা

এই ব্যবসার জন্য লোন এর প্রয়োজনীয়তা:

বিভিন্ন যোজনার মতো স্টার্টআপ অর্থাৎ কোন ব্যবসার ক্ষেত্রে আপনি যদি উদ্যোগ নিয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে লোন আপনি পেতে পারেন ব্যাংক থেকেও।

আপনি লোন নিতে পারবেন এই ব্যবসার জন্য। মুদ্রা লোন যোজনা এর মত ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত  আপনার কোন সম্পত্তির প্রমাণ দেখিয়েও এই লোন নিতে পারেন।

অনলাইন ম্যাগাজিন ব্যবসা শুরু করার পদ্ধতি কি? জেনে নিন

এই ব্যবসার জন্য আপনার লাইসেন্স এর প্রয়োজনীয়তা:

যে কোন ব্যবসার জন্য রেজিস্ট্রেশন অথবা লাইসেন্সের প্রয়োজন পড়ে, সেই ক্ষেত্রে ব্যবসা চালানোর জন্য আইনত অনুমোদন আপনার প্রয়োজন অর্থাৎ আপনাকে লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে হবে।

এর জন্য আপনি যে জায়গায় এই ব্যবসা শুরু করতে যাচ্ছেন সেখানকার স্থানীয় পঞ্চায়েতে যোগাযোগ করে আইনি দিক থেকে বিভিন্ন রকমের কার্যকলাপ সম্পূর্ণ করে রাখুন।

তাছাড়া বিদ্যুৎ এর পরিবর্তে আপনি যদি জেনারেটর, ডিজেল দিয়ে চালিয়ে এই ব্যবসা করতে চান, সেটাও কিন্তু আবেদনের মাধ্যমে জানিয়ে রাখতে পারেন, জেলা আধিকারিক এর থেকে বিশেষ অনুমতি আপনার নিতে হতে পারে।

পেপার গ্লাস বানানোর ব্যবসা মার্কেটিং এর ভূমিকা:

আপনার এই ব্যবসাতে উৎপাদিত পেপার গ্লাস বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আপনি টিভি চ্যানেল, খবরের কাগজ, ব্যানার, এর মাধ্যমে অফ্লাইন ক্রেতাদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পারেন আপনার এই ব্যবসার খবর। তাছাড়া এখন অনলাইন সোশ্যাল মিডিয়া বড় ভূমিকা পালন করে, যে কোন ব্যবসার মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে।

পেপার গ্লাস তৈরির ব্যবসা
পেপার গ্লাস তৈরির ব্যবসা

তাছাড়া আপনার বড় ব্যবসা হলে সে ক্ষেত্রে মার্কেটিংয়ের জন্য বড় বড় কোম্পানি যেমন কোকাকোলা, পেপসি, ইত্যাদি কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করেও আপনার তৈরি হওয়া পেপার গ্লাস ও কাপ বিক্রি করার একটা সুন্দর রাস্তা তৈরি করে নিতে পারেন।

পেপার গ্লাস বানানোর ব্যবসাতে লাভ:

সাধারণত পেপার  গ্লাসের আকৃতি, সৌন্দর্য, এর ওপর নির্ভর করবে সেই গ্লাসের দাম। যেমন ধরুন প্রিন্টেড পেপার গ্লাস বানাতে যদি আপনি পারেন সে ক্ষেত্রে ৬০ পয়সা পর্যন্ত হতে পারে তৈরি খরচ এবং এক টাকা পর্যন্ত আপনি প্রতি গ্লাস বিক্রি করতে পারবেন মার্কেটে।

যদি আপনি প্লেন পেপার গ্লাস  বানান অর্থাৎ যে গ্লাসে কোন রকম প্রিন্ট থাকবে না সেই ক্লাস বানাতে আপনার খরচ পড়তে পারে ৩০ পয়সা সে ক্ষেত্রে এই গ্লাস আপনি মার্কেটে বিক্রি করতে পারবেন ৮০ পয়সা দাম দিয়ে প্রত্যেক গ্লাস।

এখন দৈনন্দিন জীবনে পেপার গ্লাস এর গুরুত্ব অনেক বেশি, প্রত্যেক অনুষ্ঠানে পেপার গ্লাস এর ভূমিকা থাকবেই থাকবে। সে ক্ষেত্রে আপনার এই পেপার গ্লাস বিজনেসটা অনেক লাভবান হবে নিঃসন্দেহে।

তবে ইনভেস্ট টা বেশি হলেও বছরে উপার্জন টাও কিন্তু সেই তুলনায় অনেক বেশি। সেক্ষেত্রে আপনি যদি কোন ভালো ব্যবসার কথা চিন্তা করেন এবং ব্যবসা করার পরিকল্পনা করে থাকেন, সেক্ষেত্রে পেপার গ্লাস তৈরি করার এই ব্যবসাটি আপনার কাছে লাভ দায়ক একটি ব্যবসা হিসেবে প্রমাণিত হবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top