নো মেকআপ লুক পেতে চান? রইল কিছু টিপস | No Makeup Look Tips

ভারী মেকআপ করতে পছন্দ করেন না অনেকে। সেই কারণে ‘নো মেকআপ’ মেকআপ লুকের জন্য কিভাবে মেকআপ করবেন সেটাও একটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

নো মেকআপ মেকআপ লুক এর জন্য এই বিষয়গুলি একটু ভালোভাবে মাথায় রাখলে আপনি হয়ে উঠবেন সবার মাঝে সেরা। তাছাড়া যেসব মহিলারা প্রতিদিন অফিসে যাওয়ার মতো ব্যস্ততা থাকে, তাদের ক্ষেত্রে নো মেকআপ মেকআপ লুকটা অতি প্রয়োজনীয় একটি জিনিস।

No Makeup Look Tips
No Makeup Look Tips

নো মেকআপ মেকআপ লুক এর গোপন কিছু রহস্য জানা যাক আজ। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক, নো মেকআপ মেকআপ লুকের জন্য এমন কিছু বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ টিপস –

১) কনসিলার এর ব্যবহার :

মুখে নো মেকআপ মেকআপ লুকের জন্য কনসিলার ব্যবহার করুন। সেটা হতে হবে অবশ্যই ফাউন্ডেশনের চেয়ে এক শেড উজ্জ্বল।

সাধারণত কনসিলার ব্যবহার করেন যারা তারা চোখের নিচের ত্রিভুজাকৃতি করে দেন। তার সাথে ত্বকের বিভিন্ন জায়গাতেও লাগান। কিন্তু সেটাকে চোখের নিচে দিয়ে বেশ খানিকটা টেনে দিন। তাতে অনেক শার্প লুক আসবে।

২) ফাউন্ডেশন এর ব্যবহার :

যদি আপনি সরাসরি মুখে ফাউন্ডেশন লাগান তাহলে কিন্তু অনেকটা বেশি বেশি মনে হতে পারে। আর সেই কারণেই হয়তো আনন্যাচারাল লাগতে পারে। সেক্ষেত্রে কিন্তু ফাউন্ডেশন লাগানোর আগে ক্রিম অথবা মশ্চারাইজার এর সাথে ফিফটি-ফিফটি ভাগ করে মিশিয়ে নিন।

যতটা পরিমাণ ফাউন্ডেশন নেবেন ততটা পরিমাণ ক্রিম অথবা মশ্চারাইজার নিন। এর ফলে দেখবেন ফাউন্ডেশনটা অনেকটাই হালকা হয়ে গেছে। আর আপনার লুকটাও বেশ স্বাভাবিক আসবে। মুখের ত্বকের সাথে মানিয়ে যায় খুব তাড়াতাড়ি।

৩) কন্টুরিং এর ব্যবহার :

ফাউন্ডেশন এর পর লাগাতে পারেন কন্টুরিং। যদি কোন বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠানে যান অথবা কোন ফটোশুট থেকে থাকে  আপনার তাহলে কিন্তু বেশি করে কন্টুরিং ব্যবহার করতে পারেন।

অতিরিক্ত উজ্জ্বল এবং জ্বলজ্বলে ভাব অনেকটাই কমে আসে। অনেক সময় দেখা যায় অনেকেই কপালে কন্টোরিং লাগিয়ে থাকেন। কপালটাকে ছোট দেখানোর জন্য।

ফটোশুটের সময় কন্টোরিং বেশি করে লাগানোর কারণ হলো, ফটো তোলার সময় যখন ক্যামেরার ফ্লাশ মুখের উপরে পড়ে তখন উজ্জলতা অনেকটাই কমে আসে। যাদের ছোটোগোপাল তারা কন্টোরিং কপালে না ব্যবহার করলেই চলবে।

৪) ব্লাশন এর ব্যবহার :

তারপর লাগান ব্লাশন। আপনার পছন্দমত হলেও কোন রঙের ব্লাশন লাগাবেন তা কিন্তু নির্ভর করবে আপনার গায়ের রং এর উপর, ত্বকের টোন এবং ব্যক্তিগত পছন্দের উপর।

ব্লাশন এর পরিমাণ বেশি হয়ে গেলে চিন্তা করার কারণ নেই। আপনা আপনি এটা কমতে শুরু করবে। আপনি যদি মনে করেন তাহলে কোন পাউডার দিয়ে সেটাকে কমিয়ে দিতে পারেন।

তারপরে ব্যবহার করতে পারেন হাইলাইটার। চিক বোন, নাক, কপাল, আর চিবুকের অংশটা সাধারণত হাইলাইটার করা হয়। ভ্রু দুটো কে সুন্দর ও সেপ দেখানোর জন্য ভ্রুর নিচেও ব্যবহার করেন অনেকে।

৫) আইল্যাশ কর্লার এর ব্যবহার :

এটি ব্যবহারের আগে হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে হালকা গরম করে নিতে পারেন। তার ফলে চোখের পাপড়িগুলো অনেকক্ষণ যাবৎ ঘন এবং বড় বড় দেখাতে থাকবে।

এরপর সুন্দর করে মাশকারা লাগিয়ে নিন। আপনার চোখের পাতা কথা বলবে।

৬) লিপস্টিকের বদলে লিপ টিন্ট :

নো মেকআপ মেকআপ লুক এর জন্য লিপস্টিকের বলে ঠোঁটে ব্যবহার করুন লিপ টিন্ট। আপনার মধ্যে ন্যাচারাল লুক বজায় থাকবে অটুট।

আর অনেকক্ষণ পর্যন্ত স্টে করে। লাগানোর সময় ঠোঁটের ভেতর দিক থেকে লাগান। তারপর এর উপর ব্যবহার করুন লিপবাম।

৭) বডি অয়েল এর ব্যবহার :

সবকিছু কমপ্লিট হয়ে যাওয়ার পর ফাইনাল টাচ হিসেবে বডি অয়েল লাগাতে পারেন। হাতে, কাঁধে, ঘাড়ে, এবং গলায় ভালো করে লাগিয়ে নিন বডি অয়েল। স্বাভাবিক ভাবে ওই জায়গাগুলি আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে।

তারপরে জায়গাগুলোতে হাইলাইটের ব্যবহার করতে পারেন হালকা হাতে। বিশেষ করে দুটি বিউটি বোনের উপর হাইলাইটার লাগাতে পারেন। ব্যাস কমপ্লিট হয়ে গেল। তারপর বাইরে বেরোনোর সময় পারফিউম ব্যবহার করতে কিন্তু ভুলবেন না।

মেকআপ করার সঠিক পদ্ধতি জানা থাকলে আপনাকে যেকোন মেকআপে লাগবে মোহময়ী। অনেকেই শুধুমাত্র মুখটুকু সাজাতে ব্যস্ত থাকেন। তবে যারা ন্যাচারাল লুক বজায় রাখার জন্য তৎপর হয়ে থাকেন, তারা কিন্তু মুখের সাথে সাথে শরীরের যে অংশ গুলো বাইরে বেরিয়ে থাকে সেগুলো তেও মেকআপ করতে ভোলেন না।

সেক্ষেত্রে কিন্তু একটা জিনিস বিশেষভাবে খেয়াল রাখা প্রয়োজন, মুখের রঙ এবং শরীরের বাইরে বেরিয়ে থাকা অংশের রং কিন্তু এক নয় তাই সেটা বুঝেই মেকআপ করাটা জরুরী। সেক্ষেত্রে কিন্তু মুখে যে কনসিলার ফাউন্ডেশন ব্যবহার করেছেন সেটা কিন্তু শরীরের অন্যান্য জায়গাতে ব্যবহার করা যাবে না। ওই ত্বকের সঙ্গে মানানসই টোন ব্যবহার করতে হবে।

আর একটা কথা মাথায় রাখা জরুরি বাইরে বেরোনো আগে এবং মেকআপ করার পর যদি হালকা ন্যাপ নেওয়া যায় তাহলে কিন্তু মেকআপ টা খুব সুন্দর ভাবে বসে যায়। মেকআপ করার আগে মুখে হট থেরাপি নিলেও কিন্তু অনেক কাজে আসে। এই বিষয়গুলি ত্বক ভালোভাবে গ্রহণ করতে পারে।

তাদের জন্যে এগুলি বেশ উপকারে আসবে আশা করা যায়। সব জায়গায় তো ভারী মেকআপ চলতে পারে না, তাছাড়া ভারী মেকআপ করতে গেলে সময়ের প্রয়োজন এবং তা সাথে নিয়ে বেশিক্ষণ থাকা ও অস্বস্তিকর ব্যাপার।

তাই নিজের পছন্দ অনুযায়ী, নিজের গায়ের রং এবং লুক অনুযায়ী, ন্যাচারাল মেকআপ করে নিতে পারেন নিজে থেকেই, এই টিপস গুলো ফলো করলেই নিজে থেকেই পারবেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top