নেতাজি জয়ন্তী 2024 তিথি ও সময় ভারতীয় সময় অনুসারে। কবে পড়েছে এবছরের নেতাজি জয়ন্তী 2024? নেতাজি জয়ন্তীর শুভ সময় কখন? জানুন 2024 নেতাজি জয়ন্তীর মুহূর্ত ও কেনাকাটার শুভ মুহূর্ত এবং তাৎপর্য। এই বছরের কবে নেতাজি জয়ন্তী? জেনে নিন কেনাকাটার পাশাপাশি উৎসবের শুভ সময় ও মুহূর্ত। এছাড়াও নেতাজি জয়ন্তীর তাৎপর্য, পূজা বিধি এবং এই সময় কি কাজ করা উচিৎ ও কি না করা উচিৎ জানুন সবকিছু।
নেতাজি জয়ন্তী 2024 (Netaji Jayanti 2024): নেতাজি জয়ন্তী অথবা নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস জয়ন্তী, তার জন্মদিন দিবস হিসেবে পালন করা হয়। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, ঝাড়খন্ড, আসাম, ওড়িশা রাজ্যের একটি সরকারি ছুটির দিন হল নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস জয়ন্তী, এই দিনটি। ২৩ শে জানুয়ারি নেতাজি জয়ন্তী পালিত হয়।
এই বছর নেতাজি জয়ন্তী 2024 কবে?
Netaji Subhas Chandra Bose Jayanti
23 January 2024
TuesdayThis is the 127th Jayanti of Netaji Subhas Chandra Bose
নেতাজী জয়ন্তীর বাংলায় তারিখ
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু জয়ন্তী
২৩ জানুয়ারী ২০২৪
মঙ্গলবারএটি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৭তম জয়ন্তী
নেতাজি জয়ন্তী উপলক্ষে কলকাতায় এই দিন নেতাজির বাড়ি নেতাজি ভবনে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। নেতাজি পরিবারের আদি বাসস্থান দক্ষিণ ২৪ পরগনা সুভাষগ্রামেও বিশেষ ভাবে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কলকাতার রেড রোডের নেতাজি মূর্তির সামনে বিশেষ কুচকাওয়াজ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়ে থাকে।
এই দিনটি একটি ছুটির দিন এবং সারা ভারত ফরোয়ার্ড ব্লক ও সুভাষচন্দ্র বসুর পরিবার নেতাজির জন্মদিনটি ভারতের দেশপ্রেম দিবস এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই দিনটিকে দেশ নায়ক দিবস এবং জাতীয় ছুটি হিসেবে ঘোষণা করার জন্য ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন করেছেন, কিন্তু রাজনৈতিক কারণে সেই দাবি দুটো আজও পূরণ করা হয়নি।
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর বাণী ও উক্তি 2024:
“তোমরা আমাকে রক্ত দাও আমি তোমাকে স্বাধীনতা দেব।” নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর বিখ্যাত এই উক্তি যা কখনোই ভোলার নয়।
“যখন আমরা দাঁড়াই আজাদ হিন্দ ফৌজকে গ্রানাইটের দেয়ালের মতো হতে হবে, আমরা যখন মিছিল করি তখন আজাদ হিন্দ ফৌজকে স্টিম রোলার এর মত হতে হবে।”
“আলোচনার মাধ্যমে ইতিহাসের কোন বাস্তব পরিবর্তন কখনোই অর্জিত হয়নি।”
“রাজনৈতিক দর কষাকষির রহস্য হলো আপনি আসলে যা আছেন, তার চেয়ে বেশি শক্তিশালী দেখায়।”
“শুধুমাত্র নিরপেক্ষ জাতীয়তাবাদ এবং নিখুঁত ন্যায়বিচার ও নিরপেক্ষতার ভিত্তিতে ভারতীয় মুক্তিবাহিনী গড়ে তোলা যেতে পারে।”
“একজন ব্যক্তি একটি ধারণার জন্য মারা যেতে পারে, কিন্তু সেই ধারণাটি তার মৃত্যুর পরে হাজার জীবনে অবতীর্ণ হবে।
স্বাধীনতা সংগ্রামে তার ভূমিকা কখনোই ভোলার নয়, আজাদ হিন্দ বাহিনীর মাধ্যমে তিনি স্বাধীনতা আন্দোলনে বিশেষ ভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন এবং তার মৃত্যু নিয়েও বিশেষ মতভেদ রয়েছে। এমন এক বীর যোদ্ধা দেশের জন্য নিজের জীবনটাকে উৎসর্গীকৃত করে গিয়েছেন।
তাই এমন মহান ব্যাক্তির জন্ম তিথিকে বিশেষ ভাবে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করার জন্য নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোস জয়ন্তী অথবা নেতাজি জয়ন্তী পালন করা হয়। বিভিন্ন জায়গায় নেতাজির মূর্তিতে মালা পরিয়ে তাকে শ্রদ্ধা জানানো হয়ে থাকে।
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ২৩ শে জানুয়ারি এই জন্মতারিখ টি নেতাজি জয়ন্তী হিসেবে সারা ভারতে পালিত হয়ে আসছে। এই দিনটি ছুটি হিসেবে সমস্ত সরকারি কাজকর্ম স্কুল, কলেজ, বন্ধ থাকে। তার পাশাপাশি এই দিন উপলক্ষে অনেক জায়গায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়।