PM Mission Karmayogi Yojana Eligibility & Registration

প্রধানমন্ত্রী মিশন কর্মযোগী যোজনা 2023: যোগ্যতা ও আবেদন

প্রধানমন্ত্রী মিশন কর্মযোগী যোজনা কি? এই যোজনায় কারা কারা সুবিধা পাবে? কিভাবে আবেদন ও রেজিস্ট্রেশান করতে হয়? জানুন সবকিছু। Pradhan Mantri Mission Karmayogi Yojana in Bangla

(প্রধানমন্ত্রী মিশন কর্মযোগী যোজনা) Pradhan Mantri Mission Karmayogi Yojana: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আমলাতন্ত্রের সংস্কারের কথা মাথায় রেখে একটি নতুন স্কিমের কথা ঘোষণা করেছেন যার নাম মিশন কর্মযোগী।

ভারতীয় সিভিল সার্ভিসের গতানুগতিকতাকে ভেঙে নতুন ধারায় তাদের কাজ পর্যালোচনার ফসল এই প্রকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারি কর্মকর্তাদের ভবিষ্যৎ সুন্দর করার কথা ভাবছেন প্রধানমন্ত্রী। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এই খাতে প্রযুক্তির ছাপ বড়ই কম যা হতাশার কারণ।

ফলে প্রযুক্তি ও যুগের উন্নয়নকে কাজে লাগিয়ে ভারতীয় আমলাতন্ত্রের কাজকে আরও উদ্বুদ্ধ করতে এই প্রকল্পের উদ্ভাবন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা সরকারী কর্মকর্তাদের কাজের ধরন উন্নত করতে ‘কর্মযোগী যোজনা’ অনুমোদন করেছেন।

এই মিশনের আওতায় কর্মীদের নিয়োগের পরে সিভিল সার্ভিস কর্মচারী এবং অন্যান্য সরকারী কর্মচারীদের সক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

PM Mission Karmayogi Yojana Eligibility & Registration
প্রধানমন্ত্রী মিশন কর্মযোগী যোজনা: যোগ্যতা ও আবেদন

সরকারি কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য তৈরি হবে কমিশন।এই কমিশনে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী, কয়েকজন মুখ্যমন্ত্রী সহ বিশেষজ্ঞরা। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে কাজ পরিচালনা হবে।

এই প্রকল্পটি সরকারের সিভিল সার্ভিস কর্মচারীদের কার্যক্রমের উপর দৃষ্টি দেবে। এই মিশন উভয় ব্যক্তিগত এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে মনোনিবেশ করবে।

সেকশন অফিসার থেকে সেক্রেটারি পর্যায়ের কর্মচারীরা এই স্কিমটির সুবিধা নিতে পারবেন।

এই প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারি কর্মকর্তাদের সু প্রশিক্ষণ প্রদান সহ আরও বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে সহায়তা করবে। কর্পোরেট সংস্থার মতো কাজ করবেন তাঁরা।

সেখানে তাদের কাজের মূল্যায়ন করা হবে।এর লক্ষ্য প্রাতিষ্ঠানিক প্রক্রিয়া স্তরে সিভিল সার্ভিসের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য নতুন জাতীয় পরিকাঠামো  স্থাপন করা।

সহজ ভাবে এই প্রকল্পের সুবিধা উদ্দেশ্য কার্যক্রম নিয়ে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে:

১. এই মিশনের উদ্দেশ্য:

  • এটি ২০২০-২০২৫ সালের এর মধ্যে প্রায় ৪৬ লাখ কেন্দ্রীয় কর্মকর্তাদের এই প্রকল্পের আওতায় আনা হবে।
  • অনলাইন প্রশিক্ষণ ডিজিটাল প্লাটফর্ম i GOT এর দ্বারা পরিচালিত হবে এই প্রকল্পের কাজ।
  • i-GOT হল এটি মানব সম্পদ ও উন্নয়ন মন্ত্রকের (এমএইচআরডি) অধীনে একটি সমন্বিত সরকারী অনলাইন প্রশিক্ষণ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম।যা প্রযুক্তি ও উন্নয়ন এর মাধ্যমে সেরা প্রশিক্ষণ প্রদান করে থাকে।
  • সিভিল সার্ভিসের কর্মচারীদের অনলাইন কোর্স নিতে হবে এবং তাদের কোর্সের উপর ভিত্তি করে তাদের মূল্যায়ন করা হবে, প্রতিটি কোর্সে তাদের পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করা হবে যা তারা তাদের পরিষেবার পরিসর জুড়ে প্রদান করবেন।
  • বিশ্বমানের সামগ্রীর সমস্ত ডিজিটাল ই-লার্নিং কোর্সগুলি এই প্ল্যাটফর্মে সিভিল সার্ভিসের কর্মচারীদের জন্য আপলোড করা হবে।
  • এটি পাবলিক হিউম্যান রিসোর্স কাউন্সিল দ্বারা পরিচালিত হবে।
  • মিশন কর্মযোগী হল সরকারী কর্মচারীদের উন্নত করতে একটি আদর্শ কর্মযোগী যা দেশের সেবা করার জন্য সৃজনশীলএবং প্রযুক্তিগতভাবে তাদের ক্ষমতায়িত করতে পারে।
  • এটি সিভিল সার্ভিসের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সমস্ত কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলির তদারকি করবে
  • এই কর্মসূচিটি সিভিল সার্ভিসের কর্মীদের আরও পেশাদার, প্রগতিশীল, শক্তিশালী, সক্ষম, স্বচ্ছ এবং প্রযুক্তি-সক্ষম করতে সহায়তা করবে।
  • সরকার থেকে জানানো হয়েছে মিশনটির পাঁচ বছরের মধ্যে মোট ব্যয়ের পরিমাণ 510 কোটি টাকা পর্যন্ত।
  • সরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা তাদের কর্মক্ষমতা উন্নয়নের সুযোগ পাবে এই মিশনের মাধ্যমে।
  • এটি কর্মীদের পৃথক পৃথকভাবে মূল্যায়ন করতে সহায়তা করবে এবং সময় মতো বিভিন্ন পদ্ধতিতে তাদের বৈজ্ঞানিক ও উদ্দেশ্যমূলক মূল্যায়ন নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে।

২. এই মিশনের ৬টি স্তম্ভ:

  • পলিসি ফ্রেমওয়ার্ক
  • ইনস্টিটিউশানাল ফ্রেমওয়ার্ক
  • প্রতিযোগীতামূলক ফ্রেমওয়ার্ক
  • ডিজিটাল লার্নিং ফ্রেমওয়ার্ক
  • পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন কার্যক্রম
  • ইলেক্ট্রিকাল হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম

৩. এই মিশনের কার্যক্রম কারা পরিচালনা করবে:

এই মিশনের প্রধান কার্যক্রম পরিচালনা করবেন প্রধানমন্ত্রী। ওনাকে সহায়তা প্রদান করবে পাবলিক হিউম্যান রিসোর্স কাউন্সিল।এই প্রকল্পের কাজ পরিচালনা করার জন্য অন্যান্য সদস্যরা হলেন:

  • কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা
  • কয়েকজন মুখ্যমন্ত্রী
  • বিশিষ্ট পাবলিক এইচআর
  • বুদ্ধিজীবি চিন্তাবিদরা
  • গ্লোবাল চিন্তাবিদ এবং
  • পাবলিক সার্ভিস কর্মীরা

৪. এই মিশনের সুযোগ সুবিধা:

  • শুধু আইএস নয় নীচু তলার কর্মী থেকে বিভিন্ন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
  • কর্মীদের মাথা পিছু বছরে ৪৩১ টাকা করে দিতে হবে। তবে প্রশিক্ষণ সফল ভাবে শেষ করতে পারলে সেই খরচ তাঁর দফতর দিয়ে দেবে।
  • সরকারি কর্মীরা নিজেদের পছন্দের কোর্স বেছে নিতে পারবে।
  • নিয়ম অনুযায়ী গতানুগতিক কাজের ধারা থেকে তাদেরকে পর্যালোচনার ধারায় আনা হবে এই প্রকল্পের মাধ্যমে।যাতে তারা নতুন প্রযুক্তির সাথে পরিচিত হয়ে কাজে তার প্রতিফলন ঘটায়।
  • ডিজিটাল লার্নিং ছাড়াও এই স্কিম কার্যকরী এবং আচরণগত দক্ষতার উপরও আলোকপাত করবে।
  • এই প্রকল্পে তাদের নিজেদের শেখার মধ্যে দিয়ে তাদের শক্তিশালী আচরণগত ও প্রযুক্তিগত জ্ঞান প্রদান করবে।
  • এটি সারা দেশে প্রশিক্ষণের মানকে উন্নত করবে, যাতে ভারতের অন্যান্য কার্যক্রমের আকাঙ্ক্ষাগুলি এবং উন্নয়নের লক্ষ্যগুলি সম্পর্কে সাধারণ ধারণা তৈরি হয় এই প্রকল্পের মাধ্যমে।
  • এই প্রকল্প অনলাইনে শিক্ষার ওপরে জোর দেবে।
  • এই প্রকল্পে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সেরা বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় স্বতন্ত্র শিক্ষা প্রদান করবে।
  • এই মিশন সিভিল সার্ভেন্টদের সারা বিশ্বের সেরা প্রতিষ্ঠান এবং অনুশীলন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে জ্ঞান অর্জন করতে পারবে  i-GOT প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে

৫. এই মিশনের প্রতিষ্ঠানিক পরিকাঠামো:

১- প্রধানমন্ত্রীর মানবসম্পদ উন্নয়ন এই প্রকল্পে সক্ষমতা বৃদ্ধির সংস্কারের জন্য সহায়তা প্রদান করবে।

২- ক্যাপাসিটি বিল্ডিং কমিশন প্রশিক্ষণের মানচিত্রের রূপরেখা তৈরি করবে এবং কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলিকে সঠিক গাইডেন্স দেবে।

৩- মন্ত্রিপরিষদ সচিবালয় ইউনিট এই কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করবে, নির্ধারিত পরিকল্পনাগুলি কার্যকর করবে এবং তদারকি করবেন।

৪-এসপিভি(SPV) মিশনের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম পরিচালনা করবে।

এসপিভি (SPV) কী এবং এর কাজ কী:

  • এসপিভির পুরো অর্থ স্পেশাল পারপাস ভেহিকেল।এটি একটি নন প্রফিট সংস্থা যার আওতায় i GOT এর সমস্ত কাজ পরিচালনা করা হবে।
  • এটি ভারতীয় একটি অনলাইন প্লাটফর্ম।
  • এটি সৃজনশীলতা, দক্ষতা পরিচালনা করার জন্য একটি ডিজিটাল প্লাটফর্ম।
  • কার্যক্রম মূল্যায়ন করার কাজে এটি ব্যবহার করা হবে।

এই কর্মসূচিটি সরকারী কর্মচারীদের জন্য ক্ষমতা বিকাশের ভিত্তি স্থাপনের জন্য তৈরি করা হয়েছে যাতে তারা ভারতীয় সংস্কৃতি এবং সংবেদনশীলতার সংস্পর্শে আসতে পারে এবং বিশ্বজুড়ে সেরা অনুশীলনগুলি থেকে শেখার সময় তাদের শিকড়ের সাথে সংযুক্ত থাকতে পারে।

মিশন কর্মযোগী সঠিক মনোভাব, দক্ষতা এবং জ্ঞান দিয়ে ভবিষ্যতের জন্য গঠনমূলক, কল্পনাশক্তি, উদ্ভাবনী, প্রক্রিয়াকর্মী, পেশাদার, প্রগতিশীল, শক্তিশালী, সক্ষম, স্বচ্ছ এবং প্রযুক্তি-সক্ষম করে,সিভিল সার্ভিসকে নতুন ভারতের উজ্জ্বল পথসারথী করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে যাত্রা শুরু করেছে।

কেন্দ্র সরকারের সমস্ত যোজনাClick Here
পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত প্রকল্পClick Here
বাংলাভুমি হোমClick Here

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *