মহা শিবরাত্রি 2023 তিথি ও সময় ভারতীয় সময় অনুসারে। কবে পড়েছে এবছরের মহা শিবরাত্রি 2023? মহা শিবরাত্রির শুভ সময় কখন? জানুন 2023 মহা শিবরাত্রির মুহূর্ত ও কেনাকাটার শুভ মুহূর্ত এবং তাৎপর্য। এই বছরের কবে মহা শিবরাত্রি? জেনে নিন কেনাকাটার পাশাপাশি উৎসবের শুভ সময় ও মুহূর্ত। এছাড়াও মহা শিবরাত্রির তাৎপর্য, পূজা বিধি এবং এই সময় কি কাজ করা উচিৎ ও কি না করা উচিৎ জানুন সবকিছু।
মহা শিবরাত্রি 2023 (Maha Shivratri 2023): দেবাদিদেব মহাদেব শিবের মহারাত্রি অন্ধকার দূর করার জন্য এই ব্রত পালন পালিত হয়ে থাকে এবং এই ব্রত পালন করে থাকেন বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মহিলারা। তার মত স্বামী পাওয়ার উদ্দেশ্যে অনেকেই শিবরাত্রি ব্রত পালন করে থাকেন।
এই বছর মহা শিবরাত্রি 2023 কবে?
Maha Shivratri Puja
18 February 2023
SaturdayShivratri 1st Prahar Puja Muhurat
8:30 PM to 8:45 PM
Shivratri 2nd Prahar Puja Muhurat
8:45 to 11:59 PM
Shivratri 3rd Prahar Puja Muhurat
11:59 PM to 3:00 AM
Shivratri 4th Prahar Puja Muhurat
3:00 AM to 6:10 AM
শিবরাত্রি পুজার বাংলায় তারিখ
মহা শিবরাত্রি পূজা
১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
শনিবারশিবরাত্রি প্রথম প্রহরে পুজার সময়
রাত্রি ৮ঃ৩০ থেকে রাত্রি ৮ঃ৪৫ পর্যন্ত
শিবরাত্রি দ্বিতীয় প্রহরে পুজার সময়
রাত্রি ৮ঃ৪৫ থেকে রাত্রি ১১ঃ৫৯ পর্যন্ত
শিবরাত্রি তৃতীয় প্রহরে পুজার সময়
রাত্রি ১১ঃ৫৯ থেকে রাত্রি ৩ঃ০০ পর্যন্ত
শিবরাত্রি চতুর্থ প্রহরে পুজার সময়
রাত্রি ৩ঃ০০ থেকে সকাল ৬ঃ১০ পর্যন্ত
কাহিনী ও পুরাণ অনুসারে তিনটি গল্প পাওয়া যায় এই শিবরাত্রি সম্পর্কে। প্রথমত বলা যায় যে, এই শিবরাত্রির দিন এই শিব কে স্বপ্নে পেয়েছিলেন পার্বতী, আবার অন্যদিকে পার্বতীর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল মহাদেবের তাই মহা ধুমধাম এর সঙ্গে হিন্দুরা এই দিনটিতে মহাদেবের পুজো করে থাকেন এই কারণে নেপালে মহা শিবরাত্রির দিন তিন দিন আগে থেকে মন্দিরগুলো কে সাজানো হয়।
মহা শিবরাত্রির তাৎপর্য 2023:
শিবরাত্রির দিন লক্ষ লক্ষ নারী পুরুষ শিবের মাথায় দুধ, ডাবের জল, ঢেলে এবং ফুল ও বেল পাতা দিয়ে শিবের পূজা করেন। সারাদিনের উপবাস করার পর এই ব্রত পালন করে থাকেন তারা।
তবে যারা উপবাস করতে পারেন না, তারা ফল ও জল খেতে পারেন। তবে এই দিনে সারা দিন ও সারা রাতের মধ্যে কোনরকম ভাবে ঘুমানো যাবে না, তার সাথে খারাপ কোন কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে এবং দূরে কোথাও ঘুরতে যাওয়া যাবেনা।
শিবলিঙ্গ পূজার তাৎপর্য:
লিঙ্গ শব্দের অর্থ হলো চিহ্ন অথবা প্রতীক। এই প্রতীক অথবা চিহ্নতে আছে পাঁচটি জ্ঞানেন্দ্রিয়, পাঁচটি কর্মেন্দ্রিয়, পাঁচটি প্রাণ, মন ও বুদ্ধি। একটি দেশের পরিচয় যেমন বহন করে পতাকা, তেমনি এই লিঙ্গা অর্থের মূলকথা হলো প্রতীক অথবা চিহ্ন।আমাদের যখন মৃত্যু হয়, তখন জীবাত্মা সূক্ষ্ম শরীর বিচরণ করে এবং পুনরায় দেহ ধারন করে। তবে শিব, রুদ্র, মহাদেব, নামে আমাদের মধ্যে বেশি পরিচিত।
একটি শিবলিঙ্গ, আরেকটি নারায়ন শিলা এই পূজায় লাগে। শিব লিঙ্গের গঠন প্রণালী সহজ হওয়ার জন্য মূর্তি তৈরির থেকে লিঙ্গ পূজায় আমরা বেশি আগ্রহ দেখিয়ে থাকি। মাটি দিয়ে অতি সহজে অল্প সময়ের মধ্যে এই প্রতীক তৈরি করা যায় এবং পূজা শেষে বিসর্জন দেওয়া হয়ে থাকে।
সব দিক থেকে দেখলে, শিবরাত্রি অনেক তাৎপর্য বহন করে। তার সাথে সাথে মনের ইচ্ছা পূরণের জন্য শিব রাত্রি ব্রত পালন করে থাকেন বেশিরভাগ মহিলারা। বাংলায় শিবরাত্রি ব্রত আনুষ্ঠানিকভাবে পালন করে থাকেন গ্রাম বাংলার সাধারন মানুষ জন।
কথায় আছে, “শিবির তৃতীয় চোখ খুললে পৃথিবী ধ্বংসের মুখে পড়তে পারে।” সেই কারণে শিব কে সন্তুষ্ট রাখতে বাঙালি হিন্দুরা সর্বদাই তৎপর থাকেন। দেবাদিদেব মহাদেবের মাথা ঠান্ডা রাখতে নিয়ম মেনে ডাবের জল, দুধ ও সাধারণ জল ঢেলে থাকেন শিবলিঙ্গের ওপর।
তাছাড়া এই পূজার মধ্যে দিয়ে আনন্দ উৎসব পালিত হয়ে থাকে অনেক জায়গায়। এই উপলক্ষে অনেক জায়গায় মেলা অনুষ্ঠিত হয়। সাধারণ মানুষেরা সেখানে পূজার পাশাপাশি মেলাতে ভীষণভাবে আনন্দ করেন। তার সাথে সাথে ভক্তি ও শ্রদ্ধা মিলিত ভক্তদের মন খুশিতে ভরে ওঠে।