যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে নিজেদের ফ্যাশনটা বজায় রাখার জন্য ছোট থেকে বড় সবাই আজকে বেশ সচেতন। স্টাইলিশ লুক বজায় রাখার জন্য কত কিছুই না খেয়াল রাখতে হয়। তবে স্টাইলিশ দেখানোর জন্য অতিরিক্ত সাজগোজ, দামি জামা কাপড়, এবং অনেকগুলো টাকার প্রয়োজন হয় না।
কিছু বিষয়ের উপরে সামান্য খেয়াল রাখলেই সারাক্ষণই স্টাইলিশ লুক বজায় রাখা যায়। অনেকেই আছেন ঘরে থেকে বাইরে স্টাইলিশ ভাবে থাকতে পছন্দ করেন।
এটা তাদের একটা অভ্যাসও বলতে পারেন, সেক্ষেত্রে কিন্তু তারা প্রতিনিয়ত নতুন নতুন স্টাইল, পুরনো জামা কাপড় দিয়ে নিজের যা আছে তা দিয়েই স্টাইল করার চেষ্টা করেন।
চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক, এমন কিছু টিপস যেগুলো দিয়ে আপনি সহজেই আপনার স্টাইলিশ লুক বজায় রাখতে পারবেন –
১) স্টাইলিশ মানে ভারী কিছু নয় :
কোন অনুষ্ঠানে যাওয়ার সময় যত রকমের সাজগোজ, গয়নাগাটি এবং অতিরিক্ত মেকআপ যতটা আছে ততটা নিজের ওপর চাপিয়ে দেওয়া মানেই স্টাইল নয়, বরং হালকাভাবে নিজের ফ্যাশন লুকটা বজায় রাখা টাই স্টাইলিশ থাকা।
কোন জামাকাপড়ের সাথে কোন জুয়েলারি চলে তার একটা ভাল ধারণা থাকা প্রয়োজন। যার ফলে আপনার সুন্দর দেখতে লাগবে সবার মাঝে।
২) ওভারকোট এর ব্যবহার :
স্লিভলেস কোন ড্রেস আপনার যদি থেকে থাকে তার সাথে ডেনিম অথবা কটন বা অন্য কোন কাপড়ের ওভারকোট, শর্ট কোট পড়তে পারেন আপনি। এটায় কিন্তু আপনার স্টাইলিশ লুক অনেকটাই বেড়ে যাবে।
এখন তো অনেকে শাড়ির সাথে ও কোট পরতে পছন্দ করেন। বিভিন্ন রকমের হালকা ডিজাইনের শাড়ির সাথে পরতেও ভালোবাসেন অনেকেই। এগুলো আবার অফিসে বিশেষভাবে প্রযোজ্য।
৩) অতিরিক্ত গয়না নয় :
বিয়ে বাড়িতে গিয়েছেন এমন ভাবে সেজে তাতে বিয়ের কনে এবং আপনাকে একই রকম দেখতে লাগে, তেমন করে নিশ্চয়ই সেজে যাবেন না? হালকা লুকে আপনাকে বেশি স্টাইলিশ লাগবে।
যত রকমের গয়না আপনার রয়েছে তা সোনার হোক অথবা ইমিটেশন, সেগুলো সবটাই শরীরে চাপানোর মাধ্যমে আপনার স্টাইল বজায় থাকবে না।
বরং অন্য রকম দেখতে লাগবে আপনাকে। সবাই ঘুরে ঘুরে আপনার দিকে তাকাবে এই কারণে যে আপনি সবার থেকে আলাদা ভাবে সেজেছেন, তবে ভালো দিক, নয় খারাপ দিকটাই বেশি প্রকাশ পাবে।
৪) নো মেকআপ মেকআপ লুক :
ন্যাচরল বিউটি ধরে রাখার জন্য এবং তা বাইরে প্রকাশ করার ক্ষেত্রে আপনি কিন্তু হয়ে উঠতে পারেন সবার মধ্যে অনন্যা। তাই মেকআপ করুন, তবে সেটা একটু বুঝে, জায়গা বিশেষ মেকআপ করুন।
তবে নো মেকআপ মেকআপ লুকটায় আপনার কিন্তু সবচেয়ে বেশি স্টাইলিশ দেখাবে। যত হালকা রাখবেন আপনার মেকআপ ততই বেশি উজ্জলতা বৃদ্ধি পাবে আপনার। তবে মেকাপের ধরন ও পদ্ধতি সঠিকভাবে করা প্রয়োজন।
৫) শাড়ি দিয়ে ড্রেস :
আলমারিতে পুরনো কোন শাড়ি পড়ে থাকলে তা দিয়ে বানিয়ে ফেলুন নিউ স্টাইলের কোন ড্রেস অথবা স্টাইলিশ কোন কুর্তি অনায়াসেই পরতে পারেন আপনি।
আজকালকার ফ্যাশনের সাথে তাল মিলিয়ে সেই শাড়িটা হয়তো আপনি কখনই পড়তে পারতেন না। ড্রেস বানানোর পর সেটা পরতে পারবেন অনায়াসেই সব জায়গাতেই।
৬) ঢিলেঢালা পোশাকে বেল্ট :
এমন অনেক ড্রেস থাকে যেগুলো অনেকটাই ঢিলেঢালা, কিন্তু তাতে বেশি কারিগরি করার প্রয়োজন নেই। আর আপনার চিন্তা করারও কোনো বিষয় নয়়।
ড্রেসটা স্বাভাবিকভাবেই পড়লেন তারপরে সুন্দর দেখতে একটি বেল্ট কোমরে পড়ে নিন, দেখবেন আপনার লুক সম্পূর্ণ চেঞ্জ হয়ে গেছে স্টাইল এর সাথে। তাহলে আর চিন্তা কিসের! এমন ড্রেস যদি আপনার ওয়ারড্রবে থাকে তাহলে একটা সুন্দর বেল্টের মাধ্যমে করে ফেলুন তাকে ডিজাইনার কোন ফ্যাশনেবল ড্রেস।
৭) কিউট এবং স্টাইলিশ জুতো :
জুতোর দিকটা বিশেষভাবে খেয়াল রাখা জরুরী। কারণ অনেকেই আছেন ড্রেস, মেকআপ, তার সাথে ভালো ভাবে খেয়াল করেন জুতোর বিষয়়টা । আপনার পছন্দ গুলো কিন্তু অনেকটাই আপনার ব্যক্তিত্বের প্রকাশ ঘটায়।
তাই কিউট এবং স্টাইলিশ, সবার থেকে আলাদা, নজরকাড়া ডিজাইনের জুতো পরতে পারেন আপনার পায়ের মাপ অনুযায়ী, সঠিক মাপের সুন্দর দেখতে জুতো পরলে আপনার ড্রেসের সাথে সাথে স্টাইলিশ দেখতে লাগবে অনেকটাই।
এমন কিউট স্টাইলিশ জুতো এখন মার্কেটে আপনি অনায়াসেই পেয়ে যাবেন। শুধু অপেক্ষা আপনার পছন্দমত দামে সামঞ্জস্য বজায় রেখে সেগুলো কালেকশনে রাখা।
৮) স্কার্ফ এর ব্যবহার :
অনেক ড্রেসের সাথে স্কার্ফ ব্যবহার করলে আপনাকে বেশ সুন্দর লাগে দেখতে। দামেও কম এবং স্টাইলে অনেক সুন্দর। হালকা-পাতলা স্কার্ফ ব্যবহার করতে পারেন। তাছাড়া পুরনো জামা কাপড় রং ঠিক যদি থেকে থাকে তাহলে কিন্তু সেগুলো দিয়েও নতুনভবে পরে স্টাইল বজায় রাখতে পারেন আপনি।
বিশেষ কিছু বিষয়ের উপর খেয়াল রাখাটা জরুরি। হাই নেক গলা ড্রেসের সাথে কখনোই নেকলেস পরতে যাবেন না। কানে ছোট ইয়ার রিং, সাথে হাতের ব্রেসলেট এতটাই যথেষ্ট।
ফ্যাশনেবল কোন গাউন এর সাথে হালকা ডায়মন্ড সেপের জুয়েলারি পরতে পারেন, এতে কিন্তু আপনার মধ্যে স্টান্ডার্ড লুক বজায় থাকবে। দামি জিনিস মানে অনেক বেশী ফ্যাশনেবল এমনটাও তো নাও হতে পারে।
এমন অনেক জিনিস আছে যেগুলো কমদাম হলেও ফ্যাশন এবং স্টাইলিশ দেখায়। সেগুলো একটু দেখে কিনতে পারলেই আপনি সহজেই অল্প খরচে নিজের স্টাইলিশ লুক বজায় রাখতে পারবেন। তাহলে আর কি, মনটাকে স্টাইলিশ রেখে সব সময় নিজের স্টাইলিশ লুক বজায় রাখতে পারেন আপনি।
[democracy id=”5″]