হোলিকা দহন 2023 তারিখ ও সময় | Holika Dahan 2023 Date & Muhurat

হোলিকা দহন 2023 তিথি ও সময় ভারতীয় সময় অনুসারে। কবে পড়েছে এবছরের হোলিকা দহন 2023? হোলিকা দহনর শুভ সময় কখন? জানুন 2023 হোলিকা দহনর মুহূর্ত ও কেনাকাটার শুভ মুহূর্ত এবং তাৎপর্য। এই বছরের কবে হোলিকা দহন? জেনে নিন কেনাকাটার পাশাপাশি উৎসবের শুভ সময় ও মুহূর্ত। এছাড়াও হোলিকা দহনর তাৎপর্য, পূজা বিধি এবং এই সময় কি কাজ করা উচিৎ ও কি না করা উচিৎ জানুন সবকিছু।

হোলিকা দহন তারিখ ও সময় | Holika Dahan Date & Muhurat
হোলিকা দহন 2023 তারিখ ও সময় | Holika Dahan 2023 Date & Muhurat

হোলিকা দহন 2023 (Holika Dahan 2023): একদিন পরেই দোলযাত্রা অর্থাৎ দোলযাত্রার আগের দিন পালন করা হয় হোলিকা দহন। বাংলায় যাকে চলতি ভাষায় বলা হয় ন্যাড়াপোড়া। এই দিনটিতে ভক্তরা নরসিংহের পূজা করেন এবং কয়েকটি পবিত্র স্তুতি বন্দনার মাধ্যমে প্রহ্লাদের মাহাত্ম্য স্মরণ করা হয়।

এই বছর হোলিকা দহন 2023 কবে?

Holika Dahan
7 March 2023
Tuesday

Purnima Muhurat Start
4:15 PM on 6 March 2023
Purnima Muhurat End
6:05 PM on 7 March 2023

হোলিকা দহনের বাংলায় তারিখ

হোলিকা দহন/ন্যাড়া পোড়া
৭ মার্চ ২০২৩
মঙ্গলবার

পূর্ণিমা মুহূর্ত শুরু
৬ মার্চ ২০২৩, বিকাল ৪ঃ১৫ টায়
পূর্ণিমা মুহূর্ত শেষ
৭ মার্চ ২০২৩, সন্ধ্যে ৬ঃ০৫ টায়

 

রাক্ষস রাজা হিরণ্যশিপুর বোন হোলিকা এর নাম অনুসারে নামকরণ করা হয়েছে এই উৎসবের। তার সাথে সাথে পরে যে হোলি উৎসব পালন করা হয়, সেটা হল অশুভ শক্তির পরাজয় ঘটিয়ে শুভ শক্তির জয়ের প্রতি হিসেবে।

2023 হোলিকা দহন শুভেচ্ছা বার্তা ও স্ট্যাটাস

হোলিকা দহন/ন্যাড়া পোড়ার তাৎপর্য:

হোলিকার এই অগ্নিদগ্ধ হওয়ার ঘটনায় আসলে বাংলায় ন্যাড়াপোড়া নামে পরিচিত। আবার হোলিকা দহন ও বলা যেতে পারে। এর এক কথায় অর্থ হল অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটিয়ে শুভ শক্তিকে আহ্বান জানানো।

তবে এই ন্যাড়া পোড়া পালনের কিছু বিশেষ পদ্ধতি আছে। গাছের শুকিয়ে যাওয়া ডালপালা দিয়ে বুড়ির বাড়ি তৈরি করে তাতে আগুন দেওয়া হয়। দোলের আগে এই ন্যাড়া পোড়া উৎসব পালন করা হয়। ফাল্গুনী শুক্ল পক্ষের চতুর্দশতম দিন যেটা দোলযাত্রা হিসাবে পরিচিত।

পুরাণ অনুসারে এই বিশেষ দিনেই ভগবান বিষ্ণু, হোলিকা দহনের মাধ্যমে অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটিয়েছিলেন। আর সেই দিনটি স্মরণ করে আগাছা, জঞ্জাল, পুরনো গাছ পালার শুকিয়ে যাওয়া ডালপালা এগুলি এক জায়গায় করে সেখানে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে চারিদিক পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার সাথে সাথে অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটানো হয় বলে মনে করা হয়।

পরের দিন ফাল্গুনী পূর্ণিমা তে হোলিকার মৃত্যুতে খুশি মানুষের মধ্যে যেন রংয়ের খুশি ছড়িয়ে দিয়েছিল। সেই কারণে হোলির দিন বিভিন্ন রকমের রং দিয়ে খেলার মধ্যে দিয়ে এই খুশির উৎসব পালন করা হয়। যেখানে অশুভ শক্তি হোলিকা আগুনে পুড়ে মরে যাওয়ার এই ঘটনা সবাইকে ভীষণ আনন্দিত করেছিল।

চারিদিকে গাছপালার শুকনো ডালপালা দিয়ে যেমন জড়ো করে লতাপাতা শুকনো জঞ্জাল সবকিছু এক জায়গায় করে সেখানে আগুন দিয়ে যেমন ন্যাড়া পোড়ানো হয়, তেমনি আমাদের পরিবেশ অনেক খানি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হয়ে যায়। তার পাশাপাশি তিথি, নক্ষত্র ও রীতি অনুসারে এই হোলিকা দহন সমস্ত অশুভ শক্তিকে দূরে সরিয়ে দিয়ে তার বিনাশ ঘটিয়ে শুভ শক্তিকে স্বাগত জানানো হয়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top