হোলি 2024 তিথি ও সময় ভারতীয় সময় অনুসারে। কবে পড়েছে এবছরের হোলি 2024? হোলির শুভ সময় কখন? জানুন 2024 হোলির মুহূর্ত ও কেনাকাটার শুভ মুহূর্ত এবং তাৎপর্য। এই বছরের কবে হোলি? জেনে নিন কেনাকাটার পাশাপাশি উৎসবের শুভ সময় ও মুহূর্ত। এছাড়াও হোলির তাৎপর্য, পূজা বিধি এবং এই সময় কি কাজ করা উচিৎ ও কি না করা উচিৎ জানুন সবকিছু।
হোলি 2024 (Holi 2024): ভারতীয়দের কাছে এই হোলি উৎসব একটি অত্যন্ত আনন্দের উৎসব নামে পরিচিত। ভারত ছাড়াও পৃথিবীর আরো অন্যান্য প্রান্তে আনন্দের সাথে বিভিন্ন রং এবং ফুলের উৎসব পালন করা হয়। এই হোলি বা দোলযাত্রা হচ্ছে ভক্ত এবং ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নিকট আনন্দের বহিঃপ্রকাশ ঘটানোর একটি সুন্দর উৎসব।
এই বছর হোলি 2024 কবে?
Holi Festival
25 March 2024
MondayPurnima Muhurat Start
9:50 AM on 24 March 2024
Purnima Muhurat End
12:43 AM on 25 March 2024
হোলি উৎসবের বাংলায় তারিখ
হোলি উৎসব
২৫ মার্চ ২০২৪
সোমবারপূর্ণিমা মুহূর্ত শুরু
২৪ মার্চ ২০২৪, সকাল ৯ঃ৫০ টায়
পূর্ণিমা মুহূর্ত শেষ
২৫ মার্চ ২০২৪, রাত্রি ১২ঃ৪৩ টায়
যেকোনো উৎসব মানেই কিন্তু আনন্দ, আর যদি সেই উৎসবটি হয় রংয়ের উৎসব তাহলে তো আর কথাই নেই। ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমার দিনে বা মার্চ মাসের মাঝামাঝিতে বসন্তের এই রঙিন উৎসবটি পালন করা হয়। দেশের বিভিন্ন জায়গায় এই উৎসব পালিত হয়। এটি একটি বাঙালি দের কাছে দোলযাত্রা অথবা বসন্ত উৎসব নামেও পরিচিত যেটা আমরা সচরাচর হোলি নামে জানি।
2024 হোলি উৎসবের শুভেচ্ছা বার্তা ও স্ট্যাটাস ছবি
হোলি উৎসবের তাৎপর্য 2024:
আমরা সকলেই জানি যে, হোলি উৎসব রঙের উৎসব যা কিনা একদিকে ভালবাসার উৎসব যেখানে সকলেই আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে থাকেন। বলা যেতে পারে জীবনে ছন্দ, রং, প্রেম, প্রীতি না থাকলে সে জীবন সাদাকালো তে পরিণত হয়। যেটা মানুষকে জীবন বিমুখ করে তোলে। সুন্দরভাবে বাঁচার জন্য যা যা প্রয়োজন তার মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হলো রঙ্গিন জীবনযাত্রা। যার মধ্যে দিয়ে এই হোলি উৎসব সবার মধ্যে আনন্দ, প্রেম, প্রীতি, ছড়িয়ে দেয়।
এছাড়া বলা যেতে পারে হোলির আগের দিন হোলিকা দহনের মাধ্যমে অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটিয়ে শুভ শক্তি কে আহবান জানানো এবং পরের দিন হোলি খেলার মধ্যে দিয়ে জীবনকে আরো বেশি সুন্দর ও রঙিনময় করে তোলার জন্য এই উৎসব মানুষের জীবনে অনেক খানি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
তাইতো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কথায় “ওরে গৃহবাসী খোল দ্বার খোল লাগলো যে দোল স্থলে জলে বন স্থলে লাগল যে দোল দ্বার খোল দ্বার খোল, ওরে গৃহবাসী।” কি? শান্তিনিকেতনের সেই আমেজ মনে পড়ে গেল তাই তো ! দোল উৎসবে এমন কোন মানুষ নেই যার শরীরে রঙের ছোঁয়া নেই, বিভিন্ন রঙের আবির, রং সবকিছু দিয়ে এই দিনটি একেবারে রঙিন হয়ে ওঠে। আকাশে বাতাসে মাটিতে সব জায়গায় রঙের ছোঁয়া। আমাদের সাথে সাথে পরিবেশ ও যেন দোল উৎসবে মেতে ওঠে।
সকাল থেকে গুরুজনদের পায়ে আবির দিয়ে প্রণাম করা তারপর বালতিতে রং গুলে সবার গায়ে দেওয়ার আনন্দ সারা জীবনেও ভোলার নয়। বিভিন্ন রকমের রান্না বান্না, মিষ্টি, পাপড়, নারকেল নাড়ু আরো অন্যান্য খাবার বাড়িতে মায়ের হাতে তৈরি হয়, যা দোল পূর্ণিমাকে আরো বেশি সুমধুর করে তোলে। আবির খেলা, রং খেলা তার সাথে সাথে মিষ্টি মুখ চলে সারা দিন ধরে। ছোট্ট শিশুদের আনন্দের বাঁধ ভেঙে যায়, তার সাথে সাথে বড়রাও এই দিন সবকিছু ভুলে বাচ্চাদের মতোই রং খেলায় মেতে ওঠেন।