গুরু রবিদাস জয়ন্তী 2024 তিথি ও সময় ভারতীয় সময় অনুসারে। কবে পড়েছে এবছরের গুরু রবিদাস জয়ন্তী 2024? গুরু রবিদাস জয়ন্তীর শুভ সময় কখন? জানুন 2024 গুরু রবিদাস জয়ন্তীর মুহূর্ত ও কেনাকাটার শুভ মুহূর্ত এবং তাৎপর্য। এই বছরের কবে গুরু রবিদাস জয়ন্তী? জেনে নিন কেনাকাটার পাশাপাশি উৎসবের শুভ সময় ও মুহূর্ত। এছাড়াও গুরু রবিদাস জয়ন্তীর তাৎপর্য, পূজা বিধি এবং এই সময় কি কাজ করা উচিৎ ও কি না করা উচিৎ জানুন সবকিছু।
গুরু রবিদাস জয়ন্তী 2024 (Guru Ravidas Jayanti 2024): গুরু রবিদাস রাইদাস নামে ও পরিচিত ছিলেন। তিনি ভারতের উত্তরপ্রদেশের বারানসীর কাছে সির গোবর্ধনপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার জন্মস্থান এখন শ্রীগুরু রবিদাস জন্মস্থান হিসেবে পরিচিত। তার পিতা মাতা চামড়া কর্মী, চামার সম্প্রদায়ের অন্তর্গত ছিল যা তাদেরকে অস্পৃশ্য জাতি বানিয়েছিল।
এই বছর গুরু রবিদাস জয়ন্তী 2024 কবে?
Guru Ravidas Jayanti
24 February 2024
SaturdayThis is the 647th Jayanti of Guru Ravidas Jayanti
গুরু রবিদাস জয়ন্তীর বাংলায় তারিখ
গুরু রবিদাস জয়ন্তী
২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
শনিবারএটি গুরু রবিদাসের ৬৪৭তম জয়ন্তী
১৫ থেকে ১৬ শতাব্দীতে নামদেব, মীরাবাই এর মতো শ্রী হরির ও রামকৃষ্ণের মত বৈষ্ণব অবতারের ভক্তি আন্দোলনের একজন মরমী কবি সন্ত ছিলেন তিনি এবং তিনি রবিদাসী সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতাও। এছাড়াও রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ, পাঞ্জাব ও হরিয়ানা অঞ্চলে গুরু হিসেবে পূজিত হয়ে আসছেন। তিনি ছিলেন একজন কবি সাধক, সমাজ সংস্কারক এবং আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব।
গুরু রবিদাস জয়ন্তীর তাৎপর্য 2024:
গুরু রবিদাস জয়ন্তী পালন করা হয় তার জন্ম কে চিহ্নিত করে অর্থাৎ তার জন্মদিন পালন করা হয় এই দিনে। তাছাড়া তিনি ভক্তি আন্দোলনে অবদান রেখেছেন এবং কবিরের একজন ভালো বন্ধু হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
অনেকেই তাকে অনুসরণ করেন, তাদের মধ্যে একটি বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে, শুধুমাত্র যারা রবিদাস কে অনুসরণ করে না, অন্যরাও যারা রবিদাসকে কোনো না কোনোভাবে সম্মান করে থাকেন, তারা কিন্তু এই গুরু রবিদাস জয়ন্তী খুবই নিষ্ঠার সাথে পালন করে থাকেন।
গুরু রবিদাস এর সাহিত্যিক কাজ:
শিখদের আদি গ্রন্থ এবং হিন্দু যোদ্ধা তপস্বী গোষ্ঠী দাদু পন্থীদের পাঁচ ভানি হল রবি দাসের সাহিত্যকর্মের দুটি প্রাচীন উৎস। ডেভিড লরেঞ্জেন বলেন, “রবি দাসের কবিতা ঈশ্বরের প্রতি সীমাহীন প্রেমময়, ভক্তির বিষয় দ্বারা আবৃত। যেখানে এই ঈশ্বরকে নির্গুণ রূপে কল্পনা করা হয়েছে।”
নানকের কবিতার বিষয়বস্তু রবিদাস এবং অন্যান্য প্রধান উত্তর ভারতীয় সাধু কবিদের নির্গুন ভক্তি ধারণার সাথে ব্যাপকভাবে মিল পাওয়া যায়। অধিকাংশ উত্তর আধুনিক পণ্ডিতরা রবিদাসের ভাবনাকে ভক্তি আন্দোলনের মধ্যে নির্গুণ দর্শনের অন্তর্ভুক্ত বলে মনে করেন।
গুরু রবিদাস এর মৃত্যু হয়েছিল ১৫২০ খ্রিস্টাব্দ তে বারাণসী তে। গুরু রবিদাসের ভক্তিমূলক শ্লোক বলে গুরু গ্রন্থ সাহেব নামে পরিচিত, যা কিনা শিখ ধর্মগ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত ছিল। হিন্দু ধর্মের মধ্যে দাদু পন্থী ঐতিহ্যের পঞ্চবাণী পাঠে রবিদাসের অসংখ্য কবিতা ও শামিল রয়েছে।
তিনি বর্ণ ও লিঙ্গের সামাজিক বিভাজন দূর করার জন্য শিক্ষা দিয়েছিলেন এবং ব্যক্তিগত আধ্যাত্মিক সুপরিচিত সাধনায় ঐক্য প্রচার করেছিলেন। এর পাশাপাশি বিভিন্ন পণ্ডিতদের মত অনুসারে তিনি ১৩৮৮ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৫১৮ খ্রিস্টাব্দে মারা যান।