গৌরী পূজা 2024 তিথি ও সময় ভারতীয় সময় অনুসারে। কবে পড়েছে এবছরের গৌরী পূজা 2024? গৌরী পূজার শুভ সময় কখন? জানুন 2024 গৌরী পূজার মুহূর্ত ও কেনাকাটার শুভ মুহূর্ত এবং তাৎপর্য। এই বছরের কবে গৌরী পূজা? জেনে নিন কেনাকাটার পাশাপাশি উৎসবের শুভ সময় ও মুহূর্ত। এছাড়াও গৌরী পূজার তাৎপর্য, পূজা বিধি এবং এই সময় কি কাজ করা উচিৎ ও কি না করা উচিৎ জানুন সবকিছু।
গৌরী পূজা 2024 (Gauri Puja 2024): গৌরী, যার আর এক নাম পার্বতী। আর যিনি হলেন একজন হিন্দু দেবী, তিনি শিবের স্ত্রী এবং আদি পরাশক্তি দেবী দুর্গার আর এক নাম গৌরী। বাঙালি হিন্দু সমাজের শিব পার্বতীর যুগল মূর্তির পূজা তেমনভাবে সচরাচর চোখে পড়ে না। তাই সচরাচর দেখা যায় তা হল শিব পূজা, কিন্তু শিব ও পার্বতী একে অপরের পরিপূরক। এই জন্য পশ্চিমবঙ্গে না হোক, কিন্তু ভারতীয় অ-বাঙালি শৈব সম্প্রদায়ের মধ্যে শিব পার্বতীর যুগল মূর্তির পূজা খুবই জনপ্রিয়।
এই বছর গৌরী পূজা 2024 কবে?
Gauri Puja
11 September 2024
Wednesday
গৌরী পুজার বাংলায় তারিখ
গৌরী পূজা
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
বুধবার
অষ্টমী তিথিতে মহা গৌরীর পূজা করা হয়। তিনি নব দুর্গার অন্যতম ও দেবী দুর্গার অষ্টম শক্তি। সাদা পোশাক পরিহিতা, চারটি হাত বিশিষ্টা, দেবীর বাহন হল ষাঁড়। মা দুর্গা এখানে শান্ত প্রকৃতির। যার আট বছর বয়স বলে মনে করা হয়।
গৌরী পূজার বিধি 2024:
যে কোনো পূজা অর্চনা করতে গেলে শুদ্ধভাবে তা করতে হয়। তাই গৌরী পূজার ক্ষেত্রেও তার অন্যথা নয়।
১) সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রতিদিনের দৈনন্দিন কাজ সেরে, স্নান করে, পরিষ্কার কাপড় পরে, রুদ্রাক্ষ মালা ধারণ করে, পঞ্চ অক্ষর বা ষষ্ঠ অক্ষর মন্ত্র জপ করে তারপর নিত্য পূজা করতে বসতে হয়।
২) তবে যতটা পারবেন চেষ্টা করবেন উপবাস থেকে পূজা করার, যদি না উপবাস পালন করতে না পারেন, সে ক্ষেত্রেও কোন দোষ নেই, তবে এই ক্ষেত্রে আমিষ জাতীয় কোন খাবার খাওয়া চলবে না।
৩) এই বিধান মেনে আপনি শুধুমাত্র বাড়িতে বা মন্দিরে প্রতিষ্ঠিত শিব পার্বতীর যুগল মূর্তির পূজা করতে পারবেন নিষ্ঠা ভরে ভক্তির সাথে।
৪) যেকোনো একটি উপচার অনুসরণ করবেন যেমন ধরুন পঞ্চ উপচার অথবা দশ উপচার।
৫) নিত্য পূজার ক্ষেত্রে ভক্তি একটি অন্যতম অপরিহার্য বস্তু, তাই যে কোনো পূজার মতো এই গৌরী পূজা ও আপনাকে ভক্তির সাথে করতে হবে।
পঞ্চ উপচার পূজার ক্ষেত্রে যে সমস্ত সামগ্রী গুলির প্রয়োজন পড়ে সেগুলি হল:-
গন্ধ অনুসারে সুগন্ধি চন্দন বাটা, কিছু বেলপাতা, ফুলের মধ্যে সাদা, নীল, গোলাপি, লাল রঙের ফুল। এছাড়া ধুতুরা, আকন্দ, কলকে মুটি এর মত বন্যফুল এর মধ্যে যেগুলি আপনি সচরাচর পাবেন হাতের কাছে, সেগুলি দিয়েও এই গৌরী পূজা করতে পারবেন। জ্বলন্ত ধূপকাঠি, জ্বলন্ত প্রদীপ, সেটা পঞ্চ প্রদীপ ও হতে পারে।
গৌরী পূজার রীতি নীতি মেনে অনেকেই নিষ্ঠাভরে ঘরেতেই পূজা করে থাকেন। এক্ষেত্রে অনেক সময় ব্রাহ্মণের ডাকা হয়, আবার অনেক সময় ডাকা হয়ও না। তবে ফল, ফুল এবং বিভিন্ন ধরনের পূজার সামগ্রী দিয়ে গৌরী পূজা আজও অনেক বাড়িতে খুশির জোয়ার নিয়ে আসে। মহাদেবের সাথে পার্বতীর পূজা সচরাচর না হলেও যারা অ-বাঙালি তারা এই পূজা গৌরী পূজা হিসেবে বিশেষ ভাবে উদযাপন করে থাকেন।
মহা অষ্টমীতে গৌরী পূজা বিশেষ ভাবে প্রযোজ্য। আর এই পূজার মধ্যে দিয়ে সংসারে উন্নতি, ধনলাভ এবং সংসারে শান্তি বজায় থাকে বলে বিশ্বাস। যে বিশ্বাস প্রাচীন কাল থেকে এখনো পর্যন্ত মানুষের মনে অনেক খানি জায়গা করে নিয়েছে।
কোন বাড়িতে পূজার আয়োজন হলে উৎসব আর আনন্দের শেষ থাকে না। তাই ছোট থেকে বড় সকলেই এই পূজাতে অংশগ্রহণ করে আনন্দ উপভোগ করে থাকেন। শারদীয়া দুর্গাপুজোর মত অতটা আড়ম্বর না হলেও, গৌরী পূজা তে সারাদিনের পূজার আয়োজন থেকে শুরু করে প্রসাদ বিতরণ পর্যন্ত সকলকে পুজো আর উৎসবের আমেজে ভরিয়ে রাখে।