ইংরাজি নববর্ষ 2025: ইতিহাস ও তাৎপর্য | English New Year 2025: History and Significance

ইংরাজি নববর্ষ 2025 (English New Year 2025 Date Time and Significance) 2025 ইংরাজি নববর্ষ ইতিহাস এবং জানুন ইংরাজি নববর্ষ কেন পালন করা হয়? ইংরাজি নববর্ষ তাৎপর্য কি? ভারতীয়দের জন্য ইংরাজি নববর্ষ গুরুত্ব কতটা? জানুন সবকিছু এখানে।

বারো মাস নিয়ে এক বছর আর যখন সেই একটা বছর সম্পূর্ণ হয়ে আরও একটি নতুন বছরে পদার্পণ করা হয় তখন সেই নতুন বছরে যাওয়ার দিনকে নববর্ষ বলা হয়। বাংলায় যেমন পয়লা বৈশাখ তেমনি ইংরেজি ক্যালেন্ডার অনুসারে ফার্স্ট জানুয়ারি হল এমনই একটি নববর্ষ অর্থাৎ হ্যাপি নিউ ইয়ার।

ইংরাজি নববর্ষ ইতিহাস ও তাৎপর্য - English New Year History and Significance
2025 ইংরাজি নববর্ষ ইতিহাস ও তাৎপর্য – 2025 English New Year History and Significance

বেশিরভাগ দেশেই নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর উৎসব শুরু হয় ৩১ শে ডিসেম্বর সন্ধ্যে থেকেই অর্থাৎ ৩১ শে ডিসেম্বর সন্ধ্যা থেকে অনুষ্ঠান শুরু হয় এবং উদযাপন চলে জানুয়ারীর ভোর পর্যন্ত অর্থাৎ ৩১ শে ডিসেম্বর এর রাত্রে বারোটার পরে পড়ে যায় ১ লা জানুয়ারি।

নববর্ষের প্রথম দিন বাজি পোড়ানো, গান বাজনা, একে অপরের হ্যাপি নিউ ইয়ার আদান প্রদান করা, এগুলি ঐতিহ্যগত ভাবে অনেকদিন আগে থেকে হয়ে আসছে। বলা যেতে পারে এটি একটি উৎসবের মুহূর্ত, যে মুহূর্তে সকলেই পিকনিক, কোথাও ঘুরতে যাওয়া, এমনকি অনেক কাজও করে থাকেন এই দিনে।

গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী নতুন বছরের প্রথম দিন অর্থাৎ পহেলা জানুয়ারি এই দিনটিকে প্রায় সমগ্র বিশ্বে নতুন বছর হিসেবে ধরা হয়। পরিবার ও বন্ধুবান্ধব নিয়ে এই দিনটিকে সুন্দরভাবে উদযাপন করে থাকেন কোটি কোটি মানুষ।

কেউ বা এই দিনটি উপলক্ষে ঘরটাকে সুন্দর করে সাজান, বাড়িতে পার্টি রাখেন, প্রিয় মানুষটির জন্য কেক কাটেন, আবার অনেকে উপহার আদান প্রদান করে থাকেন এবং সারা বছর কিভাবে কাটাবেন তার পরিকল্পনা করে নেন, তার সাথে সাথে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে থাকেন।

2025 ইংরাজি নববর্ষ শুভেচ্ছা বার্তা ও স্ট্যাটাস

English New Year এর ইতিহাস 2025:

প্রতিটি উৎসব কোন না কোন সময় থেকে শুরু হয়েছে, সেই কারণে তার ইতিহাস তো অবশ্যই থাকবে, তাই না ! তবে মনে করা হয় প্রায় চার হাজার (৪০০০) বছর আগের কথা, এই হ্যাপি নিউ ইয়ার (Happy New Year) পালন করার বিষয়টি ব্যাবিলনের বাসিন্দারা এগারো দিন ধরে একটা উৎসবের আয়োজন করে নববর্ষকে স্বাগত জানানোর জন্য।

সেই উৎসবের নাম ছিল আকিতু। প্রতিটি দিনই ভিন্ন ভিন্ন রীতির উৎসবের আয়োজন করা হতো সেই সময়। নববর্ষের পাশাপাশি আকিতু কে অশুভ সমুদ্র দেবী তিয়ামাতের বিরুদ্ধে ব্যাবিলনীয় আকাশ দেবতা মাদকের পৌরাণিক বিজয় হিসেবে উদযাপনের প্রথা ছিল।

ওই সময়ে নতুন রাজাকে মুকুট পরানো হতো। তবে অনুমান করা হয় যে, সম্ভবত সেখান থেকেই এই ১ লা জানুয়ারি অর্থাৎ হ্যাপি নিউ ইয়ার পালন করার বিষয়টি চলে আসছে।

ক্রিসমাস ইতিহাস ও কেন পালন করা হয়

১ লা জানুয়ারি, এই দিনটিকেই বছরের শুরু হিসেবে কেন ধরা হয়?

প্রতিটি দিনের কোন না কোন তাৎপর্য থাকে। তেমনি এই যে পয়লা জানুয়ারি এই দিনটিরও তাৎপর্য রয়েছে। সূর্যের গতিকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা রোমান ক্যালেন্ডার মোটেই সুসঙ্গত ছিল না।

খ্রিস্টের জন্মের ৪৬ বছর আগে সম্রাট জুলিয়াস সিজার এই সমস্যা দূর করতে সেই সময়ে একাধিক জ্যোতির্বিজ্ঞানী এবং গণিতবিদের সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন। তার সময়ে তৈরি সেই কেলেণ্ডারের সঙ্গে ছিল তাদের অনেক মিল, যা এখন বেশিরভাগ দেশেই অনুসরণ করা হয়।

সিজার জানুয়ারি মাসের প্রথম দিনটিকেই সংস্কারের প্রথম দিবস হিসেবে শুরু করেন। কাহিনী অনুসারে জানা যায় যে, রোমানদের দরজার দেবতা জানুস। দরজার দেবতার নাম অনুসারে জানুয়ারি মাসের নামকরণ করা হয়েছে। তাই জানুয়ারি মাসকেই নতুন বছরে প্রবেশের দ্বার হিসেবে বেছে নেওয়া হয়।

আর সেই থেকেই কিন্তু এই পয়লা জানুয়ারিকে নববর্ষ উদযাপনের দিন হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। ঐ দিন তাঁকে উপহার দিয়ে উপহারের বিনিময়ের মাধ্যমে লরেল গাছের পাতায় বাড়িঘর সাজিয়ে দিনটিকে উদযাপন করা হতো।

তবে ১৫৮২ সালে এই calendar এ পরিবর্তন ঘটিয়ে এর বর্তমান কাঠামোতে নিয়ে আসা হয়। এই পরিবর্তিত ক্যালেন্ডার এর নতুন বছরে শুরু হয় ১ লা জানুয়ারি।

জানুয়ারি মাসের প্রথম দিনটি মধ্যযুগে ধর্মীয় দিক দিয়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কেননা বিংশ শতাব্দীতে বিশ্বজুড়ে পাশ্চাত্য সভ্যতার সম্প্রসারণ এর কারণে এখন পহেলা জানুয়ারিতেই বিশ্বব্যাপী নববর্ষ দিবস পালন করা হয়।

ভ্যালেন্টাইনস ডে ইতিহাস ও কেন পালন করা হয়?

(New Year Celebration 2025) ইংরাজি নববর্ষ উদযাপন:

নতুন বছরের শুরু মানে ১ লা জানুয়ারি, যুগ যুগ ধরে এই দিনটিকে বর্ষবরণের দিন হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। 31 ডিসেম্বরে রাত থেকে চলে এই বর্ষবরণের উৎসব, আর ঠিক রাত বারোটার পরে স্বাগত জানানো হয় নতুন বছরকে।

এই সময় চারিদিকে দেখা যায় আলোর রোশনাই। শোনা যায় বিভিন্ন ধরনের বাজির শব্দ আর বড় বড় বাজি যা আকাশে বিভিন্ন ধরনের ঝর্ণা ফুলের সমারোহ ঘটায়।

বর্তমান যুগ এখন সোশ্যাল মিডিয়া এবং ইন্টারনেটের যুগ সেই কারণে এখন হ্যাপি নিউ ইয়ার এর শুভেচ্ছা জানানো হয় অনলাইনের মাধ্যমে। তবে যখন কোনরকম স্মার্টফোন ছিল না, ইন্টারনেট ছিল না, তখন গ্রিটিংস কার্ড এর মাধ্যমে বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজনদের নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানানো হতো।

সেখানে সুন্দর সুন্দর ডিজাইনের এবং ফুল পাখির ছবিতে গিটিংস কার্ড পাওয়া যেত। আর মনের মত করে ছড়ার মাধ্যমে সেখানে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানানো হত। তবে আজ সে সমস্ত বিষয় অতীত।

এখন whatsapp, facebook এবং আরো অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে এই দিনের শুভেচ্ছা জানানো হয় বিভিন্ন রকমের ফটোগ্রাফ, ভিডিওর মাধ্যমে। অন্যান্য দেশের সাথে সাথে ভারতেও এই দিনটি খুবই আনন্দের সাথে পালন করা হয়।

৩১ শে ডিসেম্বর থেকে অনুষ্ঠান শুরু হয়ে যায় পাড়ায় পাড়ায়। হইচই, মিষ্টি মুখ, চকলেট বিতরণ, শুভেচ্ছা আদান প্রদানের মধ্যে দিয়ে জানুয়ারির 1 তারিখে নতুন বছর কে স্বাগত জানানো হয়।

আর সেই অনেকদিন আগে থেকে এই ভাবেই চলে আসছে পহেলা জানুয়ারির দিনটি হ্যাপি নিউ ইয়ার দিবস হিসাবে। যে দিনটিতে বিভিন্ন জায়গায় উৎসব অনুষ্ঠান এর আয়োজনও করা হয়। যেখানে স্থানীয় মানুষজন খুবই আনন্দের সাথে নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে থাকেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top