ওজন কমাতে এই আটার রুটি দারুন কার্যকরী, আপনি কি জানেন কি কি আটা?

অনিয়মিত লাইফ স্টাইল এবং অন্যান্য বিভিন্ন কারণে ওজন বেড়ে যাওয়া এখনকার দিনে যেন একটা সাধারন সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সে কারণে দিন দিন বেড়ে চলেছে ওজন কমানোর আপ্রাণ প্রচেষ্টা

সে ক্ষেত্রে অনেকেই ভাত খাওয়ার বদলে আটার রুটি খাওয়া শুরু করে দিয়েছেন। যাতে তাদের মনমতো ওজনটা কমাতে পারেন।

স্বাস্থ্য সচেতনতার দিক থেকে সব সময়ে পুষ্টিকর খাবার পাতে রাখাটাই জরুরি। তার মধ্যে অন্যতম হলো রুটি। রুটিতে কিন্তু প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা আমাদের শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার এর প্রয়োজন মেটায়। কমবেশি সকলেই জলখাবার অথবা রাত্রে রুটি খেয়ে থাকেন।

রুটি খাওয়া কিন্তু স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। তবে ফোন আটার রুটি খেলে ওজন তরতরিয়ে কমবে তা হয়তো অনেকেরই অজানা। ভাতের তুলনায় রুটিতে পুষ্টিগুণ বেশি থাকে তাই রুটি খেলে ওজনে তেমন প্রভাব পড়ে না।

Best Flour Roti for Lose Weight
Best Flour Roti for Lose Weight

পুষ্টিবিদদের মতে ওজন কমাতে গেলে এই বিশেষ ধরনের আঠা বেশ উপকারী। এই বিশেষ কয়েক রকমের আটার রুটি খেতে পারেন আপনি, আপনার মনের মত ওজন পাওয়ার জন্য।

বর্তমানে অনলাইন কিংবা সুপারশপে আপনি পেয়ে যাবেন এসব আটা, চিন্তার কোন কারণ নেই। এই ধরনের আটায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও পুষ্টিগুণ ভরপুর মাত্রায় থাকে। ফলে নিয়মিত এসব আটার রুটি খেলে শরীরে পুষ্টিগুণ বজায় থাকার পাশাপাশি ওজন দ্রুত ঝরবে। পাশাপাশি শরীরের মিলবে অনেক উপকার।

তবে চলুন জেনে নেওয়া যাক সেসব বিশেষ ধরনের আটা সম্পর্কে:-

যেসব আটার রুটি খেলে আপনার শরীরের পুষ্টিগুণ বজায় থাকার পাশাপাশি শরীরের মেদ ঝরিয়ে দ্রুতগতিতে।

#১) জোয়ার এর আটার রুটি:

নামটা হয়তো অনেকেরই অজানা কিন্তু অনেকেই আবার এই আটার সম্পর্কে বেশ ভালোভাবেই সম্পর্কিত। জোয়ারের ময়দায় থাকে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ভিটামিন, যা হজম শক্তি বৃদ্ধি করে।

ওজন কমানোর পাশাপাশি যারা পেটের যাবতীয় সমস্যায় ভুগছেন, তাদের জন্য এই আটা বেশ উপকারী। এই ময়দা অথবা আটা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

তবে জোয়ারের আটা একটু আঠালো টাইপের, তাই জোয়ারের রুটি তৈরি করতে সমস্যা হলে এর সঙ্গে সামান্য পরিমাণ গমের আটা মিশিয়ে রুটি বানাতে পারেন।

#২) রাগির আটার রুটি:

রাগির আটা তেও প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও অ্যামাইনো এসিড  থাকে। এই আটার উপকারী দিক হলো, এই আটার রুটি খেলে আপনার পেট ভরে থাকার পাশাপাশি  ক্ষিদে টাও  কমিয়ে রাখে।

তার ফলে ওজন দ্রুত গতিতে কমতে থাকে। তার ফলে স্বাভাবিকভাবেই অতিরিক্ত খাবার ইচ্ছাটাই কমে যায়়। ফলে দ্রুত ওজন কমে। রাগির আটার রুটি আবার খুব সহজেই হজম হয়ে যায়।

#৩) বাজরার আটার রুটি:

আগের দিনের ঠাকুরমা দিদিমারা এইসব আটার রুটি সম্পর্কে বেশ ভালভাবেই অবগত ছিলেন। কারণ তখন এইসব আটার রুটি খেয়ে মানুষ অনেক দিন পর্যন্ত সুস্থ সবল ও সুন্দর ছিলেন।

গ্লুটেন মুক্ত এবং অনেক ফাইবার যুক্ত বাজরার আটাও স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। এতে প্রোটিন, ফাইবার, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন সহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান থাকে এই আটার রুটি খেলেও দীর্ঘক্ষন আপনার খিদে লাগবে না। ফলে খুব সহজেই ওজন কমবে আপনার।

তবে খিদে পাবেনা বলে এটা চিন্তা করার কোনো কারণ নেই যে, আপনার শরীরের ক্ষতি হচ্ছে। এইসব আটার রুটি গুলি আপনার শরীরের সমস্ত রকম প্রয়োজনীয় উপাদান এর ঘাটতি কমিয়ে শরীরকে সুস্থ ও সবল রাখে।

#৪) ওটস এর আটার রুটি:

সাধারণত অনেকেই ওটস দুধের সাথে ভিজিয়ে খেতে পছন্দ করেন। তবে এটা জানেন কি, ওটসের আটার রুটি আপনার শরীরে দীর্ঘ সময় ধরে শক্তি সঞ্চয় করে রাখবে।

এই আটার মধ্যে দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় ফাইবার থাকে। যাতে বলা হয় ওটস এর রুটি হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। এছাড়াও ডায়াবেটিসের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এই আটার রুটি।

#৫) ভুট্টার আটার রুটি:

বাচ্চা থেকে বড় কাঁচা ভুট্টা পুড়িয়ে লেবু ও লবন দিয়ে খেতে পছন্দ করে না এমন মানুষ খুব কমই পাওয়া যায়। তাছাড়া বিভিন্ন রকম স্ন্যাক্স এবং বিভিন্ন রকম খাবারে ভুট্টার দানা বেশ মজাদার একটি খাবার।

এটি তেও প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকার ফলে শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন, মিনারেল, ফাইবার, কার্বোহাইড্রেট এর অভাব পূরণ করার পাশাপাশি শরীরকে অনেকক্ষণ এনার্জি ফুল করে রাখতে পারে।

সেই কারণেই তো একটা ভুট্টা খাওয়ার পর আপনার পেট অনেকক্ষণ ভরা থাকে। ক্ষিদেটাও অনেকটাই কমে আসে। কিন্তু আপনার শরীর টাকে রাখে ফিট।

ওজন কমাতে চাইলে ভুট্টার আটার রুটি খেতে পারেন আপনি, ভুট্টার আটা অথবা কর্নফ্লাওয়ার এর সাথে অন্য যে কোন আটা মিশিয়েও রুটি বানাতে পারেন।

স্বাস্থ্যের দিকটা খেয়াল রাখার পাশাপাশি শরীরের বিভিন্ন রকম সমস্যা দূর করতে পারে এই সকল আটার রুটি। অনেকের মুখে এটা তো শুনেছেন যে, রোগা হওয়ার জন্য নিয়মিত রূপে ভাতের পরিবর্তে রুটি খাওয়া প্রয়োজন।

তাই শরীরের কোন রকম ভিটামিন, প্রোটিন, এর খামতি না রেখে তরতরিয়ে ওজন কমানোর জন্য এসব আটার রুটি আপনি কিন্তু খেতে পারেন নিঃসন্দেহে।

প্রাকৃতিক বিভিন্ন রকম পুষ্টিগুণে ভরপুর এসব আটা আপনি পেয়ে যাবেন যেকোনো বড় গ্রোসারি শপ এ। তাছাড়া এখন হাতের মুঠোয় তো বড় বড় দোকান, তাই না! অনলাইনে এসব আটা আপনি অর্ডার করে নিতে পারবেন ঘরে বসেই।

তাহলে আর কি! জানা হয়ে গেল কোন কোন আটার রুটি খেলে আপনি আপনার মন মত ফিট শরীর পাবেন! তাহলে আর দেরী কেন, আজ থেকেই শুরু করে দিন এইসব আটার রুটি খাওয়ার অভ্যাস। আর পেয়ে যান স্লিম ফিগার।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top