আশুরা 2024 তারিখ ও সময় | Ashura 2024 Date & Time

আশুরা 2024 তিথি ও সময় এই বছরে। কবে পড়েছে এবছরের আশুরা 2024? আশুরার শুভ সময় কখন? জানুন 2024 আশুরার পালনের ও কেনাকাটার শুভ সময় এবং তাৎপর্য। এই বছরের কবে আশুরা ইসলামিক উৎসব? জেনে নিন কেনাকাটার পাশাপাশি আশুরার শুভ সময়। এছাড়াও আশুরার তাৎপর্য, পালনের পদ্ধতি এবং আশুরার সময় কি কাজ করা উচিৎ ও কি না করা উচিৎ জানুন সবকিছু।

আশুরা তারিখ ও সময় | Ashura Date & Time
আশুরা 2024 তারিখ ও সময় | Ashura 2024 Date & Time

আশুরা 2024 (Ashura 2024): আশুরা হলো এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ইসলামিক দিবস যা ইসলামী চন্দ্র বর্ষপঞ্জির প্রথম মাস মহররমের দশম দিনে অনুষ্ঠিত হয়। কারবালার যুদ্ধে আলী ও তার পরিবারের সদস্যদের শাহাদাতকে চিহ্নিত করে।

এই বছর আশুরা 2024 কবে?

Ashura Day
17 July 2024
Wednesday

আশুরার বাংলায় তারিখ

পবিত্র আশুরা
১৭ জুলাই ২০২৪
বুধবার

 

শিয়া মুসলমানরা এই দিনের নবী মুহাম্মদের নাতি এবং তার পরিবারের সাথে ঘটে যাওয়া সেই ঘটনার স্মরণ করিয়ে থাকে। আশুরা সেই তারিখের সাথে মিলে যায়, যে তারিখে কারবালার যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল।

আশুরা পালিত হয় কিভাবে:

এই দিনটি উদযাপন করার জন্য ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা বেশ কিছু নিয়ম নীতি পালন করেন। আশুরার দিনে মানুষ কালো কাপড় পরতো। কিছু মানুষ এটিকে শোকের দিন হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। এটি একটি শোকের দিনও বটে, এবং সকলেই ছুরি, ধারালো শিকল অথবা তলোয়ার দিয়ে নিজেদের হুসাইনের মৃত্যুর জন্য শোক প্রকাশ করে থাকেন নিজের গায়ে আঘাত করে।

তবে সেটা শিয়া সম্প্রদায়ের মুসলমানরা করে থাকেন। তাছাড়া সুন্নি মুসলমানরা এই দিনে রোজা অথবা উপবাস রেখে খুবই দুঃখের সাথে দিনটি পালন করে থাকেন।

হুসাইন এর স্মরণ করতে মুসলমানরা এই দিন শোক প্রকাশ করেন। মহরম শব্দের অর্থ হলো অনুমতি নেই বা নিষিদ্ধ। তাই এই দিনে মুসলমানদের যুদ্ধের মত ক্রিয়া-কলাপে অংশ নেওয়া নিষিদ্ধ এই দিনটি প্রার্থনা এবং আত্ম দর্শনের দিন হিসেবেও পালিত হয়।

আশুরার সম্পর্কে বিশেষ কিছু তথ্য:

  • আল্লাহ পাক এই তারিখে আসমান অর্থাৎ আকাশ, জমি, লঘুকে কলম সৃষ্টি করেছেন এবং এই ১০ ই মহররম মহাপ্রলয় বা কেয়ামত অনুষ্ঠিত হবে।
  • আল্লাহ তা’আলা আদি পিতা হযরত আদম (আঃ) কে ১০ ই মোহররম পৃথিবীতে প্রেরণ করেছিলেন।
  • এরপর মুসলিম মিল্লাতের পিতা হযরত ইব্রাহিম (আঃ) ঈমানের মহা কঠিন পরীক্ষা দেওয়ার জন্য নমরুদের অগ্নিকুণ্ডে নিক্ষিপ্ত হয়েছিলেন এই মহররমের ১০ তারিখে।
  • আবার বলা যায় যে ১০ ই মোহররম খোদাদ্রোহী অর্থাৎ বলা যায় যে আল্লাহর বিরোধী ফেরাউন বিপুল সেনাবাহিনী নিয়ে নীলদরীয়ার অতল তলে ডুবে মরে যায় আর হযরত মুসা (আঃ) বনী ইসরাইলদের নিয়ে পানির (জলের) উপর দিয়ে পার হয়ে যান।
  • হযরত ইউনুস (আঃ) ৪০ দিন মাছের পেটে থাকার পর ১০ ই মোহররম নাজাত পেয়েছিলেন।
  • হযরত নূহ (আঃ) ৪০ দিনের মহাপ্লাবণের পরে দশই মোহররম নৌকা থেকে বেলাভূমিতে অবতরণ করেছিলেন।
  • হযরত ইয়াকুব (আঃ) তার হারানো ছেলে হযরত ইউসুফকে ফিরে পান এবং দৃষ্টিশক্তি আবার ফিরে পান ১০ই মোহররম তে।
  • সহনশীলতা এবং ধৈর্যের প্রতীক হযরত আইয়ুব (আঃ) আঠারো বছর কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত থাকার পর আল্লাহ পাকের ইচ্ছায় ১০ ই মহররম আকস্মিকভাবেই আরোগ্য  লাভ  করেছিলেন।
  • এই দিনেই হযরত ইদ্রিস (আঃ) সশরীরে জান্নাতে প্রবেশ করেছিলেন।

তো এইভাবে অনেক গুলি ঘটনার সাথে জড়িত রয়েছে ১০ ই মহররম অর্থাৎ আশুরার এই দিনটি। যার তাৎপর্য অনেকখানি ইসলাম ধর্মাবলম্বী মানুষদের কাছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top